Surah As Saffat Tafseer
Tafseer of As-Saffat : 52
Saheeh International
Who would say, 'Are you indeed of those who believe
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫০-৬১ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
অত্র আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতীদের আরও কিছু অবস্থা বর্ণনা করছেন, তারা জান্নাতে যাওয়ার পর পরস্পর মুখোমুখী হয়ে একজন অন্যজনের দুনিয়ার অবস্থা বর্ণনা করবে এবং দুনিয়ায় তার যে সকল বন্ধু-বান্ধব ছিল তাদের কথাও বলবে। জনৈক জান্নাতী দুনিয়ার একজন বন্ধুর অবস্থা বর্ণনা করে বলবে : আমার একজন বন্ধু ছিল। সে পুনরুত্থান দিবসকে অস্বীকার করত এবং তা অসম্ভব মনে করত। তখন সে তার সাথীদেরকে বলবে : তোমরা কি তাকে উঁকি মেরে দেখতে চাও? তখন তারা তাকে দেখবে জাহান্নামের মধ্যে। আর তখন তারা মহান আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং বলবে- আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে পথ প্রদর্শন না করলে আমরাও ভ্রষ্ট হয়ে যেতাম। আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(وَنَزَعْنَا مَا فِيْ صُدُوْرِهِمْ مِّنْ غِلٍّ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهِمُ الْأَنْهٰرُ ج وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ هَدٰنَا لِهٰذَا قف وَمَا كُنَّا لِنَهْتَدِيَ لَوْلَآ أَنْ هَدٰنَا اللّٰهُ ج لَقَدْ جَا۬ءَتْ رُسُلُ رَبِّنَا بِالْحَقِّ ط وَنُوْدُوْآ أَنْ تِلْكُمُ الْجَنَّةُ أُوْرِثْتُمُوْهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ)
“আমি তাদের অন্তর হতে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে দেব, তাদের পাদদেশে প্রবাহিত হবে নদী এবং তারা বলবে, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাদেরকে এর পথ দেখিয়েছেন। ‘আল্লাহ আমাদেরকে পথ না দেখালে আমরা কখনও পথ পেতাম না। আমাদের প্রতিপালকের রাসূলগণ তো সত্যবাণীই নিয়ে এসেছিল,’ এবং তাদেরকে আহ্বান করে বলা হবে, ‘তোমরা যা করতে তারই জন্য তোমাদেরকে এ জান্নাতের উত্তরাধিকারী করা হয়েছে।’’ (সূরা আ‘রাফ ৭ : ৪৩)
(أَفَمَا نَحْنُ بِمَيِّتِيْنَ)
জাহান্নামীদের এ অবস্থা দেখে জান্নাতীরা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে বলবে : আমরা যে জান্নাতী জীবন ও তাঁর নেয়ামত পেয়েছি তা কি চিরকালের জন্য নয়? সত্যই কি এখন আর আমাদের মৃত্যু আসবে না? এটা স্বীকৃতিসূচক জিজ্ঞাসা। অর্থাৎ এখন আমাদের এ জীবন চিরকালের জন্য। আমরা চিরকাল জান্নাতে এবং তোমরা চিরকাল জাহান্নামে থাকবে। না তোমাদের মৃত্যু হবে যে, তোমরা জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাবে। আর না আমাদের মৃত্যু হবে যে, আমরা জান্নাতের নেয়ামতসমূহ থেকে বঞ্চিত হব। যেমন হাদীসে এসেছে “মৃত্যুকে একটি ভেড়ার আকৃতিতে জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে জবেহ করা হবে। ফলে কারো আর মৃত্যু হবে না। (সহীহ বুখারী হা. ৪৭৩০)
(الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ) অর্থাৎ জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে জান্নাত পাওয়াটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ ط وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُوْرَكُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ط فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ ط وَمَا الْحَيٰوةُ الدُّنْيَآ إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُوْرِ)
“সকল আত্মাই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণকারী এবং নিশ্চয়ই কিয়ামত দিবসে তোমাদেরকে পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে; অতএব যে (জাহান্নামের) আগুন হতে মুক্ত হয়েছে ও জান্নাতে প্রবিষ্ট হয়েছে, ফলতঃ নিশ্চয়ই সে সফলকাম; আর পার্থিব জীবন প্রতারণার সম্পদ ছাড়া আর কিছুই নয়।” (সূরা আলি ইমরান ৩ : ১৮৫) সুতরাং এ জান্নাত পাওয়ার জন্য প্রত্যেক আদম সন্তানকে ঈমানের সাথে সৎ আমল করা উচিত।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. জান্নাতে জান্নাতীরা তাদের দুনিয়ার অবস্থা সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা করবে।
২. জান্নাতীরা জান্নাতে আর কোনদিন মৃত্যু বরণ করবে না। সেখানে তারা চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings