Surah As Sajda Tafseer
Tafseer of As-Sajdah : 28
Saheeh International
And they say, "When will be this conquest, if you should be truthful?"
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৮-৩০ নং আয়াতের তাফসীর:
কাতাদাহ (رحمه الله) বলেন:
উক্ত আয়াতের الْفَتْحُ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ‘ফয়সালা’। মুজাহিদ বলেন: ‘কিয়ামতের দিন’, উভয়ের উদ্দেশ্য একই। অর্থাৎ কাফির-মুশরিকরা শাস্তির ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করে বলত, হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তুমি আমাদেরকে যে দিনের প্রতিশ্রতি দিয়েছ এবং তোমার সঙ্গী-সাথীদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে থাক সে ফয়সালা বা কিয়ামত দিবস কখন আসবে? তাদের এ কথার উত্তরে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: যখন ঐ সময় উপস্থিত হবে অর্থাৎ কিয়ামত সংঘঠিত হবে তখন কাফিরদের ঈমান কোনই উপকারে আসবে না এবং তাদেরকে তাওবা করার অবকাশ দেয়া হবে না যে, তারা শাস্তি থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(فَلَمَّا رَأَوْا بَأْسَنَا قَالُوْآ اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَحْدَه۫ وَكَفَرْنَا بِمَا كُنَّا بِه۪ مُشْرِكِيْنَ- فَلَمْ يَكُ يَنْفَعُهُمْ إِيْمَانُهُمْ لَمَّا رَأَوْا بَأْسَنَا ط سُنَّتَ اللّٰهِ الَّتِيْ قَدْ خَلَتْ فِيْ عِبَادِه۪ ج وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْكٰفِرُوْنَ)
“অতঃপর যখন তারা আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল তখন বললো, আমরা এক আল্লাহতেই ঈমান আনলাম এবং আমরা তাঁর সাথে যাদেরকে শরীক করতাম তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম। তারা যখন আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল তখন তাদের ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না। আল্লাহর এই বিধান পূর্ব হতেই তাঁর বান্দাদের মধ্যে চলে আসছে এবং সে ক্ষেত্রে কাফিররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” (সূরা মু’মিন ৪০:৮৪-৮৫)
এভাবে আরো অনেক আয়াতে বলা হয়েছে যে, কাফিররা কিয়ামতের দিন ঈমান আনবে কিন্তু তাদের সে ঈমান কোন কাজে আসবে না।
অতএব হে মুহাম্মাদ, যখন তারা পরিহাসচ্ছলে তোমার দাওয়াত বর্জন করল এবং তোমাকে মিথ্যা মনে করে দ্রুত ফয়সালা কামনা করছে তখন তোমার দায়িত্ব হল তাদেরকে উপেক্ষা করে চলা এবং ফয়সালার দিনের জন্য অপেক্ষা করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ يَقُوْلُوْنَ شَاعِرٌ نَّتَرَبَّصُ بِه۪ رَيْبَ الْمَنُوْنِ - قُلْ تَرَبَّصُوْا فَإِنِّيْ مَعَكُمْ مِّنَ الْمُتَرَبِّصِيْنَ)
“তারা কি বলতে চায় যে, সে একজন কবি? আমরা তার জন্য কালের বিপর্যয়ের (মৃত্যুর) অপেক্ষা করছি। বল, তোমরা অপেক্ষা কর, অবশ্য আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষাকারীদের অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা তূর ৫২:৩০-৩১)
সুতরাং একজন আল্লাহ তা‘আলার পথে আহ্বানকারী যখন মানুষকে আহ্বান করবেন তখন তিনি বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন, তাতে মনোবল না হারিয়ে যথাসাথ্য দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যেতে হবে, হতে পারে আল্লাহ তা‘আলা এর মাঝে কোন কল্যাণ রেখেছেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. শাস্তি বা মৃত্যু এসে গেলে তখন ঈমান আনয়নে কোন ফায়দা হবে না।
২. কেউ যদি ইসলামের বিরোধিতা করে তাহলে তাকে ঘৃণা করা দোষের কিছু নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings