Surah As Saffat Tafseer
Tafseer of As-Saffat : 158
Saheeh International
And they have claimed between Him and the jinn a lineage, but the jinn have already known that they [who made such claims] will be brought to [punishment].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৪৯-১৬০ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
যে সকল কাফির-মুশরিক ফেরেশতাদের ইবাদত করত এবং তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার কন্যা সন্তান মনে করত বা এখনো এরূপ মনে করে তাদের বিশ্বাসকে খন্ডন করে দলীল পেশ করা হয়েছে। প্রথমত তাদের এ বিশ্বাস স্বয়ং তাদের প্রচলিত প্রথা-পদ্ধতির দিক দিয়ে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। কারণ, তারা কন্যা-সন্তানকে লজ্জার কারণ মনে করে। যে বস্তু নিজেদের জন্য লজ্জাজনক তা আল্লাহ তা‘আলার জন্য কেন লজ্জাজনক হবে না? তাদের কাছে এর কোন প্রমাণ আছে কি? কোন দাবী প্রতিষ্ঠার জন্য তিন রকম দলীল হতে পারে- ১. চাক্ষুষ প্রমাণ ২. ইতিহাস ভিত্তিক প্রমাণ অর্থাৎ এমন ব্যক্তির উক্তি যা সর্বজন স্বীকৃত। ৩. যুক্তিভিত্তিক দলীল। প্রথমোক্ত দলীল নিশ্চিত অনুপস্থিত, কারণ আল্লাহ তা‘আলা যখন ফেরেশতা সৃষ্টি করেন তখন তারা উপস্থিত ছিলো না। কাজেই ফেরেশতাগণ যে নারী, তা জানা সম্ভব নয়। সুতরাং তারা যেসব কথা বলে তা মনগড়া ও মিথ্যা।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী,
(أَلَكُمُ الذَّكَرُ وَلَهُ الْأُنْثٰي - تِلْكَ إِذًا قِسْمَةٌ ضِيْزٰي)
“তবে কি তোমাদের জন্য পুত্র, আর তাঁর জন্য কন্যা সন্তান? এই প্রকার বন্টন তো অসঙ্গত।” (সূরা নাজ্ম ৫৩ : ২১-২২)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
(أَفَأَصْفَاكُمْ رَبُّكُمْ بِالْبَنِيْنَ وَاتَّخَذَ مِنَ الْمَلٰ۬ئِكَةِ إِنَاثًا ط إِنَّكُمْ لَتَقُوْلُوْنَ قَوْلًا عَظِيْمًا)
‘‘তোমাদের প্রতিপালক কি তোমাদেরকে পুত্র সন্তানের জন্য নির্বাচিত করেছেন এবং তিনি কি নিজে ফেরেশতাদেরকে কন্যারূপে গ্রহণ করেছেন? তোমরা তো নিশ্চয়ই ভয়ানক কথা বলে থাক!” (সূরা বানী ইসরা-ঈল ১৭ : ৪০)
এ সম্পর্কে পূর্বে সূরা নাহ্ল-এর ৫৭-৫৯ নম্বর আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব আল্লাহ তা‘আলা যে-সকল দোষত্র“টি থেকে মুক্ত সে-সকল দোষত্র“টি থেকে তাঁকে মুক্ত ঘোষণা করতে হবে, আর পবিত্রতার সাথে তাসবীহ বর্ণনা করতে হবে।
(وَجَعَلُوْا بَيْنَه۫ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا)
এখানে মুশরিকদের ঐ বিশ্বাসের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, তারা মনে করত- আল্লাহ তা‘আলা ও জিনদের মাঝে একটি দাম্পত্য সম্পর্ক রয়েছে।
ফেরেশতারা হল কন্যা, আর তাদের মাতা হল জিনেরা। এভাবে আল্লাহ তা‘আলা ও জিনদের মাঝে বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপিত হয়েছে। অথচ এ উক্তি কিভাবে সত্য হতে পারে? যদি তা-ই করা হতো তাহলে জিনদেরকে আল্লাহ তা‘আলা কী জন্য তাঁর সামনে উপস্থিত করবেন, কী জন্য তাদের থেকে ভাল-মন্দ কাজের হিসাব নেবেন। তিনি কি আত্মীয়তা সম্পর্ক খেয়াল রাখবেন না? স্বয়ং জিনেরাও অবগত আছে যে, তাদেরকেও তাদের অপরাধের কারণে পাকড়াও করা হবে। সুতরাং কিভাবে জিনদের মাঝে ও আল্লাহ তা‘আলার মাঝে আত্মীয়তা সম্পর্ক থাকতে পারে? তাই তারা আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে যে সকল অশালীন কথা-বার্তা বলে তা থেকে তিনি পবিত্র।
(إِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِيْنَ)
অর্থাৎ কেবল আল্লাহ তা‘আলার বিশুদ্ধ বান্দারাই আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে এমন কথা বলে না যা তাঁর শানে উপযোগী নয়। এ ক্ষেত্রে মু’মিনরাই স্বচ্ছ ও নির্ভেজাল প্রমাণভিত্তিক আকীদাহ পোষণ করে থাকে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আল্লাহ তা‘আলার কোন সন্তান-সন্ততি, স্ত্রী-পরিজন নেই।
২. যারা আল্লাহ তা‘আলার জন্য সন্তান নির্ধারণ করে তারা র্শিক করল। আর আল্লাহ তা‘আলা সর্ব প্রকার শরীক থেকে মুক্ত।
৩. ফেরেশতারা আল্লাহ তা‘আলার সন্তান নয়, বরং তাঁর একান্ত অনুগত বান্দা।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings