Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 84
Saheeh International
And [recall] when We took your covenant, [saying], "Do not shed each other's blood or evict one another from your homes." Then you acknowledged [this] while you were witnessing.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮৩ ও ৮৪ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা অত্র আয়াতে বানী ইসরাঈদেরকে যে সমস্ত আদেশ বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সে আদেশগুলো আবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল তাদের থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন যে, তারা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করবে, পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে, সালাত কায়িম করবে, যাকাত প্রদান করবে। আদম (আঃ) থেকে শুরু করে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত সকল নাবী-রাসূলগণকে এ পয়গাম প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ)
“আল্লাহর ‘ইবাদত করার ও তাগূতকে বর্জন করার নির্দেশ দেবার জন্য আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসূল পাঠিয়েছি।”(সূরা নাহল ১৬:৩৬)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(وَمَآ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِکَ مِنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا نُوْحِیْٓ اِلَیْھِ اَنَّھ۫ لَآ اِلٰھَ اِلَّآ اَنَا فَاعْبُدُوْنِ)
আমি তোমার পূর্বে এমন কোন রাসূল প্রেরণ করিনি তার প্রতি এ ওয়াহী ব্যতীত যে, ‘আমি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই; সুতরাং আমারই ‘ইবাদত করো।’(সূরা আম্বিয়া ২১:২৫)
এবং এ তাওহীদ বা এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তা‘আলা সকল জিন ও ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ)
“আমি সৃষ্টি করেছি জিন ও মানুষকে এজন্য যে, তারা একমাত্র আমার ইবাদত করবে।” (সূরা যারিআত ৫১:৫৬)
এটাই হল বান্দার ওপর আল্লাহ তা‘আলার সবচেয়ে বড় হক। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর হকের সাথে সাথে মাখলুকের মধ্যে যারা সদাচরণ পাবার অধিক হকদার তাদের কথাও উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(وَقَضٰي رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوآ إِلَّآ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا)
“তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ব্যতীত অন্য কারও ‘ইবাদত না করতে ও পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে।”(সূরা ইসরা ১৭:২৩)
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কোন আমল আল্লাহ তা‘আলার নিকট সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেন: যথাসময়ে সালাত আদায় করা, তারপর পিতা-মাতার সাথে সদ্বব্যবহার করা। তারপর আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় জিহাদ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৫২৭)
তাই সালাত, যাকাত ইত্যাদি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ বা একত্ববাদের ইবাদত ও পিতা-মাতার সাথে সদ্বব্যবহার এটা সকল উম্মাতের মধ্যেই ছিল। এ উম্মাতে মুহাম্মাদীকেও আল্লাহ তা‘আলা একই নির্দেশ দিয়ে বলেন,
(وَاعْبُدُوا اللہَ وَلَا تُشْرِکُوْا بِھ۪ شَیْئًا وَّبِالْوَالِدَیْنِ اِحْسَانًا وَّبِذِی الْقُرْبٰی وَالْیَتٰمٰی والْمَسٰکِیْنِ وَالْجَارِ ذِی الْقُرْبٰی وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنْۭبِ وَابْنِ السَّبِیْلِﺫ وَمَا مَلَکَتْ اَیْمَانُکُمْﺚ اِنَّ اللہَ لَا یُحِبُّ مَنْ کَانَ مُخْتَالًا فَخُوْرَا)
“তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে ও কোন কিছুকে তাঁর শরীক করবে না; এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, মুসাফির ও তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক, অহঙ্কারীকে।”(সূরা নিসা ৪:৩৬)
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের থেকে আরো অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন যে, তারা জমিনে রক্তপাত করবে না, আত্মীয়-স্বজনদেরকে স্বীয় বাসস্থান থেকে বের করে দেবে না ইত্যাদি।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. প্রত্যেক উম্মাতেই সালাত, সিয়াম ও যাকাত ইত্যাদি মৌলিক ইবাদত ছিল, তবে পদ্ধতিগত কিছু পার্থক্য ছিল।
২. আল্লাহ তা‘আলার হকের পর মাখলুকের মাঝে যারা সবচেয়ে বেশি সদাচরণ পাওয়ার হকদার তারা হলেন পিতা-মাতা।
৩. প্রত্যেক নাবী তাদের স্বজাতীর কাছে তাওহীদের পয়গাম নিয়ে আগমন করেছেন এবং এ দিকেই আহ্বান করেছেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings