Surah Luqman Tafseer
Tafseer of Luqman : 32
Saheeh International
And when waves come over them like canopies, they supplicate Allah, sincere to Him in religion. But when He delivers them to the land, there are [some] of them who are moderate [in faith]. And none rejects Our signs except everyone treacherous and ungrateful.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩১-৩২ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর আরো কিছু ক্ষমতার কথা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: সাগরে যে নৌযানসমূহ ভাসমান ও চলাচল করে তাও কেবল আমারই নির্দেশে হয়ে থাকে। লোহা পানিতে রাখলে ভেসে থাকে না, কিন্তু যখন তা নৌকা আকারে বানিয়ে পানিতে ছেড়ে দাও তখন কার নির্দেশে ভেসে থাকে? আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَسَخَّرَ لَكُمُ الْفُلْكَ لِتَجْرِيَ فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِه۪ ج وَسَخَّرَ لَكُمُ الْأَنْهٰرَ)
“যিনি নৌযানকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তাঁর নির্দেশে সমুদ্রে বিচরণ করে এবং যিনি তোমাদের (কল্যাণে) নিয়োজিত করেছেন নদীসমূহকে।” (সূরা ইবরাহীম ১৪:৩২)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(وَهُوَ الَّذِيْ سَخَّرَ الْبَحْرَ لِتَأْكُلُوْا مِنْهُ لَحْمًا طَرِيًّا وَّتَسْتَخْرِجُوْا مِنْهُ حِلْيَةً تَلْبَسُوْنَهَا ج وَتَرَي الْفُلْكَ مَوَاخِرَ فِيْهِ وَلِتَبْتَغُوْا مِنْ فَضْلِه۪ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ)
“তিনিই সমুদ্রকে অধীন করেছেন যাতে তোমরা তা হতে তাজা মৎস্য আহার করতে পার এবং যাতে তা হতে আহরণ করতে পার রত্নাবলী যা তোমরা ভূষণরূপে পরিধান কর; এবং তোমরা দেখতে পাও তার বুক চিরে নৌযান চলাচল করে এবং তা এজন্য যে, তোমরা যেন তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং তোমরা যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; (সূরা নাহল ১৬:১৪)
অতএব আল্লাহ তা‘আলা যদি নৌযানগুলোকে সমুদ্রে চলার আদেশ না করতেন তাহলে এগুলো সমুদ্রে চলাচল করতে পারত না।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা মানুষের একটি মন্দ অভ্যাসের কথা উল্লে¬খ করেছেন, যে সম্পর্কে পূর্বেও আলোচনা করা হয়েছে। তা হল যখন মানুষ বিপদে পড়ে তখন বিশুদ্ধচিত্তে, একনিষ্ঠভাবে কেবল আল্লাহ তা‘আলাকেই ডাকে। কিন্তু যখনই তাদেরকে এ বিপদ থেকে মুক্তি দেয়া হয় তখনই তারা আল্লাহ তা‘আলাকে ভুলে যায় এবং তাঁর সাথে শরীক করে বসে।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِذَا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فِي الْبَحْرِ ضَلَّ مَنْ تَدْعُوْنَ إِلَّآ إِيَّاهُ ج فَلَمَّا نَجَّاكُمْ إِلَي الْبَرِّ أَعْرَضْتُمْ ط وَكَانَ الْإٍنْسَانُ كَفُوْرًا)
“সমুদ্রে যখন তোমাদেরকে বিপদ স্পর্শ করে তখন কেবল তিনি ব্যতীত অপর যাদেরকে তোমরা আহ্বান করে থাক তারা অন্তর্হিত হয়ে যায়; অতঃপর তিনি যখন তোমাদেরকে উদ্ধার করে স্থলে আনেন তখন তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। মানুষ অতিশয় অকৃতজ্ঞ।” (সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:৬৭)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(فَإِذَا رَكِبُوْا فِي الْفُلْكِ دَعَوُا اللّٰهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ ৫ ج فَلَمَّا نَجَّاهُمْ إِلَي الْبَرِّ إِذَا هُمْ يُشْرِكُوْنَ)
“তারা যখন নৌযানে আরোহন করে তখন তারা বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর তিনি যখন স্থলে ভিড়িয়ে তাদেরকে রক্ষা করেন, তখন তারা শিরকে লিপ্ত হয়” (সূরা আনকাবুত ২৯:৬৫) তখনকার মক্কার মুশরিকরা বিপদে পড়লে সকল মা‘বূদ বাদ দিয়ে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকত, কিন্তু বর্তমানে একশ্রেণির নামধারী মুসলিম বিপদে পড়লে আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন মাযার, বাবা, ওলী ও গাওস-কুতুবের কাছে দৌড়ায়। তৎকালীন মুশরিকদের চেয়েও এদের বিশ্বাস জঘন্য।
مقتصد দ্বারা প্রকৃত উদ্দেশ্য হল, যারা এ প্রকার বিপদের সম্মুখীন হয়েছে এবং তিনি তাদেরকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। তাদের উচিত ছিল পরিপূর্ণভাবে তাঁর আনুগত্য করা ও সৎ আমলে আত্মনিয়োগ করা। কিন্তু এটা না করে তাদের কেউ কেউ মধ্যমপন্থী থাকে এবং কেউ কেউ পূর্ণ ভাবেই কুফরীর দিকে ফিরে যায়।
ختار বলা হয় গাদ্দার বা বিশ্বাস ঘাতককে। ختر এর অর্থ হচ্ছে পূর্ণ বিশ্বাসঘাতক।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার অপার নেয়ামত যে, তিনি সাগরে নৌযান ভাসমান রেখে চলাচল করার উপযোগী করে দিয়েছেন।
২. একশ্রেণির মানুষ বিপদে পড়লে আল্লাহ তা‘আলাকে আহ্বান না করে বিভিন্ন মাযার, ওলী-আওলিয়া ও দরগাহ শরীফে বিপদ মুক্তির জন্য গমন করে যা প্রকাশ্য শির্ক।
৩. সকল বিপদাপদ ও মুশকিলের আসান দাতা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, তাই তাঁকেই আহ্বান করা উচিত।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings