Surah Fatir Tafseer
Tafseer of Fatir : 18
Saheeh International
And no bearer of burdens will bear the burden of another. And if a heavily laden soul calls [another] to [carry some of] its load, nothing of it will be carried, even if he should be a close relative. You can only warn those who fear their Lord unseen and have established prayer. And whoever purifies himself only purifies himself for [the benefit of] his soul. And to Allah is the [final] destination.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৫-১৮ নং আয়াতের তাফসীর:
প্রথমত আল্লাহ তা‘আলা তা’আলা নিজের পরিপূর্ণতার বর্ণনা দিয়ে বলছেন, সকল মানুষ আল্লাহ তা‘আলার মুখাপেক্ষী, কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা কারো মুখাপেক্ষী নন। আল্লাহ তা‘আলার বাণী,
(وَاللّٰهُ الْغَنِيُّ وَأَنْتُمُ الْفُقَرَا۬ءُ ج وَإِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ لا ثُمَّ لَا يَكُوْنُوْآ أَمْثَالَكُمْ)
“আল্লাহ অভাবমুক্ত, তোমরাই অভাবগ্রস্ত। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে রাখ তাহলে আল্লাহ তোমাদের বদলে অন্য কাওমকে নিয়ে আসবেন। আর তারা তোমাদের মত হবে না।” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৮)
হাদীসে কুদসীতে এসেছে:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হে আমার বান্দা, তোমাদের পূর্বাপর সকল মানুষ ও জিন জাতি, তোমাদের জীবিত ও মৃত সবাই যদি ভাল হয়ে একজন সৎ লোকের আত্মার মত হয়ে যাও তাহলে আমার রাজত্বের কিছুই বৃদ্ধি পাবে না। আবার তোমাদের পূর্বাপর সকল মানুষ ও জিন জাতি, তোমাদের জীবিত ও মৃত সবাই যদি খারাপ হয়ে একজন খারাপ লোকের আত্মার মত হয়ে যাও তাহলে আমার রাজত্বের কোন কিছুই কমবে না। (সহীহ মুসলিম হা: ২৫৭৭)
(إِنْ يَّشَأْ يُذْهِبْكُمْ وَيَأْتِ بِخَلْقٍ جَدِيْدٍ)
‘যদি তিনি ইচ্ছা করেন তবে তোমাদেরকে ধ্বংস করে দেবেন এবং এক নতুন সৃষ্টি আনবেন।’ এ সম্পর্কে পূর্বে সূরা নিসা’র ১৩৩ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
(وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ أُخْرٰي)
কোন ব্যক্তি অন্যজনের পাপের ভার বহন করবে না। প্রত্যেকে নিজেই তার পাপের ভার বহন করবে। ইকরিমা (عليه السلام) অত্র আয়াতের তাফসীরে বলেন: সে দিন এক পিতা তার পুত্রকে বলবে, তুমি জান যে, আমি তোমার প্রতি কেমন স্নেহশীল ও সদয় পিতা ছিলাম। পুত্র স্বীকার করে বলবে: নিশ্চয়ই আপনার ঋণ অসংখ্য। আমার জন্য পৃথিবীতে অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। অতঃপর পিতা বলবে: হে বৎস, আজ আমি তোমার মুখাপেক্ষী। তোমার পুণ্যসমূহের মধ্য থেকে আমাকে যৎসামন্য দিয়ে দাও, এতে আমার মুক্তি হয়ে যাবে। পুত্র বলবে: বাবা আপনি সামান্য বস্তুই চেয়েছেন কিন্তু আমি কী করব, যদি আমি তা আপনাকে দিয়ে দেই, তবে আমারও তো সে অবস্থা হবে। অতএব আমি আপনাকে যৎসামান্য পুণ্য দিতে অক্ষম। অতঃপর সে তার সহধর্মিণীকেও এ কথা বলবে যে, দুনিয়াতে আমি তোমার জন্য সবকিছু বিসর্জন দিয়েছি। আজ তোমার কাছে সামান্য পুণ্য চাচ্ছি, তুমি তা দিয়ে দাও। সহধর্মিণীও পুত্রের অনুরূপ জওয়াব দেবে।
ইকরিমা বলেন:
(وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ أُخْرٰي)
বাক্যের অর্থও তাই। এ সম্পর্কে আলোচনা সূরা বানী ইসরাঈল-এর ১৫ নং আয়াতেও করা হয়েছে।
مُثْقَلَةٌ বলা হয় সে ব্যক্তিকে যে পাপের বোঝা বহন করবে, সে তার পাপের বোঝা বহন করার জন্য নিজের আত্মীয়দেরকে ডাকবে, কিন্তু কেউ তার আহ্বানে সাড়া দিবে না।
( إِنَّمَا تُنْذِرُ الَّذِيْنَ..... الصَّلٰوةَ)
‘তুমি কেবল তাদেরকে সতর্ক করতে পারো, যারা তাদের প্রতিপালককে না দেখে ভয় করে’ এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সতর্ক করাটা সীমাবদ্ধ করেছেন ঐ সকল লোকদের জন্য যারা আল্লাহ তা‘আলাকে না দেখেও ভয় করে এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করে। এখানে মু’মিনদের সাথে নির্দিষ্ট করার কারণ এই যে, যেহেতু তারাই এ সতর্কবাণী দ্বারা উপকৃত হয় তাই বস্তুত সকলকেই সতর্ক করা হয় কিন্তু যারা কাফির-মুশরিক তারা এর দ্বারা উপকৃত হয় না।
আল্লাহর বাণী,
(وَسَوَا۬ءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُوْنَ إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَيْبِ ج فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَّأَجْرٍ كَرِيْمٍ)
“তুমি তাদেরকে সতর্ক কর কিংবা না কর, তাদের পক্ষে উভয়ই সমান, তারা ঈমান আনবে না। তুমি কেবল তাকেই সতর্ক কর, যে উপদেশ মেনে চলে এবং না দেখে দয়াময় আল্লাহকে ভয় করে। অতএব তুমি তাকে সুসংবাদ শুনিয়ে দাও ক্ষমা ও উত্তম পুরস্কারের।” (সূরা ইয়াসীন ৩৬:১০-১১) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
(إِنَّمَآ أَنْتَ مُنْذِرُ مَنْ يَّخْشَاهَا)
“যে তার ভয় করে তুমি কেবল তারই সতর্ককারী।” (সূরা নাযিআত ৭৯:৪৫)
মূলত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকলের জন্যই সতর্ককারী। আর বিশ্বাসীগণই যেহেতু এ সতর্কবাণী দ্বারা সতর্ক হয় তাই বিশেষ করে তাদের কথাই বলা হয়েছে।
অবশেষে আল্লাহ তা‘আলা বলেন যে, কেউ নিজেকে সংশোধন করে নিলে সে তা নিজের কল্যাণার্থেই করল। এর দ্বারা অন্য কারো কল্যাণ হবে না, বরং তারই উপকার হবে। আর যদি সংশোধন না করে নেয় তাহলে তার নিজেরই ক্ষতি হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা বান্দার কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন বরং বান্দা প্রতিটি কাজে আল্লাহ তা‘আলার মুখাপেক্ষী।
২. প্রত্যেককে তার নিজের পাপভার নিজেকেই বহন করতে হবে, কেউ কারো পাপভার বহন করবে না। যদিও নিকটাত্মীয় হয়।
৩. মানুষ যা কিছু করে তা মূলত তারই কল্যাণ বা অকল্যাণে আসবে, অন্য কারো নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings