Surah As Saffat Tafseer
Tafseer of As-Saffat : 170
Saheeh International
But they disbelieved in it, so they are going to know.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬১-১৭০ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের লক্ষ্য করে বলছেন : তোমরা ও তোমাদের বাতিল উপাস্যগুলো, তাদেরকে ছাড়া কাউকে পথভ্রষ্ট করার ক্ষমতা রাখো না, যারা আল্লাহ তা‘আলার জ্ঞানে পূর্ব থেকেই জাহান্নামী এবং সে জন্যই তারা কুফর ও শির্কের ওপর অটল আছে। সৎ লোকদেরকে কখনো তোমরা তোমাদের র্শিকি মতবাদ গ্রহণ করাতে পারবে না। আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(إِنَّكُمْ لَفِيْ قَوْلٍ مُّخْتَلِفٍ - يُّؤْفَكُ عَنْهُ مَنْ أُفِكَ)
“নিশ্চয়ই তোমরা পরস্পর বিরোধী কথায় লিপ্ত। যে ব্যক্তি সত্যভ্রষ্ট সে-ই তা পরিত্যাগ করে” (সূরা যা-রিয়া-ত ৫১ : ৮-৯)
এরপর আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাদের কথা তুলে ধরে বলেন, তারা বলে- আমাদের প্রত্যেকের নির্ধারিত স্থান ও কর্ম রয়েছে, যা অতিক্রম করা বা সীমালঙ্ঘন করা আমাদের সমীচীন নয়। আমরা তাঁর সম্মুখে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর তাসবীহ তাহলীল পাঠ করি। অর্থাৎ উদ্দেশ্য হল- ফেরেশতারা আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টি এবং একনিষ্ঠ বান্দা। যারা সর্বদা তাঁর ইবাদত এবং তাসবীহ-তাহলীল পাঠে রত। তারা আল্লাহ তা‘আলার কন্যা নন যেমন মুশরিকরা ধারণা করে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “তারা বলে, ‘দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।’ তিনি পবিত্র, মহান! বরং তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা। তারা আগে বেড়ে কথা বলে না; তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে। তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত। তারা সুপারিশ করে শুধুমাত্র তাদের জন্য যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত। তাদের মধ্যে যে বলবে, ‘আমিই মা‘বূদ তিনি ব্যতীত’, তাকে আমি প্রতিফল দেব জাহান্নাম; এভাবেই আমি জালিমদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি।” (সূরা ‘আম্বিয়া- ২১ : ২৬-২৯)
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করেন যে, মক্কার মুশরিকরা আকাক্সক্ষা করে বলত, যদি আমাদের নিকট কোন নাবী-রাসূল আসত তাহলে আমরা অবশ্যই পূর্বের লোকদের চেয়ে বেশী সঠিক পথের অনুসারী হতাম, আমরা একেবারে আল্লাহ তা‘আলার একনিষ্ঠ বান্দা হয়ে যেতাম। এখানে ذِكْرًا অর্থ আল্লাহ তা‘আলার কোন গ্রন্থ বা নাবী, যেমন পূর্বে অনেক গ্রন্থ ও নাবী প্রেরণ করা হয়েছে। যথা তাওরাত, ইনজিল ইত্যাদি। কিন্তু যখনই তাদের নিকট নাবী-রাসূল সত্য-দীন নিয়ে এসেছেন তখনই তারা তাঁর সাথে কুফরী করেছে। এ সম্পর্কে পূর্বে সূরা আল আন‘আম-এর ১০৯, ১৫৬-১৫৭ ও সূরা আল ফা-ত্বির-এর ৪২ নম্বর আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. পথভ্রষ্ট লোক ব্যতীত সৎ ও মু’মিন ব্যক্তিরা কখনো শয়তানের অনুসরণ করে না।
২. মানুষের মতো ফেরেশতারাও আল্লাহ তা‘আলার তাসবীহ পাঠ করে।
৩. একশ্রেণির লোক- যারা বলে সত্য পেলে অনুসরণ করব, কিন্ত যখন সত্য তুলে ধরা হয় আর তাদের মনঃপূত না হয় তখন তারা তা বর্জন করে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings