3:108
تِلۡكَ ءَايَٰتُ ٱللَّهِ نَتۡلُوهَا عَلَيۡكَ بِٱلۡحَقِّۗ وَمَا ٱللَّهُ يُرِيدُ ظُلۡمًا لِّلۡعَٰلَمِينَ١٠٨
Saheeh International
These are the verses of Allah . We recite them to you, [O Muhammad], in truth; and Allah wants no injustice to the worlds.
১০৪-১০৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল اتباع القران وسنتي কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে امر بالمعروف বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে نهي عن المنكر বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে। এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ) সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত। আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us