Surah Fatir Tafseer
Tafseer of Fatir : 13
Saheeh International
He causes the night to enter the day, and He causes the day to enter the night and has subjected the sun and the moon - each running [its course] for a specified term. That is Allah, your Lord; to Him belongs sovereignty. And those whom you invoke other than Him do not possess [as much as] the membrane of a date seed.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২-১৪ নং আয়াতের তাফসীর:
(وَمَا یَسْتَوِی الْبَحْرٰنِ... وَلَعَلَّکُمْ تَشْکُرُوْنَﭛ)
আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমতা ও বড়ত্বে অনেকটা প্রমাণ পাওয়া যায় এ আয়াতে। আল্লাহ তা‘আলা দু’টি নদী পাশাপাশি প্রবাহিত করছেন, একটির পানি মিষ্টি ও সুপেয় আর অপরটির পানি লবণাক্ত যা পান করা যায় না, একটির পানি অপটির সাথে সংমিশ্রণ হয় না অথচ মাঝখানে বাহ্যিক কোন পার্টিশন নেই। নিশ্চয়ই এটা মহান আল্লাহর ক্ষমতা ও বড়ত্বের বহিঃপ্রকাশ। এ সম্পর্কে সূরা আল ফুরক্বা-ন-এর ৫৩ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
( وَمِنْ كُلٍّ تَأْكُلُوْنَ....)
‘তোমরা প্রত্যেকটি থেকেই টাটকা গোশত খাও....’ অর্থাৎ মিষ্টি ও নোনা উভয় পানি হতে মাছ পাওয়া যায়। لحم দ্বারা উদ্দেশ্য হল মাছ, যা তরতাজা ধরা হয়। তাই طري বা টাটকা বলা হয়েছে এবং সমুদ্রে পরিধেয় অলংকার ও রতœাবলী পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও সমুদ্রে যেসব নৌযান চলাচল করে সে কথাও বলা হয়েছে এ আয়াতে। এ সম্পর্কে সূরা নাহল-এর ১৪ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
(يُوْلِجُ اللَّيْلَ..... وَلَا یُنَبِّئُکَ مِثْلُ خَبِیْرٍﭝﺟ)
এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিছু নিদর্শন ও ক্ষমতার কথা ব্যক্ত করেছেন। এ সম্পর্কে পূর্বে সূরা লুক্বমান-এর ২৯-৩০ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে। قِطْمِيْرٍ বলা হয় পাতলা সাদা ছাল যা খেজুরের আঁটির ওপরে থাকে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, সমস্যা নিরসনে এবং কল্যাণ লাভের জন্য যারা আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যকে আহ্বান করে তারা আহ্বানকারীর ডাক শুনে না। আর যদি শুনেও তবে তারা ডাকে সাড়া দিতে পারবে না। এমনকি কিয়ামত দিবসে তারা তাদের আহ্বানকারীদেরকে অস্বীকার করবে এবং তারা তাদের শত্র“ হয়ে যাবে।
আল্লাহ বলেন,
(وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَّدْعُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَنْ لَّا يَسْتَجِيْبُ لَه۫ٓ إِلٰي يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَآئِهِمْ غٰفِلُوْنَ - وَإِذَا حُشِرَ النَّاسُ كَانُوْا لَهُمْ أَعْدَا۬ءً وَّكَانُوْا بِعِبَادَتِهِمْ كٰفِرِيْنَ)
“সে ব্যক্তির চেয়ে বেশি গোমরাহ আর কে হতে পারে, যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামত র্পযন্তও সাড়া দেবে না। বরং তারা তাদের আহ্বান সম্পর্কে গাফেল। (হাশরের ময়দানে ) যখন সব মানুষকে একত্রিত করা হবে তখন যারা তাদেরকে ডাকত তারা তাদের দুশমন হয়ে যাবে এবং তাদের ইবাদতকে অস্বীকার করবে।” (সূরা আহকাফ ৪৬:৫-৬)
সুতরাং আল্লাহ ব্যতীত এমন কেউ নেই যে, তার ইবাদত করলে সে তার ইবাদতকারীর কোন উপকার করতে পারবে। বরং তাদের ইবাদত করার কারণে আরো ক্ষতিগ্রস্থ হতে হবে এবং এ কারণে শাস্তি ভোগ করতে হবে। তাই সকল প্রকার সমস্যা নিরসনে এবং যাবতীয় কল্যাণ লাভের জন্য কেবল আল্লাহকেই আহ্বান করতে হবে। কেননা তিনি কল্যাণ দিতে পারেন, সকল সমস্যাও নিসরন করতে পারেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. প্রত্যেকের জন্যই একটি নির্ধারিত সময় রয়েছে, সে নির্ধারিত সময় চলে আসলে দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে।
২. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কারো ইবাদত করা যাবে না। কারণ তিনি ব্যতীত কেউ বিন্দু পরিমাণ জিনিসেরও মালিক নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings