Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 33
Saheeh International
He said, "O Adam, inform them of their names." And when he had informed them of their names, He said, "Did I not tell you that I know the unseen [aspects] of the heavens and the earth? And I know what you reveal and what you have concealed."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩১-৩৩ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে ফেরেশতাদের ওপর যে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এখানে তা বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাকে এমন জিনিসের নাম শিক্ষা দিয়েছেন যা অন্যদেরকে শিক্ষা দেননি। আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে কোন্ কোন্ বস্তুর নাম শিক্ষা দিয়েছিলেন এ বিষয়ে মুফাসসিরগণের মধ্যে অনেক মতানৈক্য রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল: ইবনু জারীর (রহঃ) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে ফেরেশতা ও তার বংশধরদের নাম শিক্ষা দিয়েছিলেন। কেননা এর পরবর্তী যে শব্দ عَرَضَهُمْ ‘উপস্থাপন করলেন’এসেছে তা বিবেকসম্পন্ন প্রাণীর জন্য ব্যবহৃত হয়।
ইমাম ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন: বরং সঠিক কথা হল, আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে সব জিনিসের নাম শিক্ষা দিয়েছেন। অধিকাংশ মুফাসসির এরূপই বলেছেন। ‘সবকিছুর নাম’বলতে পৃথিবীর সূচনা থেকে কিয়ামত পর্যন্ত ছোট-বড় যত জিনিস আবিষ্কৃত হয়েছে, হবে সকল সৃষ্টবস্তুর ইলম ও তা ব্যবহারের যোগ্যতা তাকে দেয়া হয়েছে। (তাফসীর ইবনে কাসীর ও আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ)
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন মু’মিনগণ একত্রিত হবে এবং তারা বলবে, আমরা যদি আমাদের রবের কাছে আমাদের জন্য একজন সুপারিশকারী পেতাম। এরপর তারা আদম (আঃ)-এর কাছে আসবে এবং তাঁকে বলবে, আপনি মানব জাতির পিতা। আপনাকে আল্লাহ তা‘আলা নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। ফেরেশতাদের মাধ্যমে আপনাকে সেজদাহ করিয়েছেন এবং যাবতীয় বস্তুর নাম আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন, সুতরাং আপনি আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। অতঃপর............হাদীসের শেষ পর্যন্ত। (সহীহ বুখারী হা: ৪৪৭৬, সহীহ মুসলিম হা: ৪৪)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে যে সকল বস্তুর নাম শিক্ষা দিয়েছিলেন সে সকল বস্তু ফেরেশতাদের সামনে পরীক্ষাস্বরূপ পেশ করতে বললেন। তারা এগুলোর নাম বলতে পারে কিনা।
ফেরেশতারা জবাবে বলেছিল:
(سُبْحٰنَكَ لَا عِلْمَ لَنَآ إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا)
“আমরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আপনি আমাদের যা শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া কোন জ্ঞানই আমাদের নেই।”
الْحَکِیْمُ ‘হাকীম’বলা হয় তাকে যিনি সকল বিষয় উপযুক্ত স্থানে স্থাপন করতে পারেন। প্রত্যেক বিষয়কে উপযুক্ত স্থানে স্থাপন করতে পারেন একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে বললেন: হে আদম! তুমি তাদেরকে সে নামসমূহ (যা তোমাকে শিক্ষা দিয়েছি) জানিয়ে দাও।
যায়েদ ইবনু আসলাম বলেন: আদম (আঃ) সবার নাম এভাবে বললেন, আপনার নাম জিবরীল, আপনার নাম মিকাঈল, আপনার নাম ইসরাফিল এভাবে সকলের নাম তিনি বলে দিলেন। এমনকি কাকের নামও বলে দিলেন।
মুজাহিদ বলেন: আদম (আঃ) কবুতর, কাকসহ সকল কিছুর নাম যথাযথভাবে বলে দিলেন। তারপর যখন আদম (আঃ)-এর মর্যাদা ফেরেশতাদের সামনে প্রকাশ পেল তখন আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাদেরকে বললেন: আমি কি তোমাদেরকে বলিনি, আমি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর গায়েবের খবর জানি এবং তোমরা যা গোপন কর তাও জানি। অত্র আয়াতে ফেরেশতারা যা গোপন করেছিল আল্লাহ তা‘আলা তা বর্ণনা করেননি।
কেউ কেউ বলেন: তা হল ইবলিস যে হিংসা গোপন করেছিল। এ দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা‘আলা এ কথা বলেন:
(إِلَّآ إِبْلِيسَ أَبٰي وَاسْتَكْبَرَ)
“ইবলীস ব্যতীত, সে অস্বীকার করল ও অহংকার করল।”
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আদম (আঃ)-কে সকল বস্তুর নাম শিক্ষা দেয়ার হিকমত জানলাম।
২. অজ্ঞ ব্যক্তিদের ওপর জ্ঞানীদের মর্যাদা অনেক বেশি।
৩. কোন কিছু অজানা থাকলে তা স্বীকার করলে মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় না।
৪. গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, তিনি আমাদের গোপন ও প্রকাশ্য সবই জানেন।
৫. যদি কোন ব্যক্তি এমন কিছু দাবি করে যার সে অধিকারী নয় তাহলে তাকে ভর্ৎসনা করা যাবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings