Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 90
Saheeh International
How wretched is that for which they sold themselves - that they would disbelieve in what Allah has revealed through [their] outrage that Allah would send down His favor upon whom He wills from among His servants. So they returned having [earned] wrath upon wrath. And for the disbelievers is a humiliating punishment.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮৮-৯০ নং আয়াতের তাফসীর:
ইয়াহূদীরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে ঈমান না আনার ওযর পেশ করে বলে আমাদের হৃদয় আচ্ছাদিত। অতএব হে নাবী! তুমি যা বল আমরা তা বুঝতে পারি না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقَالُوا قُلُوبُنَا فِي أَكِنَّةٍ مِّمَّا تَدْعُونَا إِلَيْهِ)
“তারা বলেঃ তুমি যার প্রতি আমাদেরকে আহ্বান করছো সে বিষয়ে আমাদের অন্তর আবরণে আচ্ছাদিত।”(সূরা হা-মীম সিজদাহ ৪১:৫)
এটা তাদের মিথ্যা বানোয়াট উক্তি বরং আল্লাহ তা‘আলা তাদের কুফরীর কারণে তাদের ওপর লা‘নত করেছেন।
জেনে-বুঝে ইয়াহূদীরা কুরআন ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রত্যাখ্যান করেছে- তারই বর্ণনা এখানে দেয়া হয়েছে।
যখন ইয়াহূদী ও আরবের মুশরিকদের মধ্যে যুদ্ধ বাধত তখন ইয়াহূদীরা কাফিরদেরকে বলত, অতি সত্বরই একজন বড় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলার সত্য কিতাব নিয়ে আবির্ভুত হবেন। আমরা তাঁর অনুসারী হয়ে তোমাদেরকে এমনভাবে হত্যা করব যে, তোমাদের নাম-নিশানা দুনিয়ার বুক থেকে মুছে যাবে। তারা আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রার্থনা করত: হে আল্লাহ! আপনি অতি সত্বরই ঐ নাবীকে পাঠিয়ে দিন যাঁর গুণাবলী আমরা তাওরাতে পাচ্ছি, যাতে আমরা তাঁর ওপর ঈমান এনে তাঁর সঙ্গ লাভ করত আমাদের বাহু মজবুত করতে পারি। আপনার শত্র“দের প্রতিশোধ নিতে পারি। তারা কাফিরদেরকে বলত যে, ঐ নাবীর আগমনের সময় খুবই নিকটবর্তী হয়েছে।
অতঃপর যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রেরিত হলেন তখন তারা তাঁর মধ্যে সমস্ত নিদর্শন দেখতে পেল, তাকে চিনতে পারল এবং মনে মনে বিশ্বাস করল। কিন্তু যেহেতু তিনি তাদের বংশদ্ভূত ছিলেন না বিধায় তারা হিংসার বশবর্তী হয়ে তাঁর নবুওয়াতকে অস্বীকার করে বসল। তখন তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার অভিশাপ নেমে আসল। বরং মদীনার লোকেরা যারা তাদের (ইয়াহূদীদের) মুখেই এ কথা শুনে আসছিল তারা ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেয় এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গী হয়ে ইয়াহূদীদের ওপর বিজয় লাভ করে।
একদা মুয়ায বিন জাবাল (রাঃ) বাসার বিন বারা (রাঃ) এবং দাঊদ বিন সালমা (রাঃ) মদীনার ঐ ইয়াহূদীদেরকে বলেই ফেললেন: ‘তোমরাই তো আমাদের সামনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতের আলোচনা করতে, তাঁর যে গুণাবলী তোমরা বর্ণনা করতে তা সবই তাঁর মধ্যে রয়েছে। এমনকি তোমরা তাকে কেন্দ্র করে আমাদেরকে কত কথা শোনাতে আর এখন তোমরাই তার প্রতি ঈমান আনছ না কেন? তার সঙ্গী হচ্ছ না কেন? সালাম বিন মিশকিম উত্তর দেয়: আমরা তাঁর কথা বলতাম না। এ আয়াতের মধ্যে তারই বর্ণনা রয়েছে যে, তারা প্রথম হতেই মানত, অপেক্ষমানও ছিল, কিন্তু তাঁর আগমনের পর হিংসা ও অহঙ্কারবশত এবং শাসন ক্ষমতা হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর যা কিছু নাযিল করেছেন তা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করে বসে। ফলশ্র“তিতে তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার ক্রোধ এবং অপমানজনক শাস্তি অবধারিত হলো।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: অহঙ্কারী লোকেদেরকে কিয়ামাতের দিন মানুষের আকারে পিঁপড়ার ন্যায় উঠানো হবে। তাদেরকে সমস্ত জিনিস পদদলিত করে চলে যাবে এবং তাদেরকে জাহান্নামের বুলাস নামক কয়েদখানায় নিক্ষেপ করা হবে, যে স্থানের আগুন অন্য স্থানের আগুন অপেক্ষা অনেক বেশী দাহ্যসম্পন্ন। আর তাদেরকে জাহান্নামের পুঁজ, রক্ত ইত্যাদি পান করানো হবে। (তিরমিযী হা: ২৪৯, মুসনাদ আহমাদ হা: ১৬৭৭. হাদীসটি হাসান সহীহ)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. অহংকার মানুষকে সত্য গ্রহণে বাধা দেয়, যেমন ইবলিস অহংকারের কারণে বিতাড়িত হয়েছে।
২. অহংকারীদের জাহান্নামের শাস্তির কথা জানতে পারলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings