Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 95
Saheeh International
But they will never wish for it, ever, because of what their hands have put forth. And Allah is Knowing of the wrongdoers.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৯৩-৯৬ নং আয়াতের তাফসীর:
যখন তাদেরকে তাওরাত শক্তভাবে ধারণ করার নির্দেশ প্রদান করা হল তখন তারা বলল: আমরা তোমার কথা শ্রবণ করলাম এবং তা অমান্য করলাম। মূলত গো-বৎসের ভালবাসা তাদের অন্তরে বদ্ধমূল হয়ে গেছে বলেই তাদের জবাব এরূপ ছিল।
এ আয়াতের সংক্ষিপ্ত তাফসীর ৬৩ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐসব ইয়াহূদীদেরকে বলেন: তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এস, আমরা ও তোমরা মিলিত হয়ে আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন আমাদের দু’দলের মধ্যে যারা মিথ্যাবাদী তাদেরকে ধ্বংস করেন। এরূপ সত্য প্রমাণে ধ্বংসের দু‘আ করাকে মুবাহালা বলা হয়। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানানো হয় যে, তারা কখনো এতে সম্মত হবে না। অবশেষে তা-ই হলো। তারা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আসল না। কারণ তারা আন্তরিকভাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে ও কুরআন মাজীদকে সত্য বলে জানত। যদি তারা এ ঘোষণা অনুযায়ী মোবাহালায় আসত তাহলে তারা সবাই ধ্বংস হয়ে যেত এবং দুনিয়ার বুকে একটি ইয়াহূদীও অবশিষ্ট থাকত না।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যদি ইয়াহূদীরা মুবাহালায় আসত এবং মিথ্যাবাদীদের জন্য ধ্বংসের প্রার্থনা করত তবে তারা সবাই ধ্বংস হয়ে যেত এবং তারা জাহান্নামে নিজ নিজ জায়গা দেখে নিত। (মুসনাদ আহমাদ ১/২৪৮, মুসনাদ আবূ ইয়ালা ৪/৪৭,১ বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
অনুরূপভাবে যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসেছিল, তারা যদি মুবাহালার জন্য প্রস্তুত হত তবে তারা ফিরে গিয়ে তাদের পরিবারবর্গ এবং ধন-সম্পদের নাম-নিশানাও দেখতে পেত না। (মুসনাদ আহমাদ হা: ২২২৫, সনদ সহীহ)
ইয়াহূদীদের বিশেষ দাবি ছিল যে, তারা বলত:
(نَحْنُ أَبْنَا۬ءُ اللّٰهِ وَأَحِبَّاؤُه۫)
‘আমরা আল্লাহর পুত্র ও তার প্রিয়পাত্র।’(সূরা মায়িদাহ ৫:১৮) তারা আরো বলত:
(لَنْ يَّدْخُلَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ كَانَ هُودًا أَوْ نَصَارٰي)
“যারা ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান হয়েছে তারা ছাড়া আর কেউই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।” (সূরা বাকারাহ ২:১১১) এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা বলেন, বাস্তবে যদি তাই হয়ে থাক তবে তোমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে মৃত্যু কামনা কর। কিন্তু তারা কখনো তাদের কৃতকর্মের জন্য মৃত্যু কামনা করবে না।
এরূপ আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ یٰٓاَیُّھَا الَّذِیْنَ ھَادُوْٓا اِنْ زَعَمْتُمْ اَنَّکُمْ اَوْلِیَا۬ئُ لِلہِ مِنْ دُوْنِ النَّاسِ فَتَمَنَّوُا الْمَوْتَ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَﭕ وَلَا یَتَمَنَّوْنَھ۫ٓ اَبَدًۭا بِمَا قَدَّمَتْ اَیْدِیْھِمْﺚ وَاللہُ عَلِیْمٌۭ بِالظّٰلِمِیْنَ)
“বলঃ হে ইয়াহূদীগণ! যদি তোমরা মনে কর যে, তোমরাই আল্লাহর বন্ধু, অন্য কোন মানুষ নয়; তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও। কিন্তু তারা তাদের হস্ত যা পূর্বে প্রেরণ করেছে তার কারণে কখনো মৃত্যু কামনা করবে না। আল্লাহ যালিমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত।”(সূরা জুমু‘আহ ৬২: ৬-৭) সুতরাং তারাই আল্লাহ তা‘আলার প্রিয়পাত্র, একমাত্র তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এসব তাদের মুখের দাবিমাত্র, যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের সম্পর্কে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তারা চায় দুনিয়াতে হাজার হাজার বছর বা বহুদিন জীবিত থাকতে। কিন্তু তাদের এ দীর্ঘায়ু আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি থেকে কিছুতেই রক্ষা করতে পারবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলার কাছে একদিন ফিরে যেতে হবেই।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইসলাম আসার পর ইয়াহূদীদের ধর্ম বাতিল, একমাত্র ইসলাম ধর্মই সঠিক যা ইয়াহূদীদেরকে মুবাহালার দিকে আহ্বান করে আরো সুস্পষ্ট হয়ে গেল।
২. বাতিল পন্থীরা যদি হকের বিরুদ্ধে মুবাহালা করতে চায় তাহলে ইসলামে তা অনুমতি রয়েছে।
৩. পৃথিবীতে সবচেয়ে দীর্ঘায়ু লিপ্সু হচ্ছে ইয়াহূদী জাতি।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings