Surah Az Zumar Tafseer
Tafseer of Az-Zumar : 7
Saheeh International
If you disbelieve - indeed, Allah is Free from need of you. And He does not approve for His servants disbelief. And if you are grateful, He approves it for you; and no bearer of burdens will bear the burden of another. Then to your Lord is your return, and He will inform you about what you used to do. Indeed, He is Knowing of that within the breasts.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭-৮ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে এ আয়াতে তাঁর বান্দাদেরকে খবর দিচ্ছেন। তিনি মানব জাতির কোন কিছুরই মুখাপেক্ষী নন। তিনি একাই স্বয়ং সম্পূর্ণ। তাঁর কারো নিকট কোন কিছু চাওয়ার প্রয়োজন হয় না। বরং সকলে তাঁর নিকট চায় আর তিনি সকলের চাহিদা পূরণ করে থাকেন। সুতরাং আমরা সকলেই মিলিত হয়েও যদি আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী করি তাতে তাঁর কোন ক্ষতিই হবে না। আল্লাহ এ সম্পর্কে অন্যত্র বলেন,
(إِنْ تَكْفُرُوْآ أَنْتُمْ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ جَمِيْعًا لا فَإِنَّ اللّٰهَ لَغَنِيٌّ حَمِيْدٌ)
‘তোমরা এবং পৃথিবীর সকলেই যদি অকৃতজ্ঞ হও (তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না) তথাপি আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং প্রশংসিত। (সূরা ইব্রাহীম ১৪ : ৮)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
(قُلْ هُوَ اللّٰهُ أَحَدٌ = اَللّٰهُ الصَّمَدُ)
“বল : তিনিই আল্লাহ একক। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন।” (সূরা ইখলাস ১১২ : ১-২)
হাদীসে কুদসীতে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : আল্লাহ তা‘আলা বলেন : হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের এবং জিনদের পূর্ববর্তীরা এবং পরবর্তীরা সকলেই সর্বাপেক্ষা পাপী ও দুশ্চরিত্র ব্যক্তির মতো হয়ে যাও তাহলে এতে আমার রাজত্বের বিন্দু পরিমাণও কমবে না। (সহীহ মুসলিম হা. ১৯৯৪)
(وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ أُخْرٰي)
‘কোন বোঝা (পাপ) বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না’ এ সম্পর্কে সূর্ াবানী ইসরাঈল-এর ১৫ নম্বর আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
(وَإِذَا مَسَّ الْإِنْسَانَ..... سَبِيْلِه)
অর্থাৎ বিপদে পড়লে মানুষ আল্লাহ তা‘আলাকে আহ্বান করে কিন্তু বিপদ থেকে উদ্ধার হলে আল্লাহ তা‘আলার কথা ভুলে যায় এবং তাঁর সাথে শির্ক করে। যেমন মানুষ সড়ক পথ বা নৌপথে ভ্রমণকালে কোন একসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখলে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকে। আল্লাহ তা‘আলার কাছে খুব কাকুতি-মিনতি করে আহ্বান করে যেন তিনি তাদেরকে বিপদ থেকে মুক্তি দেন। কিন্তু যখন বিপদ চলে যায় তখন বলে, ড্রাইভার খুব ভাল ছিল। অন্যথায় বাঁচার কোন উপায় ছিল না; ইত্যাদি কথা বলে থাকে যা আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতকে অস্বীকার করে এবং তাঁর সাথে শির্ক সাব্যস্ত করে। এ সম্পর্কে সূরা ইউনুস-এর ১২ নম্বর আয়াতসহ অন্যান্য সূরাতেও আলোচনা করা হয়েছে।
(قُلْ تَمَتَّعْ بِكُفْرِكَ قَلِيْلًا)
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলন : হে নাবী! যারা কাফির-মুশরিক তুমি তাদেরকে এ বাণী শুনিয়ে দাও যে, তোমরা দুনিয়াতে যে-সকল কার্য-কলাপে জড়িত রয়েছো এরূপ জীবন-যাপন আর কিছু দিন করে নাও। তোমাদের এ জীবন শেষ হলেই তোমরা হবে জাহান্নামের অধিবাসী। আল্লাহ তা‘আলা এ সম্পর্কে অন্য আয়াতে বলেন,
(قُلْ تَمَتَّعُوْا فَإِنَّ مَصِيْرَكُمْ إِلَي النَّارِ)
‘ভোগ করে নাও, নিশ্চয়ই তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল জাহান্নাম।’ (সূরা ইব্রা-হীম ১৪ : ৩০)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আল্লাহ তা‘আলা বান্দার প্রতি মুখাপেক্ষী নন।
২. প্রত্যেককেই তার নিজ নিজ কর্মের ফল ভোগ করতে হবে।
৩. সুখে-দুঃখে সর্বদা আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকতে হবে এবং তাঁর শুকরিয়া আদায় করতে হবে।
৪. দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী আর পরকালের জীবন চিরস্থায়ী।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings