Surah Saba Tafseer
Tafseer of Saba : 46
Saheeh International
Say, "I only advise you of one [thing] - that you stand for Allah, [seeking truth] in pairs and individually, and then give thought." There is not in your companion any madness. He is only a warner to you before a severe punishment.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে মুহাম্মদ (সঃ)! এই যে কাফিররা তোমাকে পাগল বলছে তুমি তাদেরকে বলে দাও- তোমরা এক কাজ কর, নিষ্ঠার সাথে চিন্তা কর এবং একে অপরকে জিজ্ঞেস করঃ মুহাম্মাদ (সঃ) কি পাগল? আর ঈমানদারীর সাথে একে অপরকে জবাবও দাও। তোমরা এককভাবেও চিন্তা কর এবং একে অপরকে জিজ্ঞেসও কর। কিন্তু শর্ত হলো এই যে, একগুয়েমী, হঠকারিতা এবং কথার পঁাচ মস্তিষ্ক হতে দূর করে দাও। এভাবে চিন্তা করলে তোমরা নিজেরাই জানতে ও বুঝতে পারবে যে, হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) পাগল নন। বরং তিনি সবারই শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি তোমাদেরকে একটি আসন্ন বিপদ থেকে সতর্ক করছেন যে বিপদ হতে তোমরা বে-খবর ও অসতর্ক রয়েছে ।
কোন কোন লোক এই আয়াত হতে একাকী এবং জামাআতে নামায পড়া উদ্দেশ্য মনে করেছেন। আর এর প্রমাণ হিসেবে একটি হাদীসও পেশ করেছেন। কিন্তু হাদীসটি দুর্বল। ঐ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমাকে তিনটি জিনিস দেয়া হয়েছে যা আমার পূর্বে অন্য কাউকেও দেয়া হয়নি। আমি এটা গর্ব বা ফখর করে বলছি না। আমার জন্যে গানীমাত বা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে যা আমার পূর্বে আর কারো জন্যে হালাল করা হয়নি। তারা গানীমতের মাল জমা করে জ্বালিয়ে দিতেন। আমি শ্বেত ও কৃষ্ণের নিকট প্রেরিত হয়েছি, অথচ প্রত্যেক নবী শুধু তার কওমের নিকট প্রেরিত হতেন। আর আমার জন্যে সমগ্র যমীনকে মসজিদ এবং অযুর জিনিস বানানো হয়েছে। আমি এর মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে থাকি। আর আমি যেখানেই থাকি না কেন, নামাযের সময় হয়ে গেলে সেখানেই নামায পড়ে নিই। আমার প্রতিপালক মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা আল্লাহর সামনে আদবের সাথে দাড়িয়ে যাও। আর এক মাসের পথ পর্যন্ত আমাকে শুধু রু’ব বা প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে।” সনদের দিক থেকে এ হাদীসটি দুর্বল এবং খুব সম্ভব যে, এতে আয়াতের উল্লেখ এবং এর দ্বারা জামাআত অথবা একাকী নামায পড়ার অর্থ নেয়া, এটা বর্ণনাকারীর নিজেরই উক্তি এবং একে এমনভাবে বর্ণনা করে দেয়া হয়েছে যে, বাহ্যতঃ শব্দগুলো হাদীসের বলে মনে হচ্ছে। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হাদীসগুলো সহীহ সনদসহ বহু সংখ্যক বর্ণিত আছে। কিন্তু কোনটাতেই এই শব্দগুলো নেই। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।
মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এই নবী (সঃ) তো তোমাদেরকে আসন্ন কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ককারী মাত্র। এটা একটু আগেই বলা হয়েছে যে, এগুলো সম্বন্ধে তারা কোন চিন্তা করে না ও সতর্ক হয় না।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা নবী (সঃ) সাফা পাহাড়ের উপর আরোহণ করেন এবং আরবের প্রথা অনুযায়ী (আরবী) বলে উচ্চস্বরে ডাক দিতে লাগলেন। এটি একটি আলামত যে, কোন বিশেষ ব্যক্তি বিশেষ কোন কাজের জন্যে ডাক দিচ্ছে। প্রথামত লোকেরা এ ডাক শুনেই দৌড়িয়ে আসলো এবং সেখানে একত্রিত হলো। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদেরকে সম্বোধন করে বললেনঃ “শুননা, আমি যদি বলি যে, শত্রু সৈন্য তোমাদের উপর হামলা করতে আসছে এবং এতে বিস্ময়ের কিছুই নেই যে, তারা সকালে বা সন্ধ্যায় তোমাদেরকে আক্রমণ করে বসবে, তাহলে কি তোমরা আমার কথাকে সত্য বলে মেনে নিবে?” উত্তরে সবাই সমস্বরে বললোঃ “হ্যা, আমরা আপনাকে সত্যবাদী বলে মেনে নিবো।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন বললেনঃ “আমি তোমাদেরকে ঐ আযাব থেকে ভয় দেখাচ্ছি যা তোমাদের সামনে রয়েছে। তার একথা শুনে অভিশপ্ত আবু লাহাব বললোঃ “তোমার হাত ভেঙ্গে যাক, এজন্যে কি তুমি আমাদেরকে একত্রিত করেছো?” (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ) বর্ণনা করেছেন) এরই পরিপ্রেক্ষিতে সূরায়ে ‘লাহাব অবতীর্ণ হয়। এ হাদীসগুলো (আরবী) (২৬:২১৪)-এই আয়াতের তাফসীরে গত হয়েছে।
হযরত বুরাইদা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন এবং এসে তিনবার ডাক দিলেন। অতঃপর বললেনঃ “হে লোক সকল! আমার এবং তোমাদের দৃষ্টান্ত কি তা তোমরা জান কি?" উত্তরে তারা বললেনঃ “আল্লাহ তা'আলা এবং তাঁর রাসূলই (সঃ) খুব ভাল জানেন।” তিনি তখন বললেনঃ “আমার এবং তোমাদের দৃষ্টান্ত ঐ কওমের মত যাদের উপর শত্রু হামলা করার জন্যে ওঁৎ পেতে আছে। তারা তাদের লোক পাঠিয়েছে যে, সে যেন গিয়ে দেখে ও তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে তাদেরকে জানিয়ে দেয়। লোকটি যখন গিয়ে দেখলো যে, শত্রুরা তাদের দিকে এগিয়ে আসছে এবং নিকটে এসে গেছে তখন দ্রুতগতিতে সে তার কওমের দিকে এগিয়ে চললো এবং মনে করলো যে, তার পৌঁছার পূর্বেই হয় তো শক্ররা তার কওমের উপর হামলা করে দিতে পারে, তাই সে রাস্তাতেই তার কাপড় হেলাতে শুরু করলো যে, তারা যেন সতর্ক হয়ে যায়। কেননা, শত্রুরা এসেই পড়েছে। তিনবার তিনি একথাই বললেন।” (এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ (রঃ)
অন্য হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “আমি এবং কিয়ামত একই সাথে প্রেরিত হয়েছি। এটা খুব নিকটের ব্যাপার ছিল যে, কিয়ামত আমার পূর্বেই এসে যেতো।”
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings