Surah Ar Rum Tafseer
Tafseer of Ar-Rum : 8
Saheeh International
Do they not contemplate within themselves? Allah has not created the heavens and the earth and what is between them except in truth and for a specified term. And indeed, many of the people, in [the matter of] the meeting with their Lord, are disbelievers.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮-১০ নং আয়াতের তাফসীর:
যারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অস্বীকার করে, যারা বলে দুনিয়াই শেষ, পরকাল বলতে কিছু নেই; এসব বস্তুবাদীদের এমন বিশ্বাসকে দূরীভূত করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে একাকী গভীরভাবে চিন্তা-গবেষণা করার দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেন: তোমরা নিজেদের ব্যাপারে একটু চিন্তা করে দেখ না! তোমরা কিছুই ছিলে না, তোমাদের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের অস্তিত্ব দান করলেন, আস্তে আস্তে বড় করলেন অবশেষে বৃদ্ধ বয়সে উপনীত করেছেন। এভাবে সৃষ্টি করে মহান আল্লাহ কি এমনি এমনি ছেড়ে দেবেন? আকাশমণ্ডলী ও জমিন এবং এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু রয়েছে সব কিছু আল্লাহ তা‘আলা যথাযথভাবে ও নির্ধারিত সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর যখন সে নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাবে তখন কিছুই বাকী থাকবে না, সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, তোমরাও মারা যাবে। পরে দুনিয়ার কর্মের হিসাব দেয়ার জন্য পুনরুত্থিত করা হবে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এ পুনরুত্থানকে অবিশ্বাস করে, অসম্ভব মনে করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لٰعِبِيْنَ مَا خَلَقْنٰهُمَآ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ مِيْقَاتُهُمْ أَجْمَعِيْنَ)
“আমি আকশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মধ্যস্থিত কোন কিছুই খেল-তামাশার ছলে সৃষ্টি করিনি। আমি এ দু‘টি যথাযথ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই এটা জানে না। সকলের জন্য নির্ধারিত রয়েছে তাদের বিচার দিবস।” (সূরা দুখান ৪৪:৩৮-৪০)
এ সকল জিনিসই প্রমাণ করে সৃষ্টিকর্তা বলতে একজন রয়েছেন, তিনিই হলেন আল্লাহ তা‘আলা।
আর এসব সৃষ্টি একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে, যা প্রমাণ করে যেন সকলকে দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে এবং দুনিয়ার কর্মের হিসাব-নিকাশের জন্য পুনরুত্থিত হতে হবে। পূর্বে যারা পৃথিবীতে এসেছিল তারা শক্তি ও ক্ষমতায় অনেক শক্তিশালী ছিল। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্য হওয়ার কারণে তাদের শক্তি ও ক্ষমতা আপতিত শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারেনি। সুতরাং জমিনে সফর করে তাদের থেকে শিক্ষা নাও, তারা আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্য হওয়ার কারণে শাস্তি প্রাপ্ত হয়েছে এবং দুনিয়া থেকে চলে যেতে হয়েছে। এদের সবাইকে আবার পুনরুত্থিত করা হবে।
সুতরাং কেউ যদি আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী করে বা তার সাক্ষাতকে অস্বীকার করে তাহলে তাকে অবশ্যই কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
২. আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টি নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।
৩. পূর্ববর্তী শাস্তিপ্রাপ্ত জাতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সতর্ক হতে হবে।
৪. আল্লাহ তা‘আলা কারো প্রতি বিন্দু পরিমাণ জুলুম করেন না।
৫. নাবী-রাসূলদের প্রতি ঈমান আনতে হবে, তাঁদের সাথে কুফরী করা যাবে না।
৬. পাপী ব্যক্তি যত শক্তিশালীই হোক না কেন আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।
৭. সকলকে পুনরুত্থিত হতে হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings