Surah Al Ahzab Tafseer
Tafseer of Al-Ahzab : 37
Saheeh International
And [remember, O Muhammad], when you said to the one on whom Allah bestowed favor and you bestowed favor, "Keep your wife and fear Allah," while you concealed within yourself that which Allah is to disclose. And you feared the people, while Allah has more right that you fear Him. So when Zayd had no longer any need for her, We married her to you in order that there not be upon the believers any discomfort concerning the wives of their adopted sons when they no longer have need of them. And ever is the command of Allah accomplished.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩৭ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত
(وَتُخْفِيْ فِيْ نَفْسِكَ مَا اللّٰهُ مُبْدِيْهِ)
-এ আয়াতটি যয়নব বিনতে জাহাশ ও যায়েদ বিন হারেসার ব্যাপারে নাযিল হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৭৮৭, সহীহ মুসলিম হা: ৮৬, ১৪২৮)
উক্ত আয়াতে “যার প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও অনুগ্রহ করেছেন” বলে উল্লেখ করা হয়েছে সে ব্যক্তিটি হল রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পালক পুত্র যায়েদ বিন হারেসা। সেই অনুগ্রহ ছিল এই যে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে দীন ইসলাম গ্রহণ করার সুযোগ দিয়েছেন এবং তাকে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন। তার প্রতি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুগ্রহ ছিল এই যে, তিনি তাকে দীনি তরবিয়ত দান করেন ও তাকে স্বাধীন করে পুত্র বানিয়ে নেন এবং আপন ফুফু উমাইয়া বিনতে আবদুল মুত্তালিবের মেয়ের সাথে বিবাহ দেন।
“مبديه” যে বিষয়টি প্রকাশ করে দিয়েছিলেন সেটি হল, আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যয়নবকে পুনরায় বিবাহ দেবেন।
(فَلَمَّا قَضٰي زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا....)
যখন যয়নবের ইদ্দত পূর্ণ হয়ে গেল তখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করিয়ে দিলেন। হাদীসে এসেছে, আনাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: যখন যয়নব তার ইদ্দত পূর্ণ করল তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়েদ বিন হারেসাকে বললেন: তুমি যাও এবং তাকে আমার ব্যাপারে স্মরণ করিয়ে দাও অর্থাৎ আমার বিবাহের প্রস্তাব পৌঁছে দাও যায়েদ তার নিকট গেল, যখন তিনি আটা খামীর করছিলেন। যায়েদ বলেন: যখন আমি তাকে দেখলাম তখন তার শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা আমার ওপর এমনভাবে প্রাধান্য পেয়ে গেল যে, আমি তার দিকে তাকিয়ে কথা বলব, এমন সামর্থ্য ছিল না। কারণ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছেন। বরং আমি মুখ ফিরিয়ে বসলাম এবং তাকে বললাম, তুমি সুসংবাদ গ্রহণ কর আল্লাহ তা‘আলার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাকে প্রস্তাব দিয়েছেন। যয়নব বলল: আমি আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ ছাড়া কিছুই করব না। তখন তিনি সালাতে দাঁড়ালেন, এদিকে কুরআন নাযিল হয়ে গেল এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার গৃহে তার অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করলেন। (মুসনাদ আহমাদ হা: ১৯৫-১৯৬, নাসায়ী হা: ১১৪১০, সহীহ)
অন্য এক হাদীসে রয়েছে যে, আনাস হতে বর্ণিত, যয়নব (رضي الله عنها) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অন্যান্য স্ত্রীদের কাছে গর্ব করে বলতেন, তোমাদের বিবাহ দিয়েছেন তোমাদের পরিবার। আর আমার বিবাহ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা সপ্তম আকাশের ওপর থেকে। (সহীহ বুখারী হা: ৭৪২০)
এ বিবাহ দেয়ার সবচেয়ে বড় একটি কারণ আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করেছেন যে, যাতে করে মানুষেরা এটা মনে করা থেকে বিরত থাকে যে, পোষ্য-পুত্রদের স্ত্রীদেরকে বিবাহ করা বৈধ নয়। যেমনটি জাহেলী যুগে চালু ছিল। এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা জানিয়ে দিলেন যে, পোষ্য-পুত্রদের স্ত্রীদেরকে বিবাহ করা বৈধ, এরা আপন ছেলেদের মত নয়।
আল্লাহ তা‘আলা:
(وَحَلَآئِلُ أَبْنَآئِكُمُ الَّذِيْنَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ لا وَأَنْ تَجْمَعُوْا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ ط إِنَّ اللّٰهَ كَانَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا)
“তোমাদের ঔরসজাত পুত্রবধুকে এবং দুই বোনকে একসাথে বিয়ে করাও হারাম করা হয়েছে। তবে আগে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।” (সূরা নিসা ৪:২৩)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করতে হবে, কঠোর হওয়া যাবে না। তবে কারণবশত সেটি ভিন্ন কথা।
২. সদা-সর্বদা আল্লাহ তা‘আলাকেই ভয় করা উচিত। আর আল্লাহ তা‘আলাই এ ব্যাপারে অধিক হকদার।
৩. ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কোন তালাক প্রাপ্তা মহিলাকে বিবাহ করা যাবে না।
৪. পোষ্যপুত্রদের স্ত্রীদের বিবাহ করা বৈধ, তাই তাদের সাথে পর্দা করে চলা ওয়াজিব।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings