Surah Sad Tafseer
Tafseer of Sad : 1
Saheeh International
Sad. By the Qur'an containing reminder...
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
১-৩ নং আয়াতের তাফসীর:
হুরফে মুকাত্তা'আত যেগুলো সূরাসমূহের শুরুতে এসে থাকে, ওগুলোর পূর্ণ তাফসীর সূরায়ে বাকারার শুরুতে গত হয়েছে। এখানে মহান আল্লাহ কুরআন কারীমের শপথ করেছেন এবং ওকে শিক্ষা ও উপদেশপূর্ণ বলেছেন। কেননা এর কথার উপর আমলকারীদের দ্বীন ও দুনিয়া সুন্দর ও কল্যাণময় হয়ে থাকে। অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “অবশ্যই আমি তোমাদের উপর কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি যার মধ্যে তোমাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে।”(২১:১০) ভাবার্থ এটাও যে, কুরআন ইযযত, সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। কারো কারো মতে কসমের উত্তর হলো ... (আরবী) অর্থাৎ “প্রত্যেকেই রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে।” (৩৮:১৪) কেউ কেউ বলেন যে, কসমের জবাব হলোঃ (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয়ই ওটা সত্য।” (৩৮:৬৪) কিন্তু এটা খুব সঠিক বলে মনে হচ্ছে না। কাতাদা (রঃ) বলেন যে, এর জবাব হলো এর পরবর্তী আয়াতটি। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এটাকেই পছন্দ করেছেন। কোন কোন আরবী ভাষাবিদ বলেছেন যে, এই কসমের জবাব হলো (আরবী) এবং এর অর্থ হলো সভ্যতা। একটি উক্তি এও আছে যে, সম্পূর্ণ সূরাটির সারমর্মই হলো এই কসমের জবাব। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।
এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ এই কুরআন তো হলো সরাসরি শিক্ষা ও উপদেশ। কিন্তু এর দ্বারা উপকার শুধু সেই লাভ করতে পারে যার অন্তরে ঈমান রয়েছে। কাফির লোকেরা এটা হতে উপকার লাভে বঞ্চিত থাকে। কেননা, তারা অহংকারী এবং এর চরম বিরোধী। তাদের উচিত তাদের ন্যায় পূর্ববর্তী লোকদের পরিণাম চিন্তা করা এবং নিজেদের পরিণাম সম্পর্কে ভীত-সন্ত্রস্ত থাকা। পূর্ববর্তী উম্মতদেরকে এরূপই অপরাধের কারণে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আল্লাহর আযাব এসে যাওয়ার পর তারা খুব কান্নাকাটি করেছিল। কিন্তু ঐ সময় সবই বৃথা হয়েছিল। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ .... (আরবী) অর্থাৎ “যখন তারা আমার আযাব অনুভব করলো তখন তা থেকে বাঁচতে ও পালাতে ইচ্ছা করলো, কিন্তু তা কিরূপে সম্ভব ছিল?” (২১:১২) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এখন পালাবারও সময় নয় এবং ফরিয়াদেরও সময় নয়। তখন ফরিয়াদ কেউ শুনবে না এবং কিছু উপকারও করতে পারবে না। যতই কান্নাকাটি ও চীৎকার করুক না কেন সবই বিফল হবে। ঐ সময় তাওহীদকে স্বীকার করলেও কোন লাভ হবে না এবং তাওবা করেও কোন উপকার হবে না। এটা হবে অসময়ের চীৎকার ও কান্না।
এখানে (আরবী) শব্দটি (আরবী)-এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে (আরবী) টি অতিরিক্ত। যেমন (আরবী) কে (আরবী) এবং (আরবী) কে বলা হয়ে থাকে। এই দুই স্থানেও (আরবী) টি অতিরিক্ত।
ইমাম ইবনে জারীর (রঃ)-এর উক্তি এই যে, এই (আরবী) টি (আরবী)-এর সাথে মিলিত রয়েছে। অর্থাৎ (আরবী) হবে। কিন্তু প্রথম উক্তিটিই সমধিক খ্যাত। জমহুর (আরবী)-কে যবরের সাথে পড়েছেন। ভাবার্থ হলোঃ এটা আক্ষেপ ও হা-হুতাশ করার সময় নয়। কেউ কেউ (আরবী)-কে যের দিয়ে পড়াকেও বৈধ বলেছেন। ভাষাবিদরা বলেন যে, (আরবী)-এর অর্থ হলো পিছনে সরে আসা এবং (আরবী) বলা হয় সম্মুখে অগ্রসর হওয়াকে। সুতরাং অর্থ হলোঃ এটা পালাবার ও বের হয়ে যাবার সময় নয়। এসব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings