Surah Saba Tafseer
Tafseer of Saba : 43
Saheeh International
And when our verses are recited to them as clear evidences, they say, "This is not but a man who wishes to avert you from that which your fathers were worshipping." And they say, "This is not except a lie invented." And those who disbelieve say of the truth when it has come to them, "This is not but obvious magic."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৩-৪৫ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্ব যুগের কাফির-মুশরিকরদের মত মক্কার কাফিররাও নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা প্রেরিত রাসূল হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করে। যখন তিনি তাদের কাছে আল্লাহ তা‘আলার আয়াত তথা কুরআন তেলাওয়াত করেন তখন তারা বলে: মুহাম্মাদ তো একজন মানুষ, সে আমাদের বাপ-দাদার মা‘বূদদের ইবাদত করা থেকে বিরত রাখতে চায়। পূর্ব যুগের কাফির-মুশরিকরাও এরূপ কথা বলতো, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا مَنَعَ النَّاسَ أَنْ يُّؤْمِنُوْآ إِذْ جَا۬ءَهُمُ الْهُدٰٓي إِلَّآ أَنْ قَالُوْآ أَبَعَثَ اللّٰهُ بَشَرًا رَّسُوْلًا)
“যখন তাদের নিকট আসে পথনির্দেশ তখন লোকদেরকে ঈমান আনা হতে বিরত রাখে তাদের এ উক্তি, ‘আল্লাহ কি মানুষকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন?’’ (সূরা ইসরা ১৭:৯৪)
তারা কুরআনের ব্যাপারে আরো বলতন এ কুরআন মিথ্যা ও মুহাম্মাদ তা তৈরি করেছে।
(وَمَآ اٰتَيْنٰهُمْ مِّنْ كُتُبٍ يَّدْرُسُوْنَهَا)
‘আর আমি এদেরকে আগে কখনও কোন গ্রন্থ দেইনি যা তারা পাঠ করত’ অর্থাৎ তারা যে কুরআনকে মিথ্যা ও মুহাম্মাদ তা তৈরি করেছে বলে দাবী করে তার প্রমাণ কোথায়? ইতোপূর্বে তো এমন কোন কিতাব দেইনি যা অধ্যয়ন করে তারা জেনেছে যে, কুরআন মিথ্যা ও বানোয়াট। আর এমন কোন রাসূলও প্রেরণ করিনি যে, তিনি বলেছেন কুরআন মিথ্যা ও বানোয়াট। সুতরাং তারা কিসের ভিত্তিতে এসব কথা বলছে। তাদের কথার কোন প্রমাণ নেই।
(وَمَا بَلَغُوْا مِعْشَارَ مَآ اٰتَيْنٰهُمْ)
‘তাদেরকে আমি যা দিয়েছিলাম এরা তার দশ ভাগের এক ভাগও পায়নি’ কারো মতে مِعْشَارَ শব্দের অর্থ عشر অর্থাৎ দশ ভাগের একভাগ। কারো মতে عشر العشر অর্থাৎ একশ ভাগের এক ভাগ। কারো মতে عشر العشير অর্থাৎ এক হাজার ভাগের একভাগ। সুতরাং আয়াতের অর্থ হবেন পূর্ববর্তী উম্মতের পার্থিব ধনৈশ্বর্য, শাসনক্ষমতা, সুদীর্ঘ বয়স, স্বাস্থ্য ও শক্তি-সামর্থ্য ইত্যাদি যে পরিমাণ দান করা হয়েছিল, মক্কাবাসীরা তার দশ ভাগের এক বরং একহাজার ভাগের এক ভাগও পায়নি। তাই পূর্ববর্তীদের অবস্থা ও অশুভ পরিণাম থেকে তাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। তারা নাবীদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে আযাবে পতিত হয়েছিল এবং সে আযাব যখন এসে যায়, তখন তাদের শক্তি-সামর্থ্য, বীরত্ব, ধনৈশ্বর্য ও সুরক্ষিত দূর্গ কোনই কাজে আসেনি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَقَدْ مَكَّنّٰهُمْ فِيْمَآ إِنْ مَّكَّنّٰكُمْ فِيْهِ وَجَعَلْنَا لَهُمْ سَمْعًا وَّأَبْصَارًا وَّأَفْئِدَةً ﺘ فَمَآ أَغْنٰي عَنْهُمْ سَمْعُهُمْ وَلَآ أَبْصَارُهُمْ وَلَآ أَفْئِدَتُهُمْ مِّنْ شَيْءٍ إِذْ كَانُوْا يَجْحَدُوْنَ بِاٰيٰتِ اللّٰهِ وَحَاقَ بِهِمْ مَّا كَانُوْا بِه۪ يَسْتَهْزِئُوْنَ)
“আমি তাদেরকে এমন সব কিছু দিয়েছিলাম, যা তোমাদেরকে দিইনি। আমি তাদেরকে কান, চোখ ও হৃদয় দিয়েছিলাম; কিন্তু তাদের কান, চোখ ও হৃদয় তাদের কোনো কাজে আসল না। কারণ, তারা আল্লাহর আয়াতগুলোকে অস্বীকার করেছিল। যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করত তা-ই তাদেরকে ঘিরে ফেলল।” (সূরা আহকাফ ৪৬:২৬)
এখানে পূর্ববর্তী লোকদের কথা উল্লেখ করে বুঝাতে চেয়েছেন যে, পূর্ববর্তী লোকদেরকে নাবীদের অস্বীকার করার কারণে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং এদের চিন্তা করে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। তারা ছিল সর্বদিক দিয়ে শক্তিশালী, তারপরেও তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। সুতরাং তোমাদেরকে ধ্বংস করাটা কোন ব্যাপারই নয়।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কাউকে সৎ পথের অনুসরণ করা থেকে বাধা প্রদান করা যাবে না।
২. নাবী রাসূলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা যাবে না।
৩. নাবী-রাসূলগণ যে সকল মু‘জিযা দেখিয়েছেন এগুলো সত্য, এগুলো কোন জাদুবিদ্যা নয়। কারণ জাদুবিদ্যা হারাম। আর নাবী-রাসূলগণ কখনো হারাম কাজ করতে পারেন না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings