Surah Al Ahzab Tafseer
Tafseer of Al-Ahzab : 29
Saheeh International
But if you should desire Allah and His Messenger and the home of the Hereafter - then indeed, Allah has prepared for the doers of good among you a great reward."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৮-২৯ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
জাবের (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আবূ বাকর (رضي الله عنه) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন এবং অনুমতি প্রার্থনা করলেন কিন্তু তিনি তাকে অনুমতি দেননি। অতঃপর উমার (رضي الله عنه) আসলে তিনি তাকেও অনুমতি দেননি। পরে তিনি উভকেই অনুমতি দিলেন। তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রবেশ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসে ছিলেন এবং তাঁর পাশে তাঁর স্ত্রীগণ। আর তিনি নিরব ছিলেন। তখন উমার (رضي الله عنه) বললেন: আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এমন একটি কথা বলব যা শুনে তিনি হাসবেন। তিনি বললেন: হে আল্লাহ তা‘আলার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি যদি দেখতেন যে, যায়েদের কন্যা উমারের স্ত্রী সে এইমাত্র আমার কাছে তার খরচ ভার চেয়েছে। তখন আমি তার গলা ধরে ধাক্কা দিয়েছি। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন এবং বললেন: যারা আমার পাশে তারাও তো আমার নিকট খরচ দাবী করে। তখন আবূ বাকর আয়িশাহকে এবং উমার হাফসাকে মারার জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন। তারা উভয়েই তাদেরকে বললেন, তোমরা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট খরচ চাও যা তাঁর নিকট নেই? তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীদের স্বাধীনতা নিয়ে আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করলেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৭৮৫-৮৬, সহীহ মুসলিম হা: ১৪৭৮)
এখানে আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নির্দেশ প্রদান করেছেন যে, তিনি যেন তার স্ত্রীদেরকে দুটি জিনিসের মধ্য থেকে একটি বেছে নেয়ার স্বাধীনতা প্রদান করেন। যদি তারা পার্থিব জগতের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, সৌন্দর্য ও চাকচিক্য পছন্দ করে তবে তিনি যেন তাদেরকে তাঁর বিবাহ সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন। আর যদি দুনিয়ার অভাব-অনটনে ধৈর্যধারণ করত আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সন্তুষ্টি এবং আখিরাতের সুখ-শান্তি কামনা করে তবে যেন তারা তাঁর সাথে ধৈর্যধারণ করে জীবন অতিবাহিত করে। আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত নেয়ামত দ্বারা তাদেরকে সন্তুষ্ট রাখবেন। তখন নাবী পত্নীগণ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে থেকে বিপদে ধৈর্যধারণ করাই পছন্দ করলেন।
আয়িশাহ (رضي الله عنها) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহ তা‘আলার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদেরকে স্বাধীনতা প্রদান করলেন। প্রথমেই আমাকে বললেন: হে আয়িশাহ! আমি তোমাকে একটি কথা বলব, তার উত্তর তাড়াতাড়ি দেবার প্রয়োজন নেই, বরং তোমার পিতা-মাতার সাথে পরামর্শ করে তারপর বলবে। আয়িশাহ (رضي الله عنها) বলেন: আমার পিতা-মাতা সম্পর্কে ভালো করে জানেন, তারা কখনো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বর্জন করার পরামর্শ দেবেন না। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন। আয়িশাহ (رضي الله عنها) বলেন: এ বিষয়ে পিতা-মাতার সাথে পরামর্শ করব? আমি আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল এবং পরকাল চাই। আয়িশাহ (رضي الله عنها) যা করলেন অন্যান্য স্ত্রীরাও তাই করলেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৭৮৬, সহীহ মুসলিম হা: ১৪৭৫)
সুতরাং মু’মিন নারীদের জন্য এখানে শিক্ষা রয়েছে, তার স্বামী যা দিতে অক্ষম এমন কিছু তার কাছে দাবী করা উচিত নয়, বরং স্বামী তার সাধ্যমত যতটুকু ভরণপোষণ দেয় তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যারা দুনিয়া চায় তাদেরকে দুনিয়ায় দেয়া হবে। কিন্তু পরকালে তাদের জাহান্নাম ব্যতীত আর কিছুই থাকবে না।
২. যারা মুত্তাকী ও মু’মিন দুনিয়াতে তাদের অনেক দুঃখ, কষ্ট আসতে পারে এটাই স্বাভাবিক।
৩. যারা দুনিয়া প্রিয় তাদের সাথে সংসার করার চেয়ে না করাটাই উত্তম। কারণ তাতে আল্লাহ তা‘আলার কোন রহমত থাকে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings