Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 70
Saheeh International
They said, "Call upon your Lord to make clear to us what it is. Indeed, [all] cows look alike to us. And indeed we, if Allah wills, will be guided."
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
গাভীর ব্যাপারে ইয়াহূদীদের একগুয়েমীর জন্য মহান আল্লাহ তাদের কাজকে কঠিন করে দেন
অত্র আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ বানী ইসরাঈলের অবাধ্যতা, দুষ্টামি ও মহান আল্লাহর নির্দেশের ব্যাপারে তাদের খুঁটিনাটি প্রশ্নের বর্ণনা দিচ্ছেন। তাদের উচিত ছিলো হুকুম পাওয়া মাত্রই তার ওপর ‘আমল করা। কিন্তু তা না করে তারা বার বার প্রশ্ন করতে থাকে। ইবনু জুরাইজ (রহঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
"إنما أمروا بأدنى بقرة، ولكنهم لما شددوا على أنفسهم شدد الله عليهم؛ وايم الله لو أنهم لم يستثنوا ما بينت لهم آخر الأبد"
‘নির্দেশ পাওয়া মাত্রই যদি তারা যে কোন গরু যবেহ করতো তাহলে তাই যথেষ্ট ছিলো। কিন্তু তারা ক্রমাগত প্রশ্ন করতে থাকে এবং তার ফলে কাজে কাঠিন্য বৃদ্ধি পায়। এমন কি যদি তারা ‘ইনশা’আল্লাহ’ না বলতো তাহলে কখনো এ কাঠিন্য দূর হতো না এবং এটা তাদের কাছেও প্রকাশিত হতো না।’ (হাদীসটি য‘ঈফ। সনদ মু‘যাল পর্যায়ের)
তাদের প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলা হয় যে, এটা বৃদ্ধও নয় বা একেবারে কম বয়সেরও নয়, বরং মধ্যম বয়সের। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ), আবুল আলিয়া (রহঃ), সুদ্দী (রহঃ), মুজাহিদ (রহঃ), ইকরামাহ (রহঃ), ‘আতীয়া আল ‘আউফী (রহঃ), ‘আতা আল খুরাসানী (রহঃ), ওয়াহাব ইবনু মুনাব্বীহ (রহঃ), যাহ্হাক (রহঃ), হাসান বাসরী (রহঃ) এবং কাতাদাহও (রহঃ) অনুরূপ মতামত ব্যক্ত করেছেন। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/২১৬) যাহ্হাক (রহঃ) বলেন যে, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, ঐ গাভীটি না ছিলো অধিক বয়স্কা, আর না অল্প বয়স্কা। বরং এটি ছিলো ঐ বয়সের যখন তা থাকে সর্বোচ্চ শক্তিশালী ও কর্মক্ষম। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/২১৭)
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে এর রং বর্ণনা করা হয় যে, এটা হলদে রংয়ের সুদৃশ্য একটি গাভী। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) গাভিটির রং হলদে বলেছেন। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/২২১)
ওয়াহাব ইবনু মুনাব্বীহ (রহঃ) বলেনঃ ‘এর রং এতো গাঢ় ছিলো যে, মনে হতো যেন এটা থেকে সূর্যের কিরণ উত্থিত হচ্ছে।’ (তাফসীর তাবারী ২/২০২) তাওরাতে এর রং লাল বর্ণনা করা হয়েছে। সম্ভবতঃ যিনি একে ‘আরবীতে অনুবাদ করেছেন তিনিই ভুল করেছেন। মহান আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন। ঐ রঙের ও ঐ বয়সের বহুগাভী তাদের চোখে পড়তো বলে তারা মূসা (আঃ)-কে বলে, হে মহান আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি মহান আল্লাহকে অন্য কোন নিদর্শনের কথা জিজ্ঞেস করুন, যাতে করে আমাদের সন্দেহ কেটে যায়। ইনশা’আল্লাহ আমরা আবারো রাস্তা পেয়ে যাবো। যদি তারা ইনশা’আল্লাহ না বলতো তবে কিয়ামত পর্যন্ত তারা এ রকম গাভীর ঠিকানা পেতো না। আর যদি তারা প্রশ্নই না করতো তবে তাদের প্রতি এতো কঠোরতা অবলম্বন করা হতো না বরং যে কোন গাভী যবেহ করলেই যথেষ্ট হতো। এ বিষয়টি একটি মারফূ‘ হাদীসে আছে কিন্তু তার সনদটি গারীব। সঠিক কথা এটাই যে এটা আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) এর নিজস্ব কথা। মহান আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।
গাভীর বিশেষণ
অতঃপর গাভীটির বিশেষণ বর্ণনা করা হচ্ছে এই বলে যে, তা জমি চাষাবাদ করার কাজে অথবা পানি সেচের কাজে ব্যবহৃত হয়নি। এর শরীরে কোন দাগ নেই। এটা একই রংয়ের, অন্য কোন রংয়ের মিশ্রণ মোটেই নেই। এটা সুস্থ ও সবল। এখন অনিচ্ছাকৃতভাবেই তারা এর কুরবানী দিতে এগিয়ে গেলো। এ জন্যই মহান আল্লাহ বলেন যে, তারা তা যবেহ করবে বলে মনে হচ্ছিলো না। (তাফসীর তাবারী ২/২১৯) বরং যবেহ না করার জন্যই তারা তালবাহানা করছিলো। এ ছাড়া ‘উবাইদাহ (রহঃ), মুজাহিদ (রহঃ), ওয়াহাব ইবনু মুনাব্বীহ (রহঃ), আবুল ‘আলিয়া (রহঃ) এবং ‘আব্দুর রহমান ইবনু যায়দ ইবনু আসলাম (রহঃ) বলেনঃ ইয়াহূদীরা ঐ গাভীটিকে অনেক মূল্য দিয়ে ক্রয় করেছিলো। (তাফসীর তাবারী ২/২২১) আবার কেউ কেউ বলেন যে তারা এর মূল্য শুনিয়ে ঘাবড়িয়ে গিয়েছিলো কোন কোন বর্ণনায় আছে যে তার মূল্য লেগেছিলো মোট তিনটি স্বর্ণ মুদ্রা। কিন্তু এ বর্ণনাটি এবং গাভীর ওযন পরিমাণ স্বর্ণ দেয়ার বর্ণনাটি, এ দু’টোই ইসরাঈলী বর্ণনা। সঠিক কথা এই যে তাদের নির্দেশ পালনের ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু এভাবে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ফলে এবং হত্যার মামলার কারণে তাদেরকে এটা মানতেই হয়েছিলো। মহান আল্লাহ সব চেয়ে বেশি জানেন। এ আয়াত দ্বারা এই মাস’আলার ওপর ও দালীল নেয়া যেতে পারে যে জন্তুকে না দেখে ও ধার দেয়া জায়িয। কেননা পূর্ণভাবে এর বৈশিষ্ট্যের বর্ণনাটি দেয়া হয়েছে। যেমন ইমাম মালিক (রহঃ), ইমাম আওযা‘ঈ (রহঃ), ইমাম লায়স (রহঃ), ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ), ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) ও জমহুর ‘উলামার এটাই অভিমত। এর দালীল রূপে সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত নিম্নের হাদীসটিও আনা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন স্ত্রী যেন তার স্বামীর সামনে অপর কোন স্ত্রী লোকের বৈশিষ্ট্য এমন ভাবে বর্ণনা না করে যেন তাকে দেখছে। অন্য হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভুলবশত হত্যা এবং স্বেচ্ছায় অনুরূপ হত্যা দিয়তের উট সমূহের বিশেষত্ব বর্ণনা করেছেন। তবে ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ), ইমাম সাওরী (রহঃ) এবং অন্যান্য কূফীগণ বা-ই সালামকে সমর্থন করে না। তারা বলেন যে জন্তুসমূহের গুণাবলী ও অবস্থা পূর্ণভাবে বর্ণনা করা ছাড়া অবস্থা আয়ত্বে আসতে পারে না। এ ধরনের বর্ণনা ইবনু মাস‘উদ (রাঃ), হুযায়ফাহ ইবনু ইয়ামান (রাঃ) এবং আবদুর রহমান (রাঃ) প্রভৃতি মনীষীগণ হতে বর্ণিত হয়েছে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings