Surah Fatir Tafseer
Tafseer of Fatir : 31
Saheeh International
And that which We have revealed to you, [O Muhammad], of the Book is the truth, confirming what was before it. Indeed, Allah, of His servants, is Acquainted and Seeing.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩১-৩২ নং আয়াতের তাফসীর:
(وَالَّذِیْٓ اَوْحَیْنَآ اِلَیْکَ .... اِنَّ اللہَ بِعِبَادِھ۪ لَخَبِیْرٌۭ بَصِیْرٌﭮ)
অত্র আয়াতে কুরআনুল কারীমের সত্যতা প্রমাণে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর স্বীয় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলেন: হে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তোমার প্রতি যে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে তা সত্য, এতে কোন প্রকার সন্দেহ-সংশয় নেই। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(وَأَنْزَلْنَآ إِلَيْكَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتٰبِ)
“আমি তোমার ওপর এ কিতাব অবতীর্ণ করেছি সত্যসহ যা সত্যায়নকারী পূর্বে অবতীর্ণ কিতাবসমূহের।” (সূরা বাকারাহ ২:২)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
(نَزَّلَ عَلَیْکَ الْکِتٰبَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیْنَ یَدَیْھِ وَاَنْزَلَ التَّوْرٰٿةَ وَالْاِنْجِیْلَ)
“তিনি সত্যসহ তোমার ওপর কিতাব নাযিল করেছেন যা পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী। তিনি আরো নাযিল করেছেন তাওরাত এবং ইঞ্জিল।” (সূরা আলি ইমরান ৩:৩)
(ثُمَّ اَوْرَثْنَا الْکِتٰبَ .... ذٰلِکَ ھُوَ الْفَضْلُ الْکَبِیْرُﭯﺚ)
উক্ত আয়াতে উম্মাতে মুহাম্মাদীর মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে এবং সেই সাথে আমলের দিক দিয়ে তাদের মধ্যে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্তি রয়েছে সে কথাও বলা হয়েছে। যেমন উম্মাতে মুহাম্মাদীর মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা অন্য একটি আয়াতে বলেন,
(وَكَذٰلِكَ جَعَلْنٰكُمْ أُمَّةً وَّسَطًا لِّتَكُوْنُوْا شُهَدَآءَ عَلَي النَّاسِ وَيَكُوْنَ الرَّسُوْلُ عَلَيْكُمْ شَهِيْدًا)
“আর এভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী ন্যায়পরায়ণ উম্মত করেছি যেন তোমরা মানুষের জন্য সাক্ষী হও এবং রাসূলও তোমাদের জন্য সাক্ষী হন।” (সূরা বাকারাহ ২:১৪৩)
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তা‘আলা উক্ত তিন শ্রেণির বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন:
প্রথম শ্রেণি হলেন যারা তাদের নিজের প্রতি অত্যাচারী। অর্থাৎ এমন লোক, যারা কিছু ফরয বিধান পালনে শৈথিল্য করে এবং কিছু হারাম কর্মেও লিপ্ত হয়ে পড়ে। অথবা ঐ সকল ব্যক্তি যারা সগীরা গুনাহ করে ফেলে।
দ্বিতীয় শ্রেণি: এরা হলো এমন লোক যারা ওয়াজীবসমূহ যথাযথভাবে পালন করে এবং হারাম কাজগুলো বর্জন করে।
তৃতীয় শ্রেণি: এরা হলো ঐ সকল ব্যক্তিবর্গ যারা ফরযসমূহ তো আদায় করেই এমনকি নফল, মুস্তাহাব কাজগুলোও যথাযথভাবে আদায় করে এবং সর্বদা হারাম কর্ম থেকে বিরত থাকে।
ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন: এ তিন শ্রেণিই উম্মাতে মুহাম্মাদীর অন্তর্ভুক্ত যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা অবতীর্ণ প্রত্যেকটি কিতাবের উত্তরাধিকারী বানিয়েছেন। এদের মধ্যে নিজেদের ওপর কেউ জুলুম করেছে, তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হবে, কেউ মধ্যম পন্থা অবলম্বন করেছে, তাদের সহজ হিসাব নেয়া হবে, আর কেউ কল্যাণ কাজে অগ্রগামী, তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। কেউ কেউ বলেছেন: যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছে তারা এ উম্মাতের অন্তভুর্ক্ত নয়। সঠিক কথা হলো তারাও এ উম্মাতের মধ্যে শামিল। (ইবনু কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমার উম্মাতের কবীরা গুনাহকারী অপরাধীরাও আমার শাফায়াত পাবে। (তিরমিযী হা: ২৪৩৫, আবূ দাঊদ হা: ৪৭৩৯ সহীহ)
الْفَضْل বা অনুগ্রহ দ্বারা যে অনুগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে তা হলোন তাদেরকে এ কিতাব দেয়ার জন্য মনোনীত করা এবং তা দান করা। আর এটাই হলো সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ।
আমরা যেন সর্বদা আল্লাহ তা‘আলার ফরযসহ অন্যান্য ইবাদত পালন করত হারাম কাজ বর্জন করে তৃতীয় শ্রেণির লোকের মধ্যে শামিল হয়ে সৌভাগ্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারি।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুরআন একটি সত্য কিতাব যাতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই এবং এটি পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যতা প্রমাণকারী।
২. উম্মাতে মুহাম্মাদীর মর্যাদা সম্পর্কে অবগত হলাম।
৩. উম্মাতে মুহাম্মাদীর মধ্যে আমলের দিক দিয়ে তিন শ্রেণির মানুষ রয়েছে। একটি হলো নিজের প্রতি অত্যাচারী, অপরটি হলো মধ্যমপন্থী এবং তৃতীয়টি হলো কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings