Surah As Sajda Tafseer
Tafseer of As-Sajdah : 3
Saheeh International
Or do they say, "He invented it"? Rather, it is the truth from your Lord, [O Muhammad], that you may warn a people to whom no warner has come before you [so] perhaps they will be guided.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
নামকরণ:
এ সূরা সাজদাহ নামে নামকরণের অন্যতম একটি দিক হল সূরার ১৫ নং আয়াতে মু’মিনদের একটি অন্যতম গুণ বর্ণনা করা হয়েছে, তা হল তাদের সামনে যখন আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনাবলী স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় তখন তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। মূলত উক্ত আয়াতটি করলে বা শুনলে তেলাওয়াত সিজদার বিধান রয়েছে।
ফযীলত:
আবূ হুরাইরাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু‘আর দিন ফজরের সালাতে আলিফ-লাম-মীম তানযীল, আস-সাজদাহ এবং হাল আতা আলাল ইনসান পাঠ করতেন। অর্থাৎ সূরা সাজদাহ এবং দাহর পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী হা: ৮৯৭, সহীহ মুসলিম হা: ৮৮০)
অন্য এক বর্ণনাতে আছে, জাবের হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা সাজদাহ এবং সূরা মুলক পাঠ না করে রাতে ঘুমাতেন না। (তিরমিযী হা: ২৮১২, মিশকাত হা: ২১৫৫, সহীহ)
১-৩ নং আয়াতের তাফসীর:
الٓمّ (আলিফ-লাম-মীম) এ জাতীয় “হুরূফুল মুক্বাত্বআত” বা বিচ্ছিন্ন অক্ষর সম্পর্কে সূরা বাকারার শুরুতে আলোচনা করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন।
কাফির-মুশরিকরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এবং তাঁর প্রতি অবতারিত কিতাব কুরআনকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করত, সে কথার জবাব দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: এ কুরআন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রচনা করেনি বরং এটি বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকেই অবতারিত কিতাব, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(تَبٰرَكَ الَّذِيْ نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلٰي عَبْدِه۪ لِيَكُوْنَ لِلْعٰلَمِيْنَ نَذِيْرَا)
“কত বরকতময় তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফুরকান অবতীর্ণ করেছেন যাতে সে বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হতে পারে!” (সূরা ফুরকান ২৫:১) আর এ কুরআন নাযিল করার কারণ হল যে, যাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারেন যাদের নিকট ইতোপূর্বে কোন নাবী-রাসূল আগমন করেনি। যাতে তারা সত্যের অনুসরণ করে পরিত্রাণ লাভ করতে পারে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা কোন জাতির কাছে রাসূল প্রেরণ না করা পর্যন্ত সে জাতিকে তাদের অবাধ্যতার কারণে শাস্তি দেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِيْنَ حَتّٰي نَبْعَثَ رَسُوْلًا)
“আমি রাসূল না পাঠান পর্যন্ত কাউকেও শাস্তি দেই না।” (সূরা ইসরা ১৭:১৫)
সুতরাং কুরআন কারো তৈরি করা কিতাব নয়, বরং তা সারা বিশ্বের মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত একটি আসমানী কিতাব। এটি নাযিল করা হয়েছে মানুষকে পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে হিদায়াতের পথে বের করে আনার জন্য।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুরআন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ কিতাব, এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। আর এটা রচনা করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
২. কুরআন নাযিল করার উদ্দেশ্য হল মানুষকে সতর্ক করে ভ্রান্ত পথ থেকে সঠিক পথে নিয়ে আসা।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings