Surah Saba Tafseer
Tafseer of Saba : 49
Saheeh International
Say, "The truth has come, and falsehood can neither begin [anything] nor repeat [it]."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৭-৫০ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা প্রথমত বর্ণনা করেছেন যে, দীন প্রচারে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিজের কোনই স্বার্থ নেই এবং তাঁর পার্থিব ধন-সম্পদের প্রতি কোন লোভ নেই। সে কথা মহান আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে দিয়েছেন। তাদের মনে যাতে করে এ সন্দেহের সৃষ্টি হয়ে তারা দূরে সরে না যায় যে, উক্ত দা‘ওয়াতের পিছনে তাঁর পার্থিব কোন পদ, মর্যাদা, ক্ষমতা বা ধন-সম্পদ উপার্জনের উদ্দেশ্য আছে। যদি তা উপার্জন করা উদ্দেশ্য থাকত তাহলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কার কুরাইশদেরকে এ কথা বলতেন না যখন তারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আরবের রাজত্ব দিতে চেয়েছিলন যদি তোমরা আমার এক হাতে চাঁদ এবং সূর্য এনে দাও তবুও আমি আল্লাহ তা‘আলার দীন থেকে একটুও পিছপা হব না। মূলত তাঁর উদ্দেশ্য ছিল সঠিক ধর্ম প্রচার করা এবং মানুষকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করে জান্নাতের পথ দেখানো। এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন যে, তিনি সত্যই অবতীর্ণ করেন। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা হক্ব কথা বলেন, নিজ রাসূলগণের প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ করেন এবং তাদের মাধ্যমে মানুষের জন্য হক্ব কথা ও বিষয় স্পষ্ট করে থাকেন এবং হক্ব দ্বারা মিথ্যা ও বাতিলকে বিদূরিত করেন। মিথ্যা কখনো সত্যের ওপর বিজয়ী হতে পারে না।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(يُلْقِي الرُّوْحَ مِنْ أَمْرِه۪ عَلٰي مَنْ يَّشَا۬ءُ مِنْ عِبَادِه۪ لِيُنْذِرَ يَوْمَ التَّلَاقِ)
“তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা রূহ (ওয়াহী) প্রেরণ করেন স্বীয় আদেশ সহ, যাতে সে সতর্ক করতে পারে সাক্ষাত (কিয়ামত) দিবস সম্পর্কে।” (সূরা মু’মিন ৪০:১৫)
হাদীসে বলা হয়েছে, ইবনু মাস‘ঊদ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় প্রবেশ করলেন তখন বায়তুল্লাহর চারদিকে ৩৬০টি মূর্তি ছিল। তিনি তাঁর হাতের লাঠি দ্বারা সেগুলোকে খোঁচা মারছিলেন আর নিম্ন আয়াত পড়ছিলেন।
(وَقُلْ جَا۬ءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ ط إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوْقًا)
“এবং বল: ‘সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে’; নিশ্চয়ই মিথ্যা তো বিলুপ্ত হবারই।” (সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:৮১)
সুতরাং সত্য যেখানে সমাগত মিথ্যা সেখানে বিতাড়িত হবেই। মিথ্যা কখনো বিজয়ী হতে পারে না।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হে রাসূল! তুমি বলো: যদি আমি পথভ্রষ্ট হই তাহলে তার পরিণাম আমাকেই ভোগ করতে হবে। আর যদি হিদায়াত প্রাপ্ত হই তাহলে আমার প্রতিপালক আমার প্রতি সত্যসহ ওয়াহী করেছেন। অর্থাৎ সর্বপ্রকার কল্যাণ আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে। আল্লাহ তা‘আলা যে ওয়াহী ও স্পষ্ট সত্য অবতীর্ণ করেছেনন তাতে সঠিক পথ ও হিদায়াত নিহিত আছে। মানুষ তাতেই সঠিক পথের দিশা পায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হয়, তাতে মানুষের নিজের ত্র“টি এবং প্রবৃত্তির খেয়াল-খুশি থাকে। এ জন্য তার কুফলও তাকেই ভোগ করতে হবে।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তিনি হচ্ছেন সর্বশ্রোতা ও সন্নিকটবর্তী। হাদীসে বলা হয়েছে, আবূ মূসা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমরা এমন কাউকে আহ্বান করছো না যিনি বধির ও অনুপস্থিত। বরং তোমরা আহ্বান করছ এমন সত্তাকে যিনি সর্বশ্রোতা, সন্নিকটবর্তী ও তোমাদের আহ্বানে সাড়া দানকারী। (সহীহ বুখারী হা: ২৯৯২, সহীহ মুসলিম হা: ২৭০৪)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা সদা-সর্বদা সত্য জিনিসই অবতীর্ণ করেন।
২. সত্যের মোকাবেলায় মিথ্যা সর্বদা পরাভূত হয়। মিথ্যা কখনো বিজয়ী হতে পারে না।
৩. সর্ব প্রকার কল্যাণ আল্লাহ তা‘আলার হাতে। তিনি কখনো কারো অকল্যাণ করেন না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings