Surah Al Ahzab Tafseer
Tafseer of Al-Ahzab : 49
Saheeh International
O You who have believed, when you marry believing women and then divorce them before you have touched them, then there is not for you any waiting period to count concerning them. So provide for them and give them a gracious release.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
এই আয়াতে অনেকগুলো হুকুম বর্ণনা করা হয়েছে। এ কথা দ্বারা বুঝা যায় যে, শুধু বিবাহ বন্ধনের পরও তালাক দেয়া যেতে পারে। এর প্রমাণ হিসেবে এর চেয়ে উত্তম আর কোন আয়াত নেই। এতে কিছুটা মতভেদ রয়েছে যে, প্রকৃতপক্ষে বিবাহ কি শুধু ঈযাব-ককূলের নাম? না কি শুধু সহবাসের জন্যেই বিবাহ? না কি উভয় কাজের জন্যেই বিবাহ? কুরআন কারীমে কথাটি বন্ধন ও সহবাস উভয় কাজের জন্যে প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এই আয়াতে শুধু বন্ধনের জন্যে ব্যবহৃত হয়েছে। এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, সহবাসের পূর্বে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে। এখানে মুমিনাতের উল্লেখ করার কারণ এই যে, সাধারণতঃ মুমিনরা মুমিনা নারীদেরকেই বিয়ে করে থাকে। তবে আহলে কিতাব স্ত্রীদের ব্যাপারেও এটাই প্রযোজ্য হবে। পূর্বযুগীয় গুরুজনদের একটি বড় দল এ আয়াত হতে একটি দলীল গ্রহণ করেছেন যে, তালাক তখনই প্রযোজ্য হবে যখন পূর্বে বিবাহ হয়ে থাকবে। এ আয়াতে বিবাহের পরে তালাকের কথা উল্লেখ করা। হয়েছে। বিবাহের পূর্বে তালাক সহীহ নয় এবং তা প্রযোজ্যও হয় না। ইমাম শাফেয়ী (রঃ), ইমাম আহমাদ (রঃ) এবং আরো কয়েকজন বড় বড় মনীষীরও উক্তি এটাই। ইমাম আবু হানীফা (রঃ) ও ইমাম মালিক (রঃ)-এর মত এই যে, বিবাহের পূর্বেও তালাক হয়ে থাকে। যেমন কেউ যদি বলে, “আমি যদি অমুক মহিলাকে বিয়ে করি তবে সে তালাকপ্রাপ্তা ।" এমতাবস্থায় তাঁদের উভয়ের মতে যদি সে ঐ মহিলাকে বিয়ে করে তবে তার তালাক হয়ে যাবে। আবার ইমাম মালিক (রঃ) ও ইমাম আবূ হানীফা (রঃ)-এর মধ্যে ঐ লোকটির ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে যে বলেঃ ‘আমি যে মহিলাকে বিয়ে করবো সেই তালাকপ্রাপ্তা হবে।” এই অবস্থায় ইমাম আবু হানীফা (রঃ) বলেন যে, যে নারীকেই সে বিয়ে করবে সেই তালাকপ্রাপ্তা হয়ে যাবে। কিন্তু ইমাম মালিক (রঃ)-এর মত এই যে, তার তালাক হবে না। কেননা লোকটি কোন নারীকে নির্দিষ্ট করেনি। জমহুর উলামা এর বিপরীত মত পোষণ করেন। তাঁদের দলীল এ আয়াতটি।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয় যে, যদি কেউ বলেঃ “আমি যে মহিলাকে বিয়ে করবো তার উপরই তালাক পড়ে যাবে, তবে এর হকুম কি? উত্তরে তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন এবং বলেনঃ “এই অবস্থায় তালাক হবে না। কেননা, মহামহিমান্বিত আল্লাহ বিবাহের পরে তালাকের কথা বলেছেন। সুতরাং বিবাহের পূর্বের তালাক কিছুই নয়।"
হযরত আমর ইবনে শুআয়েব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে এবং তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “ইবনে আদম যার মালিক নয় তাতে তালাক নেই।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ), ইমাম আবু দাউদ, (রঃ) ইমাম তিরমিযী (রঃ) এবং ইমাম ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন) অন্য এক হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “বিবাহের পূর্বে তালাক নেই।” (এ হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তোমরা মুমিনা নারীদেরকে বিয়ে করার পর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিলে তোমাদের জন্যে তাদের পালনীয় কোন ইদ্দত নেই যা তোমরা গণনা করবে।
এ ব্যাপারে আলেমগণ একমত যে, যদি কোন নারীকে সহবাসের পূর্বে তালাক দেয়া হয় তবে তার জন্যে কোন ইদ্দত নেই। সুতরাং সে তখনই যার সাথে ইচ্ছা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যেতে পারে। হ্যা, তবে যদি এই অবস্থায় তার স্বামী মৃত্যুবরণ করে তাহলে এ হুকুম প্রযোজ্য হবে না। বরং তাকে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করতে হবে।
সুতরাং বিবাহের পরেই এবং স্পর্শ করার পূর্বেই যদি স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়, আর যদি এ বিবাহের মহরও ধার্য হয়ে থাকে তবে স্ত্রী অর্ধেক মহর পাবে। কিন্তু যদি মহর নির্ধারিত না হয়ে থাকে তবে অল্প কিছু স্ত্রীকে দিলেই তা যথেষ্ট হবে। অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবি)
অর্থাৎ “যদি তোমরা তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই তালাক প্রদান কর এবং তাদের জন্যে মহর নির্ধারণ করে থাকো তবে যা নির্ধারণ করেছে তার অর্ধেক তারা পাবে।” (২:২৩৭) আর এক জায়গায় রয়েছে (আরবি)
অর্থাৎ “যদি তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই তালাক দিয়ে দাও তবে এতে কোন অপরাধ নেই। যদি তাদের জন্যে কোন মহর নির্ধারণ না করে থাকো তবে নিজ নিজ সাধ্যানুসারে তাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে দাও। ধনী তার শক্তি অনুযায়ী দেবে এবং গরীবও তার শক্তি অনুযায়ী দেবে, এটা প্রচলিত পন্থায় দিতে হবে, এটা সৎকর্মশীলদের জন্যে অবশ্যকরণীয় কাজ।” (২:২৩৬)
হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) ও হযরত আবু উসায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তারা দু'জন বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) উমাইয়া বিনতে শারাহীলকে বিয়ে করেন। অতঃপর সে যখন নবী (সঃ)-এর কাছে আসলো তখন তিনি তার দিকে হাত বাড়ালেন। কিন্তু সে যেন এটা অপছন্দ করলো। তখন তিনি হযরত আবু উসায়েদ (রাঃ)-কে হুকুম করলেন যে, তার বিদায়ের সামান তৈরী করে দেয়া হালে এবং মূল্যবান দু'খানা কাপড় তাকে পরিয়ে দেয়া হোক। (এ হাদীসটি সহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে)
হযরত আলী ইবনে আবি তালহা (রাঃ) বলেন যে, যদি স্ত্রীর জন্যে মহর নির্ধারণ করা হয় এবং স্পর্শ করার পূর্বেই তালাক দিয়ে দেয়া হয় হবে তার জন্যে অর্ধেক মহর ছাড়া আর কিছুই নেই। আর মহর ধার্য করা না হলে তাকে সাধ্যমত প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কিছু দিতে হবে এবং এটাই হবে সৌজন্যের সাথে বিদায় করা।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings