Surah Az Zumar Tafseer
Tafseer of Az-Zumar : 65
Saheeh International
And it was already revealed to you and to those before you that if you should associate [anything] with Allah, your work would surely become worthless, and you would surely be among the losers."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৬২-৬৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মহত্ব ও বড়ত্বের সংবাদ দিয়ে বলছেন, তিনিই আকাশ-জমিন, মানুষ-জিন, ফেরেশতা, গাছ-পালাসহ সবকিছুর স্রষ্টা, এমনকি সবকিছুর পরিচালকও তিনি।
এ আয়াত থেকে অনেকে বলতে চায় আল্লাহ তা‘আলার কথা মাখলুক, কুরআন মাখলুক যা মু‘তাযিলাদের বিশ্বাস। এরূপ বিশ্বাস মূর্খতার পরিচয় বহন করে, কারণ কুরআন আল্লাহ তা‘আলার কালাম বা কথা, আল্লাহ তা‘আলার কালাম তাঁর একটি গুণ বা সিফাত। আর আল্লাহ তা‘আলার সিফাত কখনো মাখলূক হতে পারে না, বরং আল্লাহ তা‘আলার মতই চিরস্থায়ী অবিনশ্বর। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর সিফাত ছাড়া যা কিছু আছে সবকিছু মাখলূক তথা ধ্বংসশীল।
আকাশ ও জমিনের জ্ঞান-বিজ্ঞান, কল্যাণ-অকল্যাণসহ সবকিছুর চাবি-কাঠি তাঁরই হাতে। তিনি যা চান তাই হয়, আর যা চান না তা হয় না। সকল কিছুর ওপর তিনিই ক্ষমতাবান। যারা এতে বিশ্বাসী তারা পরকালে সফলকাম হবে, আর যারাই অস্বীকার করবে তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(مَا يَفْتَحِ اللّٰهُ لِلنَّاسِ مِنْ رَّحْمَةٍ فَلَا مُمْسِكَ لَهَا ج وَمَا يُمْسِكْ فَلَا مُرْسِلَ لَه۫ مِنْۭ بَعْدِه۪ ط وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ)
“আল্লাহ মানুষের জন্য যে রহমত উন্মুক্ত করে দেন তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না; আর যা তিনি বন্ধ করে দেন তা বন্ধ করার পরে কেউ উন্মুক্ত করতে পারে না। তিনি প্র্রতাপশালী ও মহাপ্রজ্ঞাময়।” (সূরা ফাতির ৩৫ : ২)
مَقَالِيْدُ হলো, مقلد এবং مقلاد-এর বহুবচন। কেউ এর অর্থ করেছেন চাবিসমূহ, আবার কেউ এর অর্থ করেছেন- ধন-ভাণ্ডার।
সুতরাং যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এসব কিছুর মালিক তাঁকে ব্যতীত আমরা কি অন্যের ইবাদত করব? না, কখনো নয়; সর্বদা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই ইবাদত করব, জাহেলরা যতই অন্যের ইবাদতের দিকে আহ্বান করুক তারা মূলত ইবাদতের হকদার নয়। এমনকি তারা ইবাদতের কোন অংশেরও হকদার নয়, যদি কেউ তাদের জন্য ইবাদতের কিছু অংশও সম্পাদন করে তাহলে তারাও মুশরিক। যারা শির্ক করবে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নাবীকে সম্বোধন করে উম্মাতকে সতর্ক করে বলেন : তুমিও যদি কোন প্রকার শির্কে লিপ্ত হও আর তাওবা না করে শির্কের ওপরই মৃত্যু বরণ করো তাহলে তোমার সমস্ত আমল বাতিল হয়ে যাবে এবং তুমি হবে জাহান্নামী।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(ذٰلِكَ هُدَي اللّٰهِ يَهْدِيْ بِه۪ مَنْ يَّشَا۬ءُ مِنْ عِبَادِه۪ ط وَلَوْ أَشْرَكُوْا لَحَبِطَ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ)
“এটা আল্লাহর হিদায়াত, স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি হিদায়াত দ্বারা সৎ পথে পরিচালিত করেন। তারা যদি শির্ক করত তবে তাদের কৃতকর্ম নিষ্ফল হত।” (সূরা আন‘আম ৬ : ৮৮)
সুতরাং শির্ক ও এ জাতীয় আমল থেকে আমাদেরকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা যাবে না।
২. শির্ক করলে পূর্ববর্তী সকল ভাল আমল নষ্ট হয়ে যায়।
৩. আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে হবে। তাঁর প্রতি অকৃতজ্ঞ হওয়া যাবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings