Surah Az Zumar Tafseer
Tafseer of Az-Zumar : 52
Saheeh International
Do they not know that Allah extends provision for whom He wills and restricts [it]? Indeed in that are signs for a people who believe.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৯-৫২ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আলোচ্য আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা মানুষের একটি মন্দ অভ্যাসের বিবৃতি দিয়েছেন। তা হল- যখন তারা বিপদে পড়ে যেমন অসুস্থতা, অনাবৃষ্টি, প্লাবন, ঘুর্ণিঝড়, সমুদ্রে নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম হওয়া ইত্যাদি তখন একাগ্রচিত্তে কেবল আল্লাহ তা‘আলার কাছে প্রার্থনা করে। তারপর যখনই বিপদ থেকে মুক্ত হয় তখনই তারা আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী করে বসে। বলে যে, ডাক্তার খুব পারদর্শী, যথাসময়ে না আসলে হয়তো মরেই যেতাম, নাবিক খুব বিচক্ষণ অন্যথায় জাহাজ ডুবেই যেত, আমি একজন বিজ্ঞ পাইলট তাই একসিডেন্ট থেকে বেঁেচ গেছি ইত্যাদি কথা বলে থাকে। কিন্তু একটু পূর্বে আল্লাহ তা‘আলাকে একাগ্রচিত্তে আহ্বান করেছিল, তারা সে-কথা ভুলেই গেছে, এখন নিজের জ্ঞান-গরীমার বড়ত্ব প্রকাশ করছে। সমুদ্রে ভ্রমণকালে মানুষের অবস্থা বর্ণনায় আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَّجَا۬ءَھُمُ الْمَوْجُ مِنْ کُلِّ مَکَانٍ وَّظَنُّوْٓا اَنَّھُمْ اُحِیْطَ بِھِمْﺫ دَعَوُا اللہَ مُخْلِصِیْنَ لَھُ الدِّیْنَﹰ لَئِنْ اَنْجَیْتَنَا مِنْ ھٰذِھ۪ لَنَکُوْنَنَّ مِنَ الشّٰکِرِیْنَ)
এমতাবস্থায় নৌকাগুলোর ওপর এক প্রচণ্ড বাতাস এসে পড়ে এবং সর্বদিক হতে তরঙ্গাহত হয় এবং তারা তা দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে পড়েছে মনে করে, তখন তারা আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে আল্লাহকে ডেকে বলে : ‘তুমি আমাদেরকে এ হতে পরিত্রাণ দিলে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব।’ (সূরা ইউনুস ১০ : ২২) এটা ছিল মক্কার তৎকালীন মুশরিকদের অবস্থা। কিন্তু আমাদের দেশের এক শ্রেণির মুসলিম রয়েছে যারা মক্কার মুশরিকদের থেকেও নিকৃষ্ট। তারা বিপদে পড়লে আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকত, আর এরা বিপদে পড়লে খাযা বাবা, মাযার ও পীরের কাছে দৌড়ায়। তৎকালীন মক্কার মুশরিকরদের চেয়ে এ সকল মুসলিমদের ধর্মীয় অবস্থা কত জঘন্য। এ সম্পর্কে সূরা ইউনূসের ২২ নম্বর আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
(قَدْ قَالَهَا الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ)
‘তাদের পূর্ববর্তীরাও এটাই বলত’ অর্থাৎ মক্কার মুশরিকদের সম্বোধন করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও এরূপ কথা যেমন “ আমার জ্ঞানের কারণেই এরূপ পেয়েছি” বলত।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, রিযিক বৃদ্ধি করা বা হ্রাস করা আল্লাহ তা‘আলার দায়িত্বে। তিনি যাকে ইচ্ছা বৃদ্ধি করে দেন আবার যাকে ইচ্ছা হ্রাস করে দেন। এটা ছিল মূলত মক্কার কাফিরদের জন্য হুশিয়ারী আর হলও তা-ই। এরাও বিগত জাতির মত অনাবৃষ্টি, হত্যা এবং বন্দিদশা ইত্যাদির শিকার হয়। আর এটা ছিল তাদের অবাধ্যতার ফল। সুতরাং এখনো যদি কেউ আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্য হয় তবে তাদের অবস্থাও এর চেয়ে ভাল হবে বলে আশা করা যায় না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকতে হবে। কখনো ডাকব আবার কখনো কুফরী করব, এমন করা যাবে না। তাহলে শাস্তি পেতে হবে।
২. দুনিয়াতে যারা মন্দ আমল করবে তাদের ফলাফল পরকালে মন্দই হবে।
৩. রিযিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, অন্য কেউ নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings