Surah As Sajda Tafseer
Tafseer of As-Sajdah : 23
Saheeh International
And We certainly gave Moses the Scripture, so do not be in doubt over his meeting. And we made the Torah guidance for the Children of Israel.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
২৩-২৫ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দা ও রাসূল হযরত মূসা (আঃ) সম্পর্কে খবর দিচ্ছেন যে, তিনি তাঁকে তাঁর কিতাব তাওরাত দান করেন। সুতরাং নবী (সঃ) যেন তার সাক্ষাৎ সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ না করেন। হযরত কাতাদা (রঃ) বলেন যে, এর দ্বারা মিরাজের রাত্রিকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমাকে মিরাজের রাত্রে হযরত মূসা ইবনে ইমরান (আঃ)-কে দেখানো হয়েছে। তিনি গোধুম বর্ণের দীর্ঘ দেহ ও কোঁকড়ানো চুল বিশিষ্ট লোক ছিলেন। তিনি দেখতে শিনওয়াহ গোত্রের লোকের মত ছিলেন। ঐ রাত্রে আমি হযরত ঈসা (আঃ)-কেও দেখেছি। তিনি মধ্যম দেহ বিশিষ্ট সাদা ও লাল মিশ্রিত রং-এর ছিলেন। তাঁর চুলগুলো ছিল সোজা ও লম্বা। ঐ রাত্রেই আমি হযরত মালেক (আঃ)-কেও দেখেছি যিনি ছিলেন জাহান্নামের দারোগা। আর আমি দাজ্জালকে দেখেছি। এগুলো হলো ঐসব নিদর্শন যেগুলো আল্লাহ তা'আলা তাঁকে দেখিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘সুতরাং তুমি তার সাক্ষাৎ সম্বন্ধে সন্দেহ করো না।' রাসূলুল্লাহ (সঃ) অবশ্যই হযরত মূসা (আঃ)-কে দেখেছেন। এবং তার সাথে তাঁর আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এটা মিরাজের রাত্রের ঘটনা।
মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি মূসা (আঃ)-কে বানী ইসরাঈলের জন্যে পথ-নির্দেশক করেছিলাম। আবার এ অর্থও হতে পারে- আমি মূসা (আঃ)-কে প্রদত্ত কিতাবকে পথ-নির্দেশক বানিয়েছিলাম। যেমন সূরায়ে বানী ইসরাঈলে রয়েছেঃ (আরবি)
অর্থাৎ “আমি মূসা (আঃ)-কে কিতাব দিয়েছিলাম এবং ওকে করেছিলাম বানী ইসরাঈলের জন্যে পথ-নির্দেশক। আমি আদেশ করেছিলামঃ তোমরা আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকেও কর্মবিধায়ক রূপে গ্রহণ করো না।" (১৭:২)
এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ তাদের মধ্যে যারা আমার হুকুম পালন করেছিল, আমার নিষেধকৃত কাজ-কর্ম ছেড়ে দিয়েছিল, আমার কথার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছিল, আমার রাসূলদের অনুসরণে ধৈর্য সহকারে দৃঢ় থেকেছিল, তাদেরকে আমি নেতা মনোনীত করেছিলাম। তারা আমার আহকাম জনগণের কাছে পৌঁছিয়ে দিতো এবং মানুষকে ভাল কাজের আদেশ করতো এবং মন্দ কাজ হতে বিরত রাখতো। কিন্তু তারা যখন আল্লাহর কালামে পরিবর্তন-পরিবর্ধন শুরু করে দিলো তখন আমি তাদের এ পদ-মর্যাদা ছিনিয়ে নিলাম ও তাদের অন্তর শক্ত করে দিলাম। ভাল আমল ও সঠিক বিশ্বাস তাদের থেকে দূর হয়ে গেল। পূর্বে তারা দুনিয়ার লোভ-লালসা হতে বেঁচে থাকতো।
সুফিয়ান (রঃ) বলেনঃ ‘এ লোকগুলো এরূপই ছিল। মানুষের জন্যে এটা উচিত নয় যে, তারা এমন নেতার অনুসরণ করবে যে দুনিয়ার লোভ-লালসা হতে বেঁচে থাকে না। তিনি আরো বলেনঃ “দ্বীনের জন্যে ইলম অপরিহার্য যেমন দেহের জন্যে খাদ্য অপরিহার্য।
হযরত আলী (রাঃ)-এর উক্তি রয়েছেঃ “ঈমানের মধ্যে সবর বা ধৈর্যের স্থান এমন যেমন দেহের মধ্যে মাথার স্থান। তুমি কি আল্লাহ পাকের এ উক্তি শুননি? তিনি বলেন- আমি তাদের মধ্য হতে নেতা মনোনীত করেছিলাম যারা আমার নির্দেশ অনুসারে পথ-প্রদর্শন করতো, যখন তারা ধৈর্যধারণ করেছিল তখন তারা ছিল আমার নিদর্শনাবলীতে দৃঢ় বিশ্বাসী।” হযরত সুফিয়ান (রঃ)-কে হযরত আলী (রাঃ)-এর উপরোক্ত উক্তির তাৎপর্য জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তরে বলেনঃ “এর ভাবার্থ হচ্ছে- যেহেতু তারা সমস্ত কাজের মূলকে গ্রহণ করেছে সেহেতু আল্লাহ তাদেরকে নেতা বানিয়ে দিয়েছেন। কোন কোন আলেম বলেছেন যে, ধৈর্য ও বিশ্বাস দ্বারা দ্বীনের নেতৃত্ব লাভ করা যায়। এ জন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “অবশ্যই আমি বানী ইসরাঈলকে কিতাব, হিকমত ও নবুওয়াত দান করেছি এবং তাদেরকে উৎকৃষ্ট ও পবিত্র খাবার খেতে দিয়েছি, আর তাদেরকে সারা দুনিয়ার উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছি।” (৪৫:১৬) যেমন তিনি এখানে। বলেনঃ তারা নিজেদের মধ্যে যে বিষয়ে (অর্থাৎ বিশ্বাস ও আমলের বিষয়ে) মতবিরোধ করছে, তোমার প্রতিপালকই তো কিয়ামতের দিন ওর ফায়সালা করে দিবেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings