Surah Al Baqarah Tafseer

বানী ইসরাঈলের গাভীর পূজা করা

এখানেও মহান আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে, মূসা (আঃ) যখন চল্লিশ দিনের অঙ্গীকারে বানী ইসরাঈলের নিকট হতে তূর পাহাড়ে চলে যান তখন তারা বাছুর পূজা আরম্ভ করে দেয়। অতঃপর মূসা (আঃ) তাদের নিকট ফিরে এলে তারা এ র্শিক হতে তাওবাহ করে। তাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন যে, এতো বড় অপরাধের পরেও তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। এটা বানী ইসরাঈলের প্রতি তাঁর কম অনুগ্রহ নয়। কুর’আন মাজীদে অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেনঃ

﴿وَ قَطَّعْنٰهُمْ فِی الْاَرْضِ اُمَمًا١ۚ مِنْهُمُ الصّٰلِحُوْنَ وَ مِنْهُمْ دُوْنَ ذٰلِكَ١٘ وَ بَلَوْنٰهُمْ بِالْحَسَنٰتِ وَالسَّیِّاٰتِ لَعَلَّهُمْ یَرْجِعُوْنَ﴾

যখন আমি মূসার সাথে ত্রিশ রাতের ওয়া‘দা করেছিলাম এবং আরো দশ বাড়িয়ে পুরা চল্লিশ করেছিলাম। (৭ নং সূরাহ্ আ‘রাফ, আয়াত নং ১৬৮) বলা হয় যে, এ ওয়া‘দার সময়কাল ছিলো যিলকাদার পুরা এক মাস এবং যিলহাজ্জ মাসের দশ দিন। এটা ফির‘আউনীদের হাত হতে মুক্তি পাওয়ার পরের ঘটনা। ‘কিতাব’ এর ভাবার্থ তাওরাত এবং ফুরকান প্রত্যেক ঐ জিনিসকে বলা হয় যা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে এবং হিদায়াত ও গোমরাহীর মধ্যে পার্থক্য করে থাকে। এ কিতাবটিও উক্ত ঘটনার পরে পেয়েছিলেন, যেমন সূরাহ্ আ‘রাফের এ ঘটনার বর্ণনা রীতি দ্বারা প্রকাশ পাচ্ছে।

অন্যত্র মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

﴿وَلَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسَى الْكِتٰبَ مِنْۢ بَعْدِ مَاۤ اَهْلَكْنَا الْقُرُوْنَ الْاُوْلٰى بَصَآىِٕرَ لِلنَّاسِ وَ هُدًى وَّ رَحْمَةً لَّعَلَّهُمْ یَتَذَكَّرُوْنَ﴾

আমি তো পূর্ববর্তী বহু মানব গোষ্ঠীকে বিনাশ করার পর মূসাকে দিয়েছিলাম কিতাব, মানব জাতির জন্য-জ্ঞান-বর্তিকা, পথ নির্দেশ ও দয়া স্বরূপ, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। (২৮ নং সূরাহ্ কাসাস, আয়াত নং ৪৩)