2:274
ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمۡوَٰلَهُم بِٱلَّيۡلِ وَٱلنَّهَارِ سِرًّا وَعَلَانِيَةً فَلَهُمۡ أَجۡرُهُمۡ عِندَ رَبِّهِمۡ وَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ٢٧٤
Saheeh International
Those who spend their wealth [in Allah 's way] by night and by day, secretly and publicly - they will have their reward with their Lord. And no fear will there be concerning them, nor will they grieve.
২৭২-২৭৪ নং আয়াতের তাফসীর: শানে নুযূল: ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবাগণ তাঁদের মুশরিক আত্মীয় স্বজনদের সাথে আদান-প্রদান করতে অপছন্দ করতেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হল। তখন(لَيْسَ عَلَيْكَ هُدَاهُمْ) ‘তাদের হিদায়াতের দায়িত্ব তোমার ওপর নয়’আয়াতটি অবতীর্ণ হল। (নাসাঈ হা: ১১৫২, সহীহ) সাঈদ বিন যুবাইর থেকে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত, মুসলিমগণ যিম্মী কাফিরদের দান-সদাকাহ করত। যখন মুসলিম দরিদ্রদের সংখ্যা বেড়ে গেল তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তেমাদের দীনের অনুসারী ছাড়া অন্য কাউকে দান-সদাকাহ করো না। তখন এ আয়াত নাযিল হয় (ইবনু আবী শাইবা ২/১০৪)।যাই হোক, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দায়িত্ব হল দীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়া, কল্যাণ কাজে মানুষকে উৎসাহ দেয়া এবং অন্যায় ও খারপ কাজ থেকে নিষেধ করা। হিদায়াতের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, তিনি যাকে ইচ্ছা সঠিক পথের হিদায়াত দিয়ে থাকেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللّٰهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ ﺚوَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ) “তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎ পথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহই যাকে ইচ্ছা সৎ পথে আনয়ন করেন এবং তিনিই ভাল জানেন সৎ পথ অনুসারীদেরকে।”(সূরা কাসাস ২৮:৫৬)لِلْفُقَرَآءِ ‘ফকিরদের জন্য’এখানে ফকির দ্বারা মুহাজিরদেরকে বুঝানো হয়েছে। কারণ তারা মক্কায় সবকিছু ছেড়ে রিক্তহস্তে মদীনায় চলে এসেছেন। তারা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কোথাও যেতে পারেন না, যুদ্ধ জিহাদে ব্যস্ত থাকার কারণে যারা তাদেরকে চেনে না, তারা মনে করে এদেরকে দানের কোন প্রয়োজন নেই। কেননা তারা চায় না, তাদের আচার-আচরণ ও চাল-চলনে সে রকম কিছু বুঝা যায় না। এদেরকে দান করা খুব নেকীর কাজ।(إِلَّا ابْتِغَآءَ وَجْهِ اللّٰهِ) ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় কর’যখন একজন মুসলিম একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য ব্যয় করবে তখন সে প্রত্যেক ব্যয়ের জন্য নেকী পাবে।রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তুমি যে ব্যয়ই কর তার দ্বারা যদি আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি চাও তাহলে তার প্রতিদান পাবে এমনকি যদি তুমি তোমার স্ত্রীকে খাবার দাও তাতেও নেকী পাবে। (সহীহ বুখারী হা: ৫৬) সুতরাং আমরা যা দান-সদাকাহ করব তার উদ্দেশ্য থাকবে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি, মানুষ আমাকে দানবীর বলবে কিম্বা তাদের বাহবাহ পাওয়ার জন্য নয়।ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য হল: তারা শত অভাব অনটনেও কারো কাছে হাত পাতে না।الحاف ইলহাফ অর্থ হল: সর্বাত্মকভাবে কারো কাছে চাওয়া বা নিবেদন করা। (তাফসীর মুয়াসসার, পৃঃ ৪৬)আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: মিসকিন সে নয় যে একটি দু’টি খেজুরের জন্য বা এক-দু’লোকমা খাবারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় বরং প্রকৃত মিসকিন হল সে যে অভাবী হওয়া সত্ত্বেও চাওয়া থেকে বেঁচে থাকে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত (لَا يَسْأَلُونَ النَّاسَ إِلْحَافًا) পাঠ করলেন। (সহীহ বুখারী হা: ১৪৭৬) (اَلَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ...) যারা রাতে ও দিনে, গোপনে এবং প্রকাশ্যে তাদের মাল খরচ করে’তথা যারা সর্বদা আল্লাহ তা‘আলার পথে ব্যয় করে। তবে কখনো গোপনের চেয়ে প্রকাশ্যে, আবার কখনো প্রকাশ্যের চেয়ে গোপনে দান করা উত্তম হয়। যখন প্রকাশ্যে দান করলে অন্যরা উৎসাহিত হবে তখন প্রকাশে দান করা উত্তম, তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনক্রমেই মনে মানুষের বাহবা পাওয়ার ইচ্ছা না জাগে। পূর্বের আয়াতে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. কাফিরদেরকেও সাধারণ দান-সদাকাহ দেয়া জায়েয আছে। তবে যাকাত দেয়া যাবে না কেননা তা কেবল মু’মিনদের হক।২. দানের ক্ষেত্রে নিয়ত ঠিক রাখা আবশ্যক।৩. প্রয়োজনের তারতম্য অনুযায়ী দান-সদাকার মর্যাদায় কম-বেশি হয়।৪. যারা প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অন্যের কাছে হাত পাতে না তাদের মর্যাদা জানলাম।৫. সচ্ছল-অসচ্ছল সর্বাবস্থায় যারা দান করে তাদের অনেক প্রতিদান রয়েছে।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us