Surah As Saffat Tafseer
Tafseer of As-Saffat : 127
Saheeh International
And they denied him, so indeed, they will be brought [for punishment],
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
১২৩-১৩২ নং আয়াতের তাফসীর:
হযরত কাতাদা (রঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (র) বলেনঃ “বলা হয় যে, ইলিয়াস ছিল হযরত ইদরীস (আঃ)-এর নাম। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন যে, ইলিয়াসই ছিলেন ইদরীস (আঃ)। যহাক (রঃ) বলেন যে, আল্লাহ তা'আলা হযরত হাকীল নবী (আঃ)-এর পরে তাঁকে বানী ইসরাঈলের মধ্যে প্রেরণ করেন। বানী ইসরাঈল ঐ সময় ‘বা'আল’ নামক মূর্তির পূজা। করতো। হযরত ইলিয়াস (আঃ) তাদেরকে আল্লাহর দিকে ডাকলেন এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যের উপাসনা করতে নিষেধ করলেন। তাদের বাদশাহ তা কবুল করে নেয়। কিন্তু পরে সে মুরতাদ (ধর্মত্যাগী) হয়ে যায়। অতঃপর তারা সবাই ভ্রান্ত পথেই রয়ে যায়। তাদের কেউই তার উপর ঈমান আনলো না। আল্লাহর নবী (আঃ) তাদের উপর বদ দূআ করেন। ফলে তিন বছর ধরে সেখানে বৃষ্টিপাত বন্ধ তাকে। তখন তারা সবাই হযরত ইলিয়াস (আঃ)-এর কাছে এসে বলেঃ “আপনি দুআ করুন! আমাদের উপর বৃষ্টিপাত হলেই আমরা কসম করে বলছি যে, আমরা ঈমান আনয়ন করবো।” হযরত ইলিয়াস (আঃ)-এর দু'আর ফলে আল্লাহ তাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করলেন। কিন্তু এর পরেও তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে কুফরীর উপরই অটল থেকে গেল। তাদের এ আচরণ দেখে হযরত ইলিয়াস (আঃ) আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করলেন যে, তাঁকে যেন আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয়। হযরত ইয়াসা ইবনে উখতূব (আঃ) তাঁর নিকটই লালিত পালিত হয়েছিলেন। হযরত ইলিয়াস (আঃ)-এর এই দু’আর পর তাকে নির্দেশ দেয়া হলো যে, তিনি যেন অমুক নির্দিষ্ট স্থানে গমন করেন এবং সেখানে যে যানবাহন পাবেন তাতেই যেন আরোহণ করেন। যথাস্থানে পৌঁছে তিনি নূরের একটি ঘোড়া দেখতে পান এবং তাতেই আরোহণ করেন। আল্লাহ তাকেও জ্যোতির্ময় করলেন এবং পাখা প্রদান করলেন। তিনি ফেরেশতাদের সাথে স্বীয় পাখার উপর ভর করে উড়তে লাগলেন। এই ভাবে একজন মানুষ আসমানী ও যমীনী ফেরেশতায় পরিণত হয়ে গেলেন। (অহাব ইবনে মুনাব্বাহ (রঃ) আহলে কিতাব হতে এটা বর্ণনা করেছেন। এসব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ)
মহান আল্লাহ বলেন যে, ইলিয়াস (আঃ) স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ “তোমরা কি আল্লাহকে ভয় কর না যে, তাকে ছেড়ে অন্যের উপাসনা কর?” হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, (আরবী) অর্থ হলো ‘রব’ বা প্রতিপালক। ইকরামা (রঃ) বলেন যে, এটা ইয়ামনীদের ভাষা। কাতাদা (রঃ) বলেন যে, এটা ইযদ শানুআদের ভাষা। ইবনে ইসহাক (রঃ) বলেন:“আমাকে সংবাদ দেয়া হয়েছে যে, তারা একটি মহিলার মূর্তির পূজা করতো। তার নাম ছিল বা'আল। আবদুর রহমান (রঃ) বলেন যে, ওটা একটা মূর্তি ছিল। শহরবাসীরা ওর পূজা করতো। ঐ শহরের নামও ছিল বাআলাক'। হযরত ইলিয়াস (আঃ) তাদেরকে বললেনঃ “তোমরা সকলের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ছেড়ে মূর্তিপূজায় লিপ্ত হয়েছে? অথচ আল্লাহ তো তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের সৃষ্টিকর্তা এবং প্রতিপালক। একমাত্র তিনিই তো ইবাদতের যোগ্য।"
প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “কিন্তু তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলেছিল, কাজেই তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির জন্যে উপস্থিত করা হবে। তবে আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র ।” তাদেরকে তিনি রক্ষা করবেন।
আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আমি ইলিয়াস (আঃ)-এর জন্যে পরবর্তী লোকদের উত্তম প্রশংসা প্রচলিত রেখেছি যে, প্রত্যেক মুসলমান তার উপর দরূদ ও সালাম প্রেরণ করে থাকে।
(আরবী) শব্দের দ্বিতীয় রূপ (আরবী) রয়েছে। যেমন (আরবী) কে (আরবী) বলা হয়। এটা বানু আসাদ গোত্রের ভাষা। অনুরূপভাবে (আরবী) -কে (আরবী) এবং (আরবী) কে (আরবী) বলা হয়ে থাকে। ফল কথা, এটা আরবে সুপ্রচলিত শব্দ। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর এক কিরআতে (আরবী) পড়া হয়েছে। অর্থাৎ (আরবী) বা মুহাম্মাদ (সঃ)-এর বংশধর।
মহান আল্লাহ বলেনঃ “এই ভাবে আমি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই সে ছিল আমার মুমিন বান্দাদের অন্যতম।” এর তাফসীর পূর্বেই গত হয়েছে। এসব ব্যাপারে আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings