Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 78
Saheeh International
And among them are unlettered ones who do not know the Scripture except in wishful thinking, but they are only assuming.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭৮ ও ৭৯ নং আয়াতের তাফসীর:
اُمِّي বলা হয় ঐ ব্যক্তি যে ভালভাবে লেখতে ও পড়তে জানে না। اُمِّیُّوْنَ শব্দটি তার বহুবচন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একটি বিশেষণ হচ্ছে اُمِّي, তিনি লেখতে ও পড়তে জানতেন না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا کُنْتَ تَتْلُوْا مِنْ قَبْلِھ۪ مِنْ کِتٰبٍ وَّلَا تَخُطُّھ۫ بِیَمِیْنِکَ اِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُوْنَ)
“তুমি তো পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করনি এবং স্বহস্তে কোন কিতাব লেখনি যে, মিথ্যাচারীরা সন্দেহ পোষণ করবে।”(সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ لَا نَكْتُبُ وَلَا نَحْسُبُ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا
আমরা নিরক্ষর লোক, আমরা লেখতেও জানি না এবং হিসাবও বুঝি না, মাস কখন এরকম হয় এবং কখনও এ রকম, এ রকম হয়। (সহীহ বুখারী হা: ১৯১৩, সহীহ মুসলিম হা: ১১০৮০)
أَمَا نِيْ (ধারণা) দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে এ ব্যাপারে দু’টি মতামত পাওয়া যায়-
১. যারা শুধু কিতাব তেলাওয়াত ছাড়া এর অর্থ কিছুই জানে না। তবে অত্র আয়াতে এটা উদ্দেশ্য নয়।
২. যারা কিতাব সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না কিন্তু বাতিল আশা-আকাক্সক্ষা করে যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقَالُوْا لَنْ یَّدْخُلَ الْجَنَّةَ اِلَّا مَنْ کَانَ ھُوْدًا اَوْ نَصٰرٰیﺚ تِلْکَ اَمَانِیُّھُمْﺚ قُلْ ھَاتُوْا بُرْھَانَکُمْ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ﮾)
“আর তারা বলে, যারা ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান হয়েছে তারা ছাড়া আর কেউই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, এটা তাদের বাসনা মাত্র। তুমি বল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর।” (সূরা বাকারাহ ২:১১১) অত্র আয়াতে এটা উদ্দেশ্য। (আযউয়াউল বায়ান, ১/৮৫)
(فَوَیْلٌ لِّلَّذِیْنَ)
‘তাদের জন্য অভিশম্পাত’এটা ইয়াহূদীদের অন্য এক শ্রেণির লোক যারা মানুষদেরকে ভ্রান্ত পথের দিকে আহ্বান করত, আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে মিথ্যা আরোপ করত এবং শিষ্যদের নিকট হতে অন্যায়ভাবে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করে খেত। তারা স্বহস্তে মনগড়া কিতাব লিপিবদ্ধ করে তা আল্লাহ তা‘আলার দিকে সোপর্দ করত। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এ সকল অন্যায়ের কারণে জাহান্নামের শাস্তির কথা বলেছেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ঈমান ও সৎ আমল না থাকলে বংশ ও প্রভাব প্রতিপত্তি পরকালে কোন উপকারে আসবে না।
২. ছোট ও বড় সকল প্রকার গুনাহ থেকে সতর্ক থাকা দরকার। মৃত্যুর পূর্বেই গুনাহ থেকে তাওবাহ করা উচিত।
৩. শরীয়তের কোন হালাল বিধানকে হারাম করে দেয় অথবা কোন হারামকে হালাল করে দেয় এমন ফতওয়া দেয়া থেকে সতর্ক থাকা আবশ্যক। অথবা নিজের তৈরি কোন কথা আল্লাহ তা‘আলার নামে চালিয়ে দেয়া থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এসব ইয়াহূদীদের চরিত্র।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings