Surah Ar Rum Tafseer
Tafseer of Ar-Rum : 16
Saheeh International
But as for those who disbelieved and denied Our verses and the meeting of the Hereafter, those will be brought into the punishment [to remain].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১-১৭ নং আয়াতের তাফসীর:
(اَللّٰهُ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُهُ)
এখানে পুনরায় বস্তুবাদীদের বিশ্বাসকে খণ্ডন করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং দুনিয়ার কর্মের হিসাব-নিকাশের জন্য তিনিই পূর্বের ন্যায় সৃষ্টি পুনরাবৃত্তি করবেন। অর্থাৎ দুনিয়াতে যে আকৃতি ও অবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন সে আকৃতিতেই পুনরুত্থান করবেন, কিঞ্চিৎ পরিমাণ পরিবর্তন হবে না। সুতরাং সকলকে তাঁর দিকে ফিরে যেতে হবে এতে কোন সংশয় নেই।
(يُبْلِسُ الْمُجْرِمُوْنَ)
‘সেদিন পাপীরা হতাশ হয়ে পড়বে।’ যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সেদিন পাপীরা নিজেদের ব্যাপারে একেবারে নিরাশ হয়ে যাবে। কারণ সুপারিশ পাওয়ার আশায় যে সকল মা‘বূদের ইবাদত করত তারা কোন সুপারিশ করতে পারবে না। বরং তারা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে যাদের ইবাদত করত তাদেরকেই অস্বীকার করবে। এ সম্পর্কে সূরা মারইয়াম ৮২ নং আয়াতসহ অন্যান্য সূরাতেও আলোচনা করা হয়েছে।
(يَوْمَئِذٍ يَّتَفَرَّقُوْنَ)
‘সেদিন মানুষ আলাদা আলাদা হয়ে যাবে।’ অর্থাৎ মু’মিনরা কাফিরদের থেকে আলাদা হয়ে যাবে। কিভাবে আলাদা হবে তা পরের দু’আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। যারা ঈমান এনেছে ও সৎ আমল করেছে তারা জান্নাতে চলে যাবে এবং সেখানে তারা আনন্দ-উল্লাসে থাকবে। পক্ষান্তরে যারা কাফির ও মুশরিক তারা জাহান্নামে চলে যাবে এবং তারা সেখানে কঠিন শাস্তিভোগ করবে।
(فَسُبْحَانَ اللّٰهِ)
অর্থাৎ এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে সংবাদ যে, তিনি সকল অপূর্ণতা, মন্দ ও সাদৃশ্য থেকে পবিত্র। তিনি সকল প্রকার অপূর্ণাঙ্গ গুণ, কোন সৃষ্টির সদৃশ হওয়া থেকে ঊর্ধ্বে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করা ও একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করার। ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন: কুরআনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময় উল্লেখ করা হয়েছে; বলা হল কোথায়ন তিনি বললেন:
(حِيْنَ تُمْسُوْنَ)
এখানে মাগরীব ও ইশার সালাতের সময় উল্লেখ করা হয়েছে।
(وَحِيْنَ تُصْبِحُوْنَ)
এখানে ফজরের সালাতের সময় উল্লেখ করা হয়েছে। وَعَشِيًّا এখানে আসর সালাতের সময় উল্লেখ করা হয়েছে। (وَّحِيْنَ تُظْهِرُوْنَ) আর এখানে যোহরের সালাতের সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَقِمِ الصَّلٰوةَ لِدُلُوْكِ الشَّمْسِ إِلٰي غَسَقِ اللَّيْلِ وَقُرْاٰنَ الْفَجْرِ ط إِنَّ قُرْاٰنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُوْدًا)
“সূর্য ঢলে পড়ার পর হতে রাত্রির ঘন অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম কর এবং কায়েম কর ফজরের সালাত। নিশ্চয়ই ফজরের সালাত (ফেরেশতাদের) উপস্থিতির সময়।” (সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:৭৮)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই, অন্য কেউ নয়। সুতরাং তিনিই সকল ইবাদত পাওয়ার যোগ্য।
২. পাপীরা কিয়ামতের মাঠে নিরাশ হয়ে যাবে, তাদের পক্ষে কোন সুপারিশকারী থাকবে না।
৩. সকলকে পুনরুত্থিত হয়ে কর্মের হিসাব দিতে হবে।
৪. কিয়ামতের মাঠে জান্নাতী ও জাহান্নামীরা পৃথক হয়ে যাবে।
৫. সুপারিশ পাওয়ার আশায় আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য যাদের ইবাদত করা হয় তারা সেদিন কোন উপকার করতে পারবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings