Surah Al Ahzab Tafseer
Tafseer of Al-Ahzab : 39
Saheeh International
[ Allah praises] those who convey the messages of Allah and fear Him and do not fear anyone but Allah . And sufficient is Allah as Accountant.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩৯-৪০ নং আয়াতের তাফসীর:
প্রথমত আল্লাহ তা‘আলা নাবীদের প্রশংসা করেছেন যে, তারা আল্লাহ তা‘আলার রিসালাতকে পৃথিবীর সকল মানুষের নিকট পৌঁছিয়ে দিয়েছেন এবং একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকেই ভয় করতেন, অন্য কাউকে ভয় করতেন না। যার ফলে তারা নির্ভয়ে রিসালাতের দাওয়াত মানুষের নিকট প্রচার করতেন।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(قُلْ يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّيْ رَسُوْلُ اللّٰهِ إِلَيْكُمْ جَمِيْعَا نِالَّذِيْ لَه۫ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ ج لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ يُحْي۪ وَيُمِيْتُ ص فَاٰمِنُوْا بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِهِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الَّذِيْ يُؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَكَلِمٰتِه۪ وَاتَّبِعُوْهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَ)
“বল ‘হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী। তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্যিকারের মা‘বূদ নেই, তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান। সুতরাং তোমরা ঈমান আন আল্লাহ্র প্রতি ও তাঁর বার্তাবাহক উম্মী নাবীর প্রতি, যে আল্লাহ্ ও তাঁর বাণীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তারই অনুসরণ কর, যাতে তোমরা সঠিক পথ পাও।’’ (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৮)
হাদীসে এসেছে যে, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যকে ভয় করা যাবে না। আবূ সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমাদের কেউ যেন নিজেকে লাঞ্ছিত না করে যে, সে কাউকে শরীয়ত বিরোধী কাজ করতে দেখেও নীরব থাকে। আল্লাহ তা‘আলা তাকে বলবেন: এ ব্যাপারে কিছু বলতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিল? সে উত্তরে বলবে: হে আমার প্রতিপালক! আমি লোকদেরকে ভয় করতাম। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: আমাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করা উচিত ছিল। (মুসনাদ আহমাদ ৩/৩০)
এরপর আল্লাহ বলেন: মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন পুরুষ মানুষের পিতা নন। বরং তিনি আল্লাহ তা‘আলার রাসূল এবং শেষ নাবী। মানুষেরা যখন যায়েদ (رضي الله عنه)-কে যায়েদ বিন মুহাম্মাদ নামে সম্বোধন করতে লাগল তখন তাদের এ সম্বোধনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ আয়াতটি নাযিল করা হয় এবং এ কথা প্রমাণ করা হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নাবী তাঁর পর আর কোন নাবী আসবে না।
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নাবী এর প্রমাণ:
(১) ইতোপূর্বে আল্লাহ তা‘আলা যত নাবী প্রেরণ করেছেন কারো মাধ্যমে দীন পূর্ণ করে দেননি। কিন্তু মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাধ্যমে দীন পূর্ণ করে দিয়েছেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اَلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِيْنًا)
“আজ (আরাফাহ দিবস) তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম।” (সূরা মায়িদা ৫:৮)
সুতরাং দীন পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর আর কোন নাবী আসার সুযোগ ও প্রয়োজন নেই।
(২) জাবের ইবনু আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমার এবং অন্যান্য নাবীদের দৃষ্টান্ত হল ঐ ব্যক্তির মত, যে একটি ঘর নির্মাণ করল, ঐ ঘরটিকে পরিপূর্ণ করল এবং সুন্দর করে নির্মাণ করল তবে একটি ইট বসানোর জায়গা ব্যতীত। যে ব্যক্তিই ঐ ঘরে প্রবেশ করে সে ব্যক্তিই ঘরের সৌন্দর্য দেখে আশ্চর্য হয়ে বলে: কতই না সুন্দর, তবে শুধুমাত্র ঐ স্থানটুকু ব্যতীত। ঐ ইটের যে জায়গা সেটুকু হলাম আমি। আমার দ্বারাই নাবী পাঠানো বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ আমিই শেষ নাবী। (সহীহ বুখারী হা: ৩৫৩৫, সহীহ মুসলিম হা: ২২৮৬)
(৩) জুবাইর বিন মুতইম (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন: নিশ্চয়ই আমার কয়েকটি নাম রয়েছে। আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমাদ, আমি মাহী, আমার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা কুফরীকে মিটিয়ে দেবেন। আমি হাশের, আমার পায়ের ওপর দিয়ে জনগণকে একত্রিত করা হবে। আমি আকেব, আর আকেব বলা হয় যার পরে আর কোন নাবী আসবে না। (সহীহ বুখারী হা: ৩৫৩২, ২৩৫৪)
(৪) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (رضي الله عنه)-কে লক্ষ্য করে বলেছেন: হে আলী! মূসার কাছে হারূনের মর্যাদা যেরূপ আমার কাছে তোমার মর্যাদা সেরূপ তবে আমার পর আর কোন নাবী আসবে না। এ ছাড়াও অনেক প্রমাণ রয়েছে যা প্রমাণ করে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নাবী।
তাই প্রত্যেক মু’মিন-মুসলিমকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নাবী, তার পর পৃথিবীতে আর কোন নাবী আসবে না। কারো এ বিশ্বাস না থাকলে তার ঈমান থাকবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নাবী-রাসূলদের প্রধান দায়িত্ব হল আল্লাহ তা‘আলার রিসালাত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া।
২. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বশেষ নাবী এবং তার পরে আর কোন নাবী আসবে না।
৩. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন পুরুষ মানুষের পিতা নন অর্থাৎ তাঁর কোন জ্ঞানপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ছেলে ছিল না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings