Surah Saba Tafseer
Tafseer of Saba : 22
Saheeh International
Say, [O Muhammad], "Invoke those you claim [as deities] besides Allah ." They do not possess an atom's weight [of ability] in the heavens or on the earth, and they do not have therein any partnership [with Him], nor is there for Him from among them any assistant.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২২-২৩ নং আয়াতের তাফসীর:
(قُلِ ادْعُوا الَّذِيْنَ زَعَمْتُمْ.....)
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দুনিয়ার মুশরিকদের মাঝে ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন: সে সকল মুশরিকদেরকে বলে দাওন যারা আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত তৈরি করা অন্যান্য মা‘বূদদেরকে কল্যাণ নিয়ে আসার জন্য ও অকল্যাণ দূরভিত করার জন্য আহ্বান করতো তাদেরকে উপস্থিত কর? তারা সেদিন হারিয়ে যাবে। কারণ তারা আকাশ-জমিনের কোন কিছুর মালিক নয়। আল্লাহ তা‘আলার বাণী,
(وَالَّذِيْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِه۪ مَا يَمْلِكُوْنَ مِنْ قِطْمِيْرٍ)
“তোমরা তাকে ব্যতীত যাকে ডাক তারা খেজুরের আঁটি সংলগ্ন আবরণের মালিকও নয়।” (সূরা ফাতির ৩৫:১৩)
সুতরাং যারা কোন কিছুর মালিক নয় তাদেরকে কেন বিপদাপদে আহ্বান করব, যিনি বিপদাপদ দিয়েছেন তিনিই তো তা থেকে মুক্ত করতে পারেন। তাই তাঁকেই আহ্বান করা আবশ্যক। এ সম্পর্কে পূর্বে সূরা বানী ইসরা‘ঈলের ৫৬ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
(وَلَا تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ عِنْدَه)
‘আল্লাহর কাছে কারও সুপারিশ উপকারে আসবে না’ এ শাফা‘আত বা সুপারিশ সূরা বাকারার আয়াতুল কুরসীসহ একাধিক স্থানে আলোচনা করা হয়েছে। কিয়ামতের দিন কোন ব্যক্তিই কোন প্রকার সুপারিশ করতে পারবে না তবে আল্লাহ তা‘আলা যাকে অনুমতি দেবেন সে ব্যতীত। আল্লাহ তা‘আলার বাণী,
(وَكَمْ مِّنْ مَّلَكٍ فِي السَّمٰوٰتِ لَا تُغْنِيْ شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا إِلَّا مِنْمبَعْدِ أَنْ يَّأْذَنَ اللّٰهُ لِمَنْ يَّشَا۬ءُ وَيَرْضٰي)
“আকাশসমূহে কত ফেরেশতা রয়েছে! তাদের কোন সুপারিশ কাজে আসবে না যতক্ষণ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এবং যার প্রতি সন্তুষ্ট তাকে অনুমতি না দেন।” (সূরা নাজম ৫৩:২৬)
সুতরাং কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার সামনে কথা বলার কেউ সাহস পাবে না।
(قَالُوْا مَاذَا لا قَالَ رَبُّكُمْ)
এখানে দু’টি অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে: ১. কিয়ামতের দিন যখন মুশরিকদের অন্তর থেকে ভয় দূর হয়ে যাবে এবং তাদের জ্ঞান ও সস্তি ফিরে আসবে দুনিয়াতে তারা যে সত্যকে অস্বীকার ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করত সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে তখন তারা তা স্বীকার করবে যে, আমরা তা অস্বীকার করতাম এবং আমরা শিরক ও বাতিলের ওপর ছিলাম। আল্লাহ তা‘আলা যা বলেছেন ও রাসূলগণ যা সংবাদ দিয়েছেন তা-ই সত্য। পূর্বাপর আয়াতের সাথে এ অর্থই বেশি সামঞ্জস্য। ২. ফেরেশতারা তথায় ভয়ে ভীত হয়ে পড়বে এবং কোন কথাই বলবে না। অবশেষে যখন ভয় চলে যাবে তখন পরস্পর বলবে যে, তোমাদের প্রভু কী বলেছেন? উত্তরে তারা বলবে যে, তিনি যথার্থই বলেছেন।
যেমন হাদীসে উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে যে, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যখন আল্লাহ তা‘আলা আকাশে কোন কাজের সিদ্ধান্ত করেন তখন ফেরেশ্তারা ভয়ে তাদের ডানা নাড়াতে থাকে। যেন এটি পাথরের ওপর শিকলের মসৃণ শব্দ। যখন তাদের অন্তর থেকে ভয় চলে যায় তখন তারা পরস্পর বলাবলি করতে থাকে যে, তোমাদের প্রতিপালক তিনি কী বলেছেন? তারা বলে যে, তিনি যথার্থই বলেছেন। তিনি সুউচ্চ ও বড়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৮০০)
সুতরাং কেউ আল্লাহ তা‘আলার অনুমতি ব্যতীত তার সম্মুখে কথা বলার সাহস পাবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা এক ও অদ্বিতীয়, তিনি ব্যতীত আর কোন মা‘বূদ নেই এবং কোন মালিকও নেই।
২. আল্লাহ তা‘আলার অনুমতি ব্যতীত তার সম্মুখে কেউ কোন কথা বলতে পারবে না।
৪. কিয়ামতের মাঠে কারো জন্য কেউ কোন লোক সুপারিশ করতে পারবে না, কেবল তারাই পারবে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা অনুমতি দিব।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings