32:9

ثُمَّ سَوَّٮٰهُ وَنَفَخَ فِيهِ مِن رُّوحِهِۦ‌ۖ وَجَعَلَ لَكُمُ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡأَبۡصَٰرَ وَٱلۡأَفۡــِٔدَةَ‌ۚ قَلِيلاً مَّا تَشۡكُرُونَ٩

Saheeh International

Then He proportioned him and breathed into him from His [created] soul and made for you hearing and vision and hearts; little are you grateful.

Tafsir "Tafsir Fathul Mazid" (Bengali)

৭-৯ নং আয়াতের তাফসীর: এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলার মানব সৃষ্টির নৈপুণ্যতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তিনি সবকিছুই সৃষ্টি করেছেন। সবই তিনি এমন সুন্দরভাবে ও উত্তম পদ্ধতিতে সৃষ্টি করেছেন যা কল্পনাতীত। প্রত্যেক বস্তুর সৃষ্টিই কত উত্তম, কত দৃঢ় ও কত মজবুত! আকাশ-পাতাল সৃষ্টির সাথে মানব সৃষ্টির ওপর চিন্তা-ভাবনা করলে বিস্মিত হতে হয়। তিনি মাটি হতে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন। এর দ্বারা মূলত আদম (عليه السلام)-কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে যার থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা হয়েছে। অতঃপর তিনি তার (আদমের) বংশ বিস্তার করেন তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্যাস হতে। এর দ্বারা সমগ্র মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। যে নির্যাস পুরুষের পিঠ ও নারীর বক্ষস্থল হতে নির্গত হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (يَّخْرُجُ مِنْۭ بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَا۬ئِبِ) “যা বের হয় পিঠ ও বুকের হাড়ের মধ্য হতে।” (সূরা তারিক ৮৬:৭)পরে তিনি তা সংগঠিত করেছেন মায়ের পেটে নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য, তারপর তাতে তাঁর রূহ ফুঁকে দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (فَإِذَا سَوَّيْتُه۫ وَنَفَخْتُ فِيْهِ مِنْ رُّوْحِيْ فَقَعُوْا لَه۫ سٰجِدِيْنَ)‏‘যখন আমি তাকে পূর্ণ মাত্রায় বানিয়ে দিব এবং তাতে আমার পক্ষ হতে রূহ সঞ্চার করব তখন তোমরা তার প্রতি সিজ্দাবনত হও’, (সূরা হিজর ১৫:২৯)এরপর তিনি মানুষকে চক্ষু, কর্ণ ও অন্তর দান করেছেন তথাপি তারা মহান রবের শুকরিয়া আদায় করে না। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. মানব সৃষ্টির সূচনা করা হয়েছে মাটি থেকে।২. আদম, হাওয়া ও ঈসা (আলাইহিমুস সালাম)-এর পরবর্তী সকল মানুষকে বীর্য হতে সৃষ্টি করা হয়েছে।

Arabic Font Size

30

Translation Font Size

17

Arabic Font Face

Help spread the knowledge of Islam

Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.

Support Us