2:28
كَيۡفَ تَكۡفُرُونَ بِٱللَّهِ وَكُنتُمۡ أَمۡوَٰتًا فَأَحۡيَٰكُمۡۖ ثُمَّ يُمِيتُكُمۡ ثُمَّ يُحۡيِيكُمۡ ثُمَّ إِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ٢٨
Saheeh International
How can you disbelieve in Allah when you were lifeless and He brought you to life; then He will cause you to die, then He will bring you [back] to life, and then to Him you will be returned.
মহান আল্লাহর অস্তিত্ব সম্বন্ধে দালীলসমূহ মহান আল্লাহ বিদ্যমান রয়েছেন, তিনি ব্যাপক ক্ষমতাবান এবং তিনিই সৃষ্টিকর্তা ইত্যাদি দালীল-প্রমাণ ও যুক্তি উল্লেখ করে অত্র আয়াতে মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘কেমন করে তোমরা মহান আল্লাহর অস্তিত্বকে অবিশ্বাস করছো? অথচ তোমাদেরকে অস্তিত্বহীনতা থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী তো একমাত্র তিনিই।’ যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ﴿اَمْ خُلِقُوْا مِنْ غَیْرِ شَیْءٍ اَمْ هُمُ الْخٰلِقُوْنَؕ۳۵ اَمْ خَلَقُوا السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ١ۚ بَلْ لَّا یُوْقِنُوْنَ﴾‘তারা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই সৃষ্টা? না কি তারা আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে? বরং তারা তো অবিশ্বাসী।’ (৫২ নং সূরাহ্ তূর, আয়াত নং ৩৫-৩৬)অন্যত্র মহান আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ﴿هَلْ اَتٰى عَلَى الْاِنْسَانِ حِیْنٌ مِّنَ الدَّهْرِ لَمْ یَكُنْ شَیْـًٔا مَّذْكُوْرًا﴾‘কাল-প্রবাহ মানুষের ওপর এক সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিলো না।’ (৭৬ নং সূরাহ্ ইনসান / দাহর, আয়াত নং ১)এ ধরনের আরো বহু আয়াত রয়েছে। কুর’আন মাজীদে এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ ﴿قَالُوْا رَبَّنَاۤ اَمَتَّنَا اثْنَتَیْنِ وَ اَحْیَیْتَنَا اثْنَتَیْنِ فَاعْتَرَفْنَا بِذُنُوْبِنَا فَهَلْ اِلٰى خُرُوْجٍ مِّنْ سَبِیْلٍ﴾‘তারা বলবেঃ হে আমাদের রাব্ব! আপনি আমাদেরকে প্রাণহীন অবস্থায় দুইবার রেখেছেন এবং দুইবার আমাদেরকে প্রাণ দিয়েছেন।’ (৪০ নং সূরাহ্ মু’মিন, আয়াত নং ১১)‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ এবং এই আয়াতের ভাবার্থ একই যে, তোমরা তোমাদের পিতার পৃষ্ঠে মৃত ছিলে অর্থাৎ কিছুই ছিলে না। তিনিই তোমাদেরকে জীবিত করেছেন, আবার তোমাদেরকে মৃত করবেন। অর্থাৎ মৃত্যু একদিন অবশ্যই আসবে। আবার তিনি তোমাদেরকে কবর হতে উঠাবেন। এভাবেই মরণ দু’বার এবং জীবন দু’বার। আবূ সালিহ (রহঃ) বলেন যে, কবরে মানুষকে জীবিত করা হয়। ‘আব্দুর রহমান ইবনু যায়দ (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আদম (আঃ)-এর পৃষ্ঠ থেকে মানুষকে সৃষ্টি করার পর তাদের থেকে অঙ্গীকার নিয়ে মহান আল্লাহ তাদেরকে প্রাণহীন করেছেন। আবার মায়ের পেটে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। এরপর পার্থিব দুনিয়ায় তাদের মৃত্যু দেয়া হয়েছে। আবার কিয়ামতের দিন তাদেরকে জীবিত করবেন। (তাফসীরে ত্বাবারী-১/৫৮৬) কিন্তু এ মতটি দুর্বল। প্রথম মতটিই সঠিক। যা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস ও ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। আর তাবি‘ঈগণের বড় একটি দলেরও অভিমত এটাই। আর এ মতটি মহান আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণীর মতোই। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ﴿قُلِ اللّٰهُ یُحْیِیْكُمْ ثُمَّ یُمِیْتُكُمْ ثُمَّ یَجْمَعُكُمْ اِلٰى یَوْمِ الْقِیٰمَةِ لَا رَیْبَ فِیْهِ وَ لٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ﴾‘বলো মহান আল্লাহই তোমাদের জীবন দান করেন। তারপর তোমাদের মৃত্যু ঘটান। তারপর তিনি তোমাদের ক্বিয়ামতের দিন একত্রিত করবেন যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।’ (৪৫ নং সূরাহ আল জাসিয়া, আয়াত ২৬)মূর্তি যে সব পাথর ও মূর্তির মুশরিকরা পূজা করতো, গুলোকে মৃত বলা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ﴿اَمْوَاتٌ غَیْرُ اَحْیَآءٍ١ۚ وَمَا یَشْعُرُوْنَ١ۙ اَیَّانَ یُبْعَثُوْنَ﴾ ‘তারা প্রাণহীন, জীবিত নয়, তাদের কোনই চেতনা নেই, কবে তাদের পুনর্জীবিত করে উঠানো হবে।’ (১৬ নং সূরাহ আন নাহল, আয়াত-২১)অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেনঃ وَاٰیَةٌ لَّهُمُ الْاَرْضُ الْمَیْتَةُ١ۖۚ اَحْیَیْنٰهَا وَاَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ یَاْكُلُوْنَ‘মৃত যমীন তাদের জন্য একটা নিদর্শন। তাকে আমি জীবিত করি আর তা থেকে আমি উৎপন্ন করি শস্য যা থেকে তারা খায়।’ (৩৬ নং সূরাহ ইয়াসিন, আয়াত-৩৩)
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us