Surah As Sajda Tafseer
Tafseer of As-Sajdah : 11
Saheeh International
Say, "The angel of death will take you who has been entrusted with you. Then to your Lord you will be returned."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০-১১ নং আয়াতের তাফসীর:
যখন এক বস্তুর ওপর অন্য বস্তু প্রভাবশালী হয় এবং পূর্বের সমস্ত চিহ্নকে মিটিয়ে দেয়, তখন তাকে ضلالة বলা হয়। এখানে
ضللنا في الأرض
এর অর্থ হবে মাটিতে মিশে আমাদের দেহ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও কি আমাদের পুনরুত্থান করা হবে? অর্থাৎ কাফির-মুশরিকরা এটা বিশ্বাস করত না যে, মৃত্যুর পর তাদেরকে পুনরায় জীবিত করা হবে, এটা সম্ভব হতে পারে না। তাই তারা এরূপ প্রশ্ন করত। তারা বলত:
(وَلَئِنْ قُلْتَ إِنَّكُمْ مَّبْعُوْثُوْنَ مِنْۭ بَعْدِ الْمَوْتِ لَيَقُوْلَنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْآ إِنْ هٰذَآ إِلَّا سِحْرٌ مُّبِيْنٌ)
“তুমি যদি বল: ‘মৃত্যুর পর তোমরা অবশ্যই উত্থিত হবে’, কাফিররা নিশ্চয়ই বলবে, ‘এটা তো সুস্পষ্ট জাদু।’ (সূরা হূদ ১১:৭) মূলত তারা পুনরুত্থানকে অসম্ভব মনে করে অস্বীকার করত।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তোমাদের জন্য নিযুক্ত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অর্থাৎ যখন নির্ধারিত সময় উপস্থিত হবে তখন “মালাকূল মাউত ও তার সাথে অন্যান্য ফেরেশতারা প্রাণ হরণ করে নিবে। সেই সুনির্দিষ্ট সময় থেকে ক্ষণকালের জন্যও অবকাশ দেয়া হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَنْ يُّؤَخِّرَ اللّٰهُ نَفْسًا إِذَا جَا۬ءَ أَجَلُهَا ط وَاللّٰهُ خَبِيْرٌۭبِمَا تَعْمَلُوْنَ)
“নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকেও অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।” (সূরা মুনাফিক ৬৩:১১)
প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা “মালাকুল মাউত” ফেরেশতাকে তিনি এ কাজে নিযুক্ত রেখেছেন আর অন্যান্য যারা আছে তারা হল মালাকুল মাউতের সাহায্যকারী। আল্লাহ তা‘আলার অনুমতি ব্যতীত মৃত্যুদান করার ক্ষমতা কারো নেই। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوْتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللّٰهِ كِتٰبًا مُّؤَجَّلًا)
“আর আল্লাহর আদেশ ব্যতীত ধার্যকৃত লিপিবদ্ধ নির্দিষ্ট সময়ে কেউই মৃত্যু বরণ করে না।” (সূরা আলি ইমরান ৩:১৪৫) যেহেতু মালাকুল মাউত মানুষের আত্মা কবয করার দায়িত্বে নিযুক্ত তাই তার দিকে সম্পৃক্ত করে বলা হয়েছে, মালাকুল মাউত তোমাদের মৃত্যু দেয়।
মালাকুল মাউত সম্পর্কে প্রখ্যাত মুফাসসির মুজাহিদ বলেন: মালাকুল মাউতের সামনে গোটা বিশ্ব কোন ব্যক্তির সামনে রক্ষিত বিভিন্ন খাবার সামগ্রীপূর্ণ একটি থালার মত, তিনি যা ইচ্ছা থালা থেকে তুলে নেন। মালাকুল মাউত মানুষের মত অন্যান্য জীবজন্তুর প্রাণ কবয করেন কিনা তা নিয়ে একাধিক মত পাওয়া যায়। ইমাম মালেক (رحمه الله) বলেন: তিনি অন্যান্য কীট-পতঙ্গেরও প্রাণ কবয করে থাকে। কিন্তু কতিপয় বর্ণনা দ্বারা জানা যায়নফেরেশতাগণের দ্বারা আত্মার বিয়োগ ঘটানো কেবল মানুষের জন্য নির্দিষ্ট তাদের মর্যাদার দিকে লক্ষ্য রেখে। অন্যান্য জীব-জন্তু আল্লাহ তা‘আলার অনুমতিতে মারা যায়। (কুরতুবীর বরাত দিয়ে ইবনু আতিয়্যাত বর্ণনা করেছেন)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষকে মৃত্যুর পর আল্লাহ তা‘আলার নিকটেই ফিরে যেতে হবে।
২. আল্লাহ তা‘আলার অনুমতি ছাড়া কেউ মৃত্যু দান করতে পারে না। তবে মালাকূল মাউত ফেরেশতাকে শুধু একাজে নিযুক্ত করে রাখা হয়েছে।
৩. মানুষকে মৃত্যুর পর হিসাব-নিকাশের জন্য পুনরায় জীবিত করা হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings