Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 97
Saheeh International
Say, "Whoever is an enemy to Gabriel - it is [none but] he who has brought the Qur'an down upon your heart, [O Muhammad], by permission of Allah, confirming that which was before it and as guidance and good tidings for the believers."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৯৭ ও ৯৮ নং আয়াতের তাফসীর:
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শুভাগমনের খবর পেলেন। তখন তিনি (আবদুল্লাহ ইবনু সালাম) বাগানে ফল সংগ্রহ করছিলেন। তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বললেন, আমি আপনাকে তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব যা নাবী ব্যতীত অন্য কেউ জানেন না। তা হল কিয়ামাতের প্রথম আলামত কী? জান্নাতীদের প্রথম খাদ্য কী হবে? এবং সন্তান কখন পিতার মত হয় আর কখন মাতার মত হয়? নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমাকে জিবরীল (আঃ) এখনই এসব ব্যাপারে জানিয়ে গেলেন। আবদুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ) বললেন, জিবরীল? নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। আব্দুল্লাহ বিন সালাম বললেন: সে তো ফেরেশতাদের মধ্যে ইয়াহূদীদের শত্র“। তখন নাবী এ আয়াত পাঠ করলেন,
(قُلْ مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيْلَ... )
অতঃপর তিনি বলেন: কিয়ামতের প্রথম লক্ষণ হল এক আগুন বের হবে যা জনগণকে পূর্ব দিক হতে পশ্চিম দিকে নিয়ে জমা করবে। জান্নাতবাসীদের প্রথম খাবার হবে মাছের কলিজা। যখন পুুরুষের বীর্য স্ত্রীর বীর্যের ওপর প্রাধান্য লাভ করে তখন পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে আর যখন স্ত্রীর বীর্য পুরুষের বীর্যের ওপর প্রাধান্য লাভ করে তখন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৪৮০)
ইবনু জারীর (রহঃ) বলেন: এ বিষয়ে বিদ্বানগণ একমত যে, এ আয়াতটি বানী ইসরাঈদের মধ্যে যারা ইয়াহূদী তাদের ব্যপারে নাযিল হয়েছে। ইয়াহূদীরা জিবরীল (আঃ)-কে শত্র“ ও মিকাঈল (আঃ)-কে বন্ধু হিসেবে মনে করত। (তাফসীর ইবনে কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
সেজন্য ফেরেশতাদেরকে উল্লেখ করার পরেও বিশেষভাবে জিবরীল ও মিকাঈল (আঃ)-কে উল্লেখ করা হয়েছে।
জিবরীলসহ সকল ফেরেশতা আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যশীল মাখলুক। তাদের সাথে শত্র“তা রাখা আল্লাহ তা‘আলার সাথে শত্র“তা রাখার শামিল। কেবল কাফিররাই তাদের সাথে শত্র“তা রাখে যা অত্র আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
مَنْ عَادَ لِيْ وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ
(রাঃ) যে ব্যক্তি আমার বন্ধুদের সাথে শত্র“তা পোষণ করে তার সাথে আমি যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। (সহীহ বুখারী হা: ৬৫০২)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সত্যসহ আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রেরিত তার প্রমাণ পেলাম।
২. ঈমানের অন্যতম রুকন হল ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান আনা, এক্ষেত্রে সকল ফেরেশতাদের প্রতি সমানভাবে ঈমান আনতে হবে; কোন ফেরেশতার প্রতি হিংসা পোষণ করলে ঈমান থাকবে না।
৩. প্রত্যেক ঈমানদার মুত্তাকী ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার ওলী, তার সাথে শত্র“তা রাখা আল্লাহ তা‘আলার সাথে শত্র“তা রাখার শামিল।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings