Surah Yasin Tafseer
Tafseer of Ya-Sin : 67
Saheeh International
And if We willed, We could have deformed them, [paralyzing them] in their places so they would not be able to proceed, nor could they return.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫৯-৬৭ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
পূর্বের আয়াতগুলোতে জান্নাতীদের আরাম-আয়েশের বর্ণনা দেয়ার পর এ আয়াতগুলোতে কিয়ামতের মাঠে জাহান্নামীদের কিরূপ অবস্থা হবে তা বর্ণনা করেছেন। কিয়ামতের মাঠে জাহান্নামীদেরকে বলা হবে- হে আদম সন্তান! আমি কি তোমাদের সতর্ক করিনি যে, তোমরা শয়তানের ইবাদত করবে না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্র“, তোমরা একমাত্র আমার ইবাদত করবে? কিন্তু তোমরা তা মাননি, নিষেধ করার পরও তোমরা আমার সাথে শয়তানের ইবাদত করেছ। সুতরাং আজ তোমরা সৎ লোকদের থেকে পৃথক হয়ে যাও। আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(وَيَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ يَوْمَئِذٍ يَّتَفَرَّقُوْنَ)
“আর যেদিন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন মানুষ আলাদা আলাদা হয়ে যাবে।” (সূরা রূম ৩০ : ১৪)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন :
(وَيَوْمَ نَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا ثُمَّ نَقُوْلُ لِلَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا مَكَانَكُمْ أَنْتُمْ وَشُرَكَآؤُكُمْ ج فَزَيَّلْنَا بَيْنَهُمْ وَقَالَ شُرَكَآؤُهُمْ مَّا كُنْتُمْ إِيَّانَا تَعْبُدُوْنَ)
“এবং সেদিন আমি তাদের সকলকে একত্র করে যারা মুশরিক তাদেরকে বলব, ‘তোমরা এবং তোমরা যাদেরকে শরীক করেছিলে তারা স্ব স্ব স্থানে অবস্থান কর’; আমি তাদেরকে পরস্পর হতে পৃথক করে দিব এবং তারা যাদেরকে শরীক করেছিল তারা বলবে, ‘তোমরা তো আমাদের ‘ইবাদত করতে না।” (সূরা ইউনুস ১০ : ২৮)
আর তাদেরকে বলা হবে, তোমরা জাহান্নামে প্রবেশ করো যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল এবং তোমরা যার প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিলে। ফেরেশতাদেরকে বলা হবে, তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(اُحْشُرُوا الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا وَأَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ لا - مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَاهْدُوْهُمْ إِلٰي صِرَاطِ الْجَحِيْمِ )
“(ফেরেশতাদেরকে বলা হবে : ) একত্র কর যালিমদেরকে এবং তাদের সাথীদেরকে আর তাদেরকে যাদের তারা ‘ইবাদত করত আল্লাহ ব্যতীত। অতএব তাদেরকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাও জাহান্নামের পথে।” (সূরা সফফাত ৩৭ : ২২-২৩)
এ অঙ্গীকার হলো সে অঙ্গীকার যা আদম (আঃ)-এর পিঠ থেকে সন্তানদেরকে বের করার পর নেওয়া হয়েছিল। অথবা ঐ অসিয়ত যা নাবীদের মুখে মানুষকে করা হয়েছে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন : হাশরের হিসাব-নিকাশের জন্য উপস্থিতির সময় প্রথমে প্রত্যেকে ওযর পেশ করতে থাকবে। মুশরিকরা কসম করে বলবে, আমরা শির্ক করিনি। আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের সম্পর্কে বলেন :
(وَاللّٰهِ رَبِّنَا مَا كُنَّا مُشْرِكِينَ)
“আল্লাহর শপথ! হে আমাদের রব, আমরা মুশরিক ছিলাম না।” কেউ বলবে, আমাদের আমলনামায় ফেরেশতারা যা কিছু লিখেছে তা থেকে আমরা মুক্ত। তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদের মুখে মোহর মেরে দেবেন। তাদের হাত, পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দিবে। এ সম্পর্কে সূরা নূর-এর ২৪ নম্বর আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন : আমি যদি ইচ্ছা করতাম তাহলে তাদের চক্ষুগুলোকে নষ্ট করে দিতে পারতাম। তখন তারা সৎ পথে চলতে চাইলে কি করে দেখতে পেত? আর যদি ইচ্ছা করতাম তাহলে তাদেরকে তাদের নিজেদের স্থানে বিকৃত করে দিতে পারতাম। তাদের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়ে তাদেরকে ধ্বংস করে দিতাম। ফলে তারা চলতে পারত না। অর্থাৎ তারা সামনেও যেতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে আসতে পারত না। বরং মূর্তির মতো একই জায়গায় বসে থাকত।
অতত্রব সকল প্রকার শয়তানী কর্মকান্ড ছেড়ে দিয়ে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করে আখেরাতের সফলতা অর্জনের চেষ্টা করা উচিত।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. শয়তানের অনুসরণ করা যাবে না, কারণ সে ভ্রান্ত পথের নির্দেশ দেয়।
২. কিয়ামতের মাঠে অপরাধীদের মুখে মোহর মেরে দেয়া হবে এবং তাদের হাত, পা, কর্ণ তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings