Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 111
Saheeh International
They will not harm you except for [some] annoyance. And if they fight you, they will show you their backs; then they will not be aided.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১০-১১২ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা উম্মাতে মুহাম্মাদীর শ্রেষ্ঠত্বের সংবাদ দিয়েছেন। সকল উম্মাতের চেয়ে উম্মাতে মুহাম্মাদী শ্রেষ্ঠ তবে দু’টি শর্তে: ১. তারা মানুষকে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর নির্দেশ প্রদান করবে। ২. গায়রুল্লাহর ইবাদত ও শয়তানের কাজ থেকে বাধা প্রদান করবে। যদি এ দু’টি শর্ত না থাকে তা হলে শ্রেষ্ঠত্ব থাকবে না।
সহীহ হাদীসের আলোকে উম্মাতে মুহাম্মাদীর শ্রেষ্ঠত্ব:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, বিনা হিসেবে এবং বিনা আযাবে আমার উম্মাতের ৭০ হাজার লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে, বলা হল তারা কারা? তিনি বললেন: তারা হল যারা রোগ নিরাময়ের জন্য শেক দেবে না, ঝাড়ফুঁক নেবে না এবং পাখি উড়িয়ে ভাল-মন্দ নির্ণয় করে না। সর্বাবস্থায় তাদের রবের ওপর ভরসা করবে। (সহীহ বুখারী হা: ৫৩৭৮, ৫৪২০, সহীহ মুসলিম হা: ২১৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট না যে, তোমরা জান্নাতের এক চতুর্থাংশ হবে? (সাহাবাগণ বললেন) আমরা আল্লাহু আকবার বললাম, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমারা কি এতে সন্তুষ্ট না যে, তোমরা জান্নাতের এক তৃতীয়াংশ হবে? (সাহাবাগণ বললেন:) আমরা আল্লাহু আকবার বললাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি আশা করি তোমরা জান্নাতের অর্ধেক অধিবাসী হবে। (সহীহ বুখারী হা: ৬৫২৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমরা দুনিয়াতে আগমনের দিক দিয়ে সবার শেষে আর জান্নাতে প্রবেশ করার দিক দিয়ে সবার প্রথম। (সহীহ বুখারী হা: ৮৯৬)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অন্যান্য নাবীদের থেকে আমাকে ছয়টি জিনিস দ্বারা শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হল: পূর্বের নাবীদের নির্দিষ্ট কোন জাতির প্রতি প্রেরণ করা হয়েছিল আর আমাকে সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। (বুখারী হা: ৫২৩)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে: আমার উম্মাতকে সকল উম্মাতের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা হয়েছে। (আহমাদ হা: ৭৬৩)
তারপর বলা হয়েছে যদি আহলে কিতাবগণ মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রতি ঈমান আনত তা হলে তা তাদের জন্য কল্যাণকর হত।
(لَنْ يَّضُرُّوْكُمْ)
কষ্ট বলতে মৌখিকভাবে মিথ্যা অপবাদ রটানো। এর দ্বারা সাময়িক কষ্ট অবশ্যই হয়। তবে যুদ্ধের ময়দানে তোমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না। বাস্তবে তা-ই হয়েছিল। মদীনা থেকে ইয়াহূদীদেরকে বের করে দেয়া হয়েছিল। তারপর খায়বার জয় করা হলে সেখান থেকেও বের করে দেয়া হয়। শাম অঞ্চলে খ্রিস্টানদেরকে মুসলিমদের হাতে পরাজিত হতে হয়েছিল।
(ضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّلَّةُ)
ইয়াহূদীদের ওপর যে লাঞ্ছনা ও দারিদ্রতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তা থেকে সাময়িকভাবে বাঁচার উপায় দু’টি: ১. আল্লাহ তা‘আলার আশ্রয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ইসলাম গ্রহণ করবে, ২.অন্যথায় মুসলিম দেশে কর দিয়ে থাকবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদী পূর্ববর্তী সকল উম্মতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাশীল।
২. এ উম্মতের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হল, আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান এনে সৎ কাজের প্রতি আহ্বান ও অসৎ কাজ হতে বিরত রাখা।
৩. আল্লাহ তা‘আলা মুসলিমদেরকে ইয়াহূদীদের ওপর বিজয়ের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন।
৪. ইয়াহূদীদের লাঞ্ছিত হবার অন্যতম কারণ হল, তারা আল্লাহ তা‘আলার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে। নাবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে এবং সীমালঙ্ঘন করে ও আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্য হয়ে থাকে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings