Surah Fatir Tafseer
Tafseer of Fatir : 32
Saheeh International
Then we caused to inherit the Book those We have chosen of Our servants; and among them is he who wrongs himself, and among them is he who is moderate, and among them is he who is foremost in good deeds by permission of Allah . That [inheritance] is what is the great bounty.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমি এই সম্মানিত কিতাব অর্থাৎ কুরআন কারীম আমার মনোনীত বান্দাদের হাতে প্রদান করেছি অর্থাৎ এই উম্মতে মুহাম্মাদীর (সঃ) হাতে। অতঃপর তাদের মধ্যে তিন প্রকারের লোক হয়ে যায়। কেউ কেউ তো কিছু আগে-পিছে হয়ে যায়, তাদেরকে নিজের প্রতি অত্যাচারী বলা হয়েছে। তাদের দ্বারা কিছু হারাম কাজও হয়ে যায়। আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ মধ্যপন্থী রয়েছে, যারা হারাম থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে এবং ওয়াজিবগুলো পালন করেছে, কিন্তু মাঝে মাঝে মুস্তাহাব কাজগুলো তাদের ছুটেও গিয়েছে এবং কখনো কখনো সামান্য অপরাধও তাদের হয়ে গেছে। আর কতকগুলো লোক আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী রয়েছে। ওয়াজিব কাজগুলো তো তারা পালন করেছেই, এমনকি মুস্তাহাব কাজগুলোকেও তারা কখনো ছাড়েনি। আর হারাম কাজগুলো হতে তো দূরে থেকেছেই, এমনকি মাকরূহ কাজগুলোকেও ছেড়ে দিয়েছে। তাছাড়া কোন কোন সময় মুবাহ কাজগুলোকেও ভয়ে পরিত্যাগ করেছে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, মনোনীত বান্দা দ্বারা উম্মতে মুহাম্মাদিয়াকে (সঃ) বুঝানো হয়েছে, যাদেরকে আল্লাহর সব কিতাবেরই ওয়ারিস বানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে। তাদের মধ্যে যারা মধ্যপন্থী তাদের সহজভাবে হিসাব নেয়া হবে। আর যারা কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী তাদেরকে বিনা হিসাবে জান্নাতে পৌঁছিয়ে দেয়া হবে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ বলেনঃ “আমার উম্মতের কাবীরা গুনাহকারীদের জন্যেই আমার শাফা'আত।” (এ হাদীসটি আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী লোকেরা তো বিনা হিসাবেই জান্নাতে চলে যাবে। আর নিজেদের উপর অত্যাচারকারী ও আরাফবাসীরা হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর শাফা'আতের বলে জান্নাতে যাবে। মোটকথা, এই উম্মতের হালকা পাপকারীরাও আল্লাহ তাআলার মনোনীত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। পূর্বযুগীয় অধিকাংশ গুরুজনের উক্তি এটাই বটে। কিন্তু পূর্বযুগীয় কোন কোন মনীষী এটাও বলেছেন যে, এ লোকগুলো না এই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত, না তারা আল্লাহর মনোনীত বান্দা এবং না তারা আল্লাহর কিতাবের ওয়ারিশ। বরং এর দ্বারা কাফির, মুনাফিক ও বাম হাতে আমলনামা প্রাপকদেরকে বুঝানো হয়েছে। সুতরাং এই তিন প্রকারের লোক তারাই যাদের বর্ণনা সূরায়ে ওয়াকিয়ার প্রথমে ও শেষে রয়েছে। অর্থাৎ এই তিন প্রকার যে গণনা করা হয়েছে তারা মনোনীত বান্দা নয়, বরং তারা সেই বান্দা যারা (আরবী) বলে উল্লিখিত হয়েছে। কিন্তু সঠিক উক্তি এটাই যে, তারা এই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত। ইবনে জারীরও (রঃ) এটাকে গ্রহণ করেছেন এবং আয়াতের বাহ্যিক শব্দগুলোও এটাই প্রমাণ করে। হাদীসসমূহ দ্বারাও এটাই প্রমাণিত হয়।
প্রথম হাদীসঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে (আরবী) -এই আয়াতের ব্যাপারে নবী (সঃ) বলেছেনঃ “এরা (এই তিন প্রকারের) সবাই একই মর্যাদা সম্পন্ন এবং তারা সবাই জান্নাতী।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি গারীব এবং এতে এমন একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন যার নাম উল্লেখ করা হয়নি। হাদীসটির ভাবার্থ এই যে, এই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দিক দিয়ে এবং জান্নাতী হওয়ার দিক দিয়ে তিন প্রকারের লোকই যেন একই। হ্যাঁ, তবে মর্যাদার দিক দিয়ে তাদের মধ্যে পার্থক্য অবশ্যই রয়েছে)
দ্বিতীয় হাদীসঃ হযরত আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করার পর বলেনঃ “কল্যাণের কাজে যারা অগ্রগামী তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে, মধ্যপন্থী লোকদের সহজভাবে হিসাব নেয়া হবে এবং যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছে তাদেরকে ময়দানে মাশারে আটক রাখা হবে। অতঃপর আল্লাহর রহমতে তারা মাফ পেয়ে যাবে। তারা বলবেঃ ঐ আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত করেছেন, আমাদের প্রতিপালক তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দিয়েছেন যেখানে ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।” (এ হাদীসটিও ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন) মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমেও হাদীসটি সামান্য রদবদলসহ বর্ণিত আছে। তাফসীরে ইবনে জারীরেও হাদীসটি উল্লিখিত হয়েছে। তাতে আছে। যে, হযরত আবূ সাবিত (রাঃ) মসজিদে এসে হযরত আবু দারদা (রাঃ)-এর পাশে বসে পড়েন এবং বলেনঃ “হে আল্লাহ! আমার ভীতি দূর করে দিন, আমার অসহায়তার উপর দয়া করুন এবং আমাকে একজন উত্তম সাথী ও বন্ধু মিলিয়ে দিন।” তাঁর এই প্রার্থনা শুনে হযরত আবু দারদা (রাঃ) তাঁকে বললেন, তুমি যদি তোমার এ কথায় সত্যবাদী হও তবে আমি তোমার বন্ধু ও সাথী। তোমাকে আমি একটি হাদীস শুনাচ্ছি যা আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে শুনেছি এবং আজ পর্যন্ত ঐ হাদীসটি আমি কাউকেও শুনাইনি। তিনি (নবী সঃ) (আরবী)-এই আয়াতটি পাঠ করে বলেছেনঃ “কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী লোকেরা বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবে। আর মধ্যপন্থী লোকদের সহজ হিসাব নেয়া হবে এবং নিজেদের উপর অত্যাচারীকে ঐ স্থানে দুঃখ-কষ্ট পৌঁছানো হবে। আল্লাহর রহমতে তাদের দুঃখ-কষ্ট ও চিন্তা-ভাবনা দূর হলে তারা বলবেঃ প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত করেছেন।”
তৃতীয় হাদীসঃ হযরত উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) (আরবী) এ আয়াত সম্পর্কে বলেনঃ “এদের সবাই এই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত।” (এ হাদীসটি হাফিয আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন) চতুর্থ হাদীস ও হযরত আউফ ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমার উম্মতের তিনটি অংশ হবে। একটি অংশ বিনা হিসাবে ও বিনা আযাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। দ্বিতীয় অংশের অতি সহজ করে হিসাব নেয়া হবে। অতঃপর তারা জান্নাতে চলে যাবে। তীয় দলকে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং তাদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হবে। কিন্তু ফেরেশতারা হাযির হয়ে বলবেনঃ “আমরা তাদেরকে এমন অবস্থায় পেয়েছি যে, তারা (আরবী) লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ বলতে রয়েছে।” তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ “তারা। সত্য বলেছে। আমি ছাড়া কেউ মাবুদ নেই। তাদের (আরবী) লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ বলার কারণে তাদেরকে জান্নাতে প্রবিষ্ট কর এবং তাদের পাপগুলো জাহান্নামীদের উপর চাপিয়ে দাও।" এরই বর্ণনা (আরবী) এই আয়াতে রয়েছে। অর্থাৎ তারা নিজেদের (পাপের) বোঝাসহ তাদের বোঝা বহন করবে।'(২৯:১৩) এর সত্যতা তাতেই রয়েছে যাতে ফেরেশতাদের উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে কিতাবের ওয়ারিশ বানিয়েছেন তাদের বর্ণনা দিয়ে তাদের তিনটি শ্রেণীর কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে তাদের পুরোপুরিভাবে হিসাব নেয়া হবে।” (এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাদীসটি খুবই গারীব বা দুর্বল)
হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন যে, কিয়ামতের দিন এই উম্মতের তিনটি দল হবে। একটি দল বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবে, একটি দলের সহজভাবে হিসাব নেয়া হবে এবং একটি দল পাপী হবে যাদেরকে আল্লাহ তাআলা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, অথচ তিনি দলটিকে ভালরূপেই জানেন। ফেরেশতারা বলবেনঃ “হে আল্লাহ! এদের বড় বড় পাপ রয়েছে, কিন্তু তারা আপনার সাথে কাউকেও শরীক করেনি।” তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ “তাদেরকে আমার রহমতের মধ্যে দাখিল করে দাও।" অতঃপর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এ আয়াতটিই পাঠ করেন। (এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
হ্যরত সানুল হানাঈ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে (আরবী) -এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “হে বৎস! এরা সব জান্নাতী লোক। (আরবী) (কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী) লোক তারাই যারা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর যুগে ছিল। যাদেরকে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। (আরবী) (মধ্যপন্থী) লোক তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পদাংক অনুসরণ করতো এবং শেষ পর্যন্ত তারা তাঁর সাথে মিলে যায়। আর (আরবী) হলো আমার তোমার মত লোক।” (এটা আবূ দাউদ তায়ালেসী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
এটা আমাদের খেয়াল করা উচিত যে, হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) তো (আরবী) অর্থাৎ কল্যাণকর কাজে অগ্রগামীদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, এমন কি তাদের চেয়েও উত্তম ছিলেন। অথচ তিনি শুধু বিনয় প্রকাশার্থে নিজেকে কত নীচে নামিয়ে দিয়েছেন! হাদীসে এসেছে যে, সমস্ত স্ত্রী লোকের উপর হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর এমন ফযীলত রয়েছে যেমন ‘সারীদ’ নামক খাদ্যের ফযীলত রয়েছে সমস্ত খাদ্যের উপর।
হযরত উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) বলেন যে, (আরবী) হলো আমাদের গ্রাম্য লোকেরা, (আরবী) হলো আমাদের শহরের লোকেরা এবং (আরবী) হলো আমাদের মুজাহিদরা। (এটা ইবনে আবি হাতিম (রাঃ) বর্ণনা করেছেন)
হযরত কা'ব আহবার (রঃ) বলেন যে, এই তিন প্রকারের লোকই এই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত এবং এরা সবাই জান্নাতী। কেননা, আল্লাহ তা'আলা এই তিন প্রকার লোকের বর্ণনা দেয়ার পর জান্নাতের উল্লেখ করেছেন অতঃপর বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ যারা কুফরী করেছে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন। সুতরাং এ লোকগুলো জাহান্নামী। (এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হযরত কা'ব (রাঃ)-কে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “কা'ব (রাঃ)-এর প্রতিপালকের শপথ! এরা সব একই দলের লোক। হাঁ, তবে আমল অনুপাতে তাদের মর্যাদা কম ও বেশী হবে।” আবু ইসহাক (রঃ) এ আয়াতের ব্যাপারে বলেন যে, এই তিন দলই মুক্তিপ্রাপ্ত। মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ (রঃ) বলেন যে, এটা দয়া ও অনুগ্রহ প্রাপ্ত উম্মত। এ উম্মতের পাপীদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হবে, এর মধ্যপন্থীরা আল্লাহর নিকট জান্নাতে থাকবে এবং এর কল্যাণকর কার্যে অগ্রগামী দল উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে। মুহাম্মাদ ইবনে আলী বাকির (রাঃ) বলেন যে, এখানে যে লোকদেরকে (আরবী) বলা হয়েছে তারা হলো ঐ সব লোক যারা পাপও করেছে, পুণ্যও করেছে।
এসব হাদীস ও আসার দ্বারা এটা পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, এ আয়াতটি এই উম্মতের এ তিন প্রকার লোকের ব্যাপারে সাধারণ। সুতরাং আলেমগণ এই নিয়ামতের উপর লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ঈর্ষার পাত্র এবং এই নিয়ামতের তাঁরাই সবচেয়ে বেশী হকদার। যেমন কায়েস ইবনে কাসীর (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, মদীনাবাসী একজন লোক দামেস্কে হযরত আবু দারদা (রাঃ)-এর নিকট গমন করে। তখন হযরত আবূ দারদা (রাঃ) লোকটিকে জিজ্ঞেস করেনঃ “ভাই! তোমার এখানে আগমনের কারণ কি? উত্তরে লোকটি বলেঃ “একটি হাদীস শুনবার জন্যে যা আপনি রাসূলুল্লাহ (সঃ) থেকে বর্ণনা করে থাকেন।” তিনি বললেনঃ “কোন ব্যবসার উদ্দেশ্যে আসনি তো?" জবাবে সে বললোঃ “না।” তিনি আবার প্রশ্ন করলেনঃ “অন্য কোন প্রয়োজনে এসেছো কি?" সে উত্তর দিলোঃ “না।” তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেনঃ “তাহলে তুমি কি শুধু এই হাদীসের সন্ধানেই এসেছো?” সে জবাব দিলোঃ “জ্বি, হ্যাঁ।” তখন তিনি বললেনঃ “নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছি- “যে ব্যক্তি ইলমের সন্ধানে সফরে বের হয়, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথে চালিত করেন এবং (রহমতের) ফেরেশতারা ইলম অনুসন্ধানকারীর উপর সন্তুষ্ট হয়ে তাদের উপর তাঁদের ডানা বিছিয়ে দেন। আসমান ও যমীনে অবস্থানকারী সবাই বিদ্যানুসন্ধানীর জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানির মধ্যে মাছগুলোও (ক্ষমা প্রার্থনা করে)। (মূখ) আবেদের উপর আলেমের ফযীলত এমনই যেমন চন্দ্রের ফযীলত সমস্ত তারকার উপর। নিশ্চয়ই আলেমরা নবীদের ওয়ারিশ। আর নবীরা দ্বীনার (স্বর্ণমুদ্রা) ও দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা)-এর ওয়ারিশ করেন না, বরং তারা ওয়ারিশ করেন ইলমের। যে তা গ্রহণ করে সে খুব বড় সম্পদ লাভ করে।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম আবু দাউদ (রঃ), ইমাম তিরমিযী (রঃ) ও ইবনে মাজাহ্ (রঃ) এটা তাখরীজ করেছেন) আমি এ হাদীসের সমস্ত ধাৱা, শব্দ এবং ব্যাখ্যা সহীহ বুখারীর কিতাবুল ইলম-এর শরাতে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে। সূরায়ে তোয়া-হার শুরুতে ঐ হাদীসটি গত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন আলেমদেরকে বলবেনঃ “আমি তোমাদেরকে ইলম ও হিকমত শুধু এ জন্যেই দান করেছি যে, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চাই, তোমাদের দ্বারা যা-ই কিছু হয়ে থাক না কেন আমি তার কোন পরোয়া করি না।”
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings