Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 86
Saheeh International
Those are the ones who have bought the life of this world [in exchange] for the Hereafter, so the punishment will not be lightened for them, nor will they be aided.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮৫ ও ৮৬ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহূদীদের থেকে যে সকল অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন তারা তা ভঙ্গ করে নিজেরা পরস্পর রক্তপাত, ঝগড়া-বিবাদ শুরু করল। একে অপরকে স্বীয় বাসস্থান থেকে বের করে দিল এবং জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করতে শুরু করল।
মদীনার আনসারদের দু’টি গোত্র ছিল: ১. আউস ও ২. খাযরায। ইসলাম পূর্বযুগে এ গোত্রদ্বয়ের মধ্যে কখনো কোন মিল ছিল না। পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগেই থাকত। মদীনার ইয়াহূদীদের তিনটি গোত্র ছিল: ১. বনু-কাইনুকা, ২. বনু নাযীর ও ৩. বনু কুরাইযা।
বনু কাইনুকা ও বনু নাযীর খাযরাজের পক্ষপাতি ছিল এবং তাদের বন্ধুতে পরিণত হয়েছিল। আর বনু কুরাইযার বন্ধুত্ব ছিল আউসের সঙ্গে। আউস ও খাযরাজের মধ্যে যখন যুদ্ধ শুরু হত তখন ইয়াহূদীদের তিনটি দল নিজ নিজ মিত্রের সঙ্গে যোগ দিয়ে শত্র“দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। দুই পক্ষের ইয়াহূদী স্বয়ং তাদেরই হাতে নিহত হত এবং সুযোগ পেলে একে অপরের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিত এবং দেশ থেকে তাড়িয়ে দিত। ধন-সম্পদও দখল করে নিত। যুদ্ধ বন্ধ হয়ে গেলে পরাজিত দলের বন্দীদেরকে তারা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে নিত এবং বলত, আমাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ আছে যে, আমাদের মধ্যে যদি কেউ বন্দী হয়ে যায় তবে আমরা যেন তাদেরকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে নেই। তারই উত্তরে মহান আল্লাহ তাদেরকে বলেছেন: এর কারণ কী যে, আমার এ হুকুম মানছ, কিন্তু আমি তোমাদেরকে বলেছিলাম তোমরা পরস্পর হানাহানি কর না, একে অপরকে বাড়ি হতে বের করে দিও না, তা মানছ না কেন? এক হুকুমের ওপর ঈমান আনা এবং অন্য হুকুমকে অমান্য করা- এটা আবার কোন্ ঈমানদারী? আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(ثُمَّ اَنْتُمْ ھٰٓؤُلَا۬ئِ تَقْتُلُوْنَ اَنْفُسَکُمْ وَتُخْرِجُوْنَ فَرِیْقًا مِّنْکُمْ)
“অনন্তর তোমরাই সেই লোক যারা (পরস্পর) তোমাদের নফসসমূহকে হত্যা করছ এবং তোমরা তোমাদের মধ্য হতে এক দলকে তাদের গৃহ হতে বহিষ্কার করে দিচ্ছ।”(সূরাহ বাকারাহ ২:৮৫)
কারণ তোমরা এক মতের লোক এবং সবাই এক আত্মার মত।
(اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْکِتٰبِ) –
‘তবে কি তোমরা গ্রন্থের (তাওরাতের) কিয়দাংশ বিশ্বাস কর’এর পূর্বের অংশ দ্বারা সুস্পষ্ট হয় যে, তারা বন্দীদের মুক্তিপণের ওপরই শুধু ঈমান এনেছিল। আর লোকজনদেরকে স্বীয় বাসস্থান থেকে বের করে দেয়, তাদের সাথে যুদ্ধ করে এ অংশের প্রতি কুফরী করেছিল। যারা এ সমস্ত কর্মকাণ্ড করে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে তাদের জন্য লাঞ্ছনা ও পরকালে কঠিন শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। এ বিধান শুধু ইয়াহূদীদের জন্য নয় বরং মুসলিমদের জন্যও প্রযোজ্য। অতএব কুরআনের কিছু বিধান মানব আর কিছু বিধান মানব না এমন আচরণ হলে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নিজের কুপ্রবৃত্তি বা দলের ও মতের সাথে শরীয়তের যে সকল বিধান মুআফিক হবে তা মানব আর যা মুআফিক হবে না তা মানব না এরূপ করা কুফরী কাজ।
২. আমাদের উচিত ইসলামের সকল বিধানকে মাথা পেতে মেনে নেয়া। অন্যথায় মুসলিম হতে পারব না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings