Surah Luqman Tafseer
Tafseer of Luqman : 11
Saheeh International
This is the creation of Allah . So show Me what those other than Him have created. Rather, the wrongdoers are in clear error.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০-১১ নং আয়াতের তাফসীর:
প্রথমত মহান আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কুদরতের বর্ণনা দিয়ে বলেন: তিনি আকাশমণ্ডলী নির্মাণ করেছেন খুঁটি ছাড়া যা তোমরা স্বচক্ষে দেখতে পারছ। এ সম্পর্কে সূরা রাদের ২ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পবর্তমালা যাতে সৃষ্টিজীবকে নিয়ে ঢলে না পড়ে। এ সম্পর্কেও সূরা নাহলের ১৫ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তিনিই পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সর্বপ্রকার জীবজন্তু। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمِنْ اٰيٰتِه۪ خَلْقُ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيْهِمَا مِنْ دَا۬بَّةٍ ط وَهُوَ عَلٰي جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَا۬ءُ قَدِيْرٌ)
“তাঁর মহা নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত হল আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীবজন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলো; তিনি যখন ইচ্ছা তখনই তাদেরকে সমবেত করতে সক্ষম।” (সূরা শূরা ৪২:৯২) এবং একমাত্র তিনিই আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং সেই বৃষ্টির পানি দ্বারা জমিন হতে সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদ উৎপন্ন করেন। যেমনটি আলোচনা করা হয়েছে সূরা নাহলের ১০ ও ১১ নং আয়াতে।
এ পৃথিবীতে মানুষ, জীন, গরু-ছাগল, উট, গাছ-পালাসহ যত প্রকার সৃষ্টি রয়েছে সবকিছুই একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি করেছেন, অন্য কেউ নয়। এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ১৬৪ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
এসব সৃষ্টি ও নেয়ামত দেয়ার পর আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের লক্ষ্য করে বলেছেন: এ সব আমি সৃষ্টি করেছি, তোমাদের অংশীরা কিছু সৃষ্টি করে থাকলে তা দেখাও?
মূলত তারা কিছুই সৃষ্টি করেনি, কারণ তারা সে ক্ষমতা রাখে না। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَاتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِه۪ٓ اٰلِهَةً لَّا يَخْلُقُوْنَ شَيْئًا وَّهُمْ يُخْلَقُوْنَ وَلَا يَمْلِكُوْنَ لِأَنْفُسِهِمْ ضَرًّا وَّلَا نَفْعًا وَّلَا يَمْلِكُوْنَ مَوْتًا وَّلَا حَيٰوةً وَّلَا نُشُوْرًا)
“আর তারা তাঁর পরিবর্তে মা‘বূদরূপে গ্রহণ করেছে অন্যদেরকে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না, বরং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং তারা নিজেদের অপকার অথবা উপকার করার ক্ষমতা রাখে না এবং মৃত্যু, জীবন ও পুরুত্থানের ওপরও কোন ক্ষমতা রাখে না।” (সূরা ফুরকান ২৫:৩)
সুতরাং যারা আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যের ইবাদত করে তারা কোন ক্ষমতাই রাখে না। তাহলে তারা কিভাবে ইবাদত পেতে পারে? তাই আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে অন্যের ইবাদত করা নিতান্তই স্পষ্ট বিভ্রান্তি। অতএব সর্বপ্রকার শিরক থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরী।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, অন্য কেউ নয়।
২. আল্লাহ তা‘আলার সাথে কাউকে শরীক করা যাবে না।
৩. পর্বতমালা না থাকলে পৃথিবী নড়াচড়া করত, ফলে তখন তাতে বসবাস করা সম্ভব হত না।
৪. সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই, তাই সকল ইবাদত পাওয়ার হকদার তিনিই।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings