Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 259
Saheeh International
Or [consider such an example] as the one who passed by a township which had fallen into ruin. He said, "How will Allah bring this to life after its death?" So Allah caused him to die for a hundred years; then He revived him. He said, "How long have you remained?" The man said, "I have remained a day or part of a day." He said, "Rather, you have remained one hundred years. Look at your food and your drink; it has not changed with time. And look at your donkey; and We will make you a sign for the people. And look at the bones [of this donkey] - how We raise them and then We cover them with flesh." And when it became clear to him, he said, "I know that Allah is over all things competent."
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
উযায়ের (আঃ) -এর ঘটনা
ওপরে ইবরাহীম (আঃ) -এর যে তর্কের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে সেটার সাথে এর সংযোগ রয়েছে। ইবনু আবী হাতিম (রহঃ) বলেন, ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) বলেন যে, সূরাহ্ আল বাক্বারার ২৫৯নং আয়াতে বর্ণিত ব্যক্তি হলেন উযায়ের (আঃ) । ইবনু জারীর (রহঃ) -ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবনু জারীর (রহঃ) এবং ইবনু আবী হাতিম এ বিষয়ে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) , হাসান বাসরী (রহঃ) , কাতাদাহ (রহঃ) , সুদ্দী (রহঃ) এবং সুলাইমান ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) বরাতে তাফসীর করেছেন। (তাফসীর তাবারী -৫/৪৩৯, তাফসীর ইবনু আবী হাতিম-৩/১০০৯) মুজাহিদ ইবনু যাবর (রহঃ) বলেন যে, এই আয়াত হলো রাজা বাখতে নাসর কর্তৃক যেরুজালিমের একটি গ্রাম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস এবং জনগণকে হত্যা করার পর ওখানকার বানী ইসরাঈলের এক মহান লোক সম্পর্কিত।
রাজা বখতে নাসর যখন ঐ জনবসতি ধ্বংস করে এবং জনগণকে তরবারির নীচে নিক্ষেপ করে তখন ঐ জনবসতি একেবারে শশ্মানে পরিণত হয়। এরপর ঐ মহান ব্যক্তি সেখান দিয়ে গমন করেন। যখন তিনি দেখেন যে, জনপদটি একেবারে শশ্মান হয়ে গেছে, সেখানে না আছ কোন বাড়ি ঘর, আর না আছে কোন মানুষ! সেখানে অবস্থানরত অবস্থায় তিনি চিন্তা করেন যে, এমন জাঁকজমকপূর্ণ শহর যেভাবে ধ্বংস হয়েছে এটাকি আর কোনদিন জনবসতিপূর্ণ হতে পারে! অতঃপর মহান আল্লাহ্ স্বয়ং তাকেই মৃত্যু দান করেন। ইনি তো ঐ অবস্থায়ই থাকেন। আর এদিকে সত্তর বছর পর বায়তুল মুকাদ্দাস পুনরায় জনবসতি পূর্ণ হয়। পলাতক বানী ইসরাঈল আবার ফিরে আসে এবং নিমিষের মধ্যে শহর ভরপুর হয়ে যায়। পূর্বে সেই শোভা ও জাঁকজমক পুনরায় পরিলক্ষিত হয়। এবারে একশ বছর পূর্ণ হওয়ার পর মহান আল্লাহ্ তাকে পুনর্জীবিত করেন এবং সর্বপ্রথম চক্ষুর মধ্যে আত্মা প্রবেশ করান যেন তিনি নিজে পুনর্জীবন স্বচক্ষে দর্শন করতে পারেন। অতঃপর যখন ফুঁ দিয়ে সারা দেহে আত্মা প্রবেশ করানো হয় তখন মহান আল্লাহ্ ফিরিশতার মাধ্যমে তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ
﴿ كَمْ لَبِثْتَ قَالَ لَبِثْتُ یَوْمًا اَوْ بَعْضَ یَوْمٍ﴾ ‘তুমি কতোদিন ধরে মরেছিলে?’ উত্তরে তিনি বলেনঃ ‘এখনো তো একদিন পুরাই হয়নি।’ এটা বলার কারণ ছিলো এই যে, সকাল বেলা তার আত্মা বের হয়েছিলো এবং একশ’ বছর পর যখন তিনি জীবিত হোন তখন ছিলো সন্ধ্যা। সুতরাং তিনি মনে করেন যে, ঐ দিনই রয়েছে। মহান আল্লাহ্ তাকে বলেনঃ
﴿بَلْ لَّبِثْتَ مِائَةَ عَامٍ فَانْظُرْ اِلٰى طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمْ یَتَسَنَّهْ﴾ ‘তুমি পূর্ণ একশ’ বছর মৃত অবস্থায় ছিলে। এখন আমার ক্ষমতার প্রতি লক্ষ্য করো যে, পাথেয় হিসেবে যে খাদ্য তোমার নিকট ছিলো তার একশ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও ঐরূপই রয়েছে, পচেও নি এবং সামান্য বিকৃতও হয়নি।’ ঐ খাদ্য ছিলো আঙ্গুর, ডুমুর এবং ফলের নির্যাস। ঐ নির্যাস নষ্ট হয়নি, ডুমুর টক হয়নি এবং আঙ্গুরও খারাপ হয়নি। বরং প্রত্যেক জিনিসই স্বীয় আসল অবস্থায় বিদ্যমান ছিলো। অতঃপর মহান আল্লাহ্ তাকে বলেনঃ
﴿ وَانْظُرْ اِلٰى حِمَارِكَ وَ لِنَجْعَلَكَ اٰیَةً لِّلنَّاسِ وَانْظُرْ اِلَى الْعِظَامِ كَیْفَ نُنْشِزُهَا ﴾ তোমার গাধার যে গলিত অস্থি তোমার সামনে রয়েছে এদিকে দৃষ্টিপাত করো। তোমার চোখের সামনে আমি তোমার গাধাকে জীবিত করছি। আমি তোমাকে মানবজাতির জন্য নিদর্শন করতে চাই, যেন কিয়ামতের দিন পুনরুত্থানের প্রতি তাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে অতঃপর তিনি দেখতে দেখতেই অস্থিগুলো স্ব-স্ব জায়গায় সংযুক্ত হয়ে যায়। মুসতাদরাক হাকিমে রয়েছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পঠন نُنْشِزُهَا-এর সঙ্গেই রয়েছে এবং এটাকে نُنْشِزُهَا-এর সাথেও করা হয়েছে। অর্থাৎ ‘আমি জীবিত করবো।’ (মুসতাদরাক হাকিম-২/২৩৪) মুজাহিদের (রহঃ) পঠনও এটাই। সুদ্দী (রহঃ) প্রমুখ বলেন যে, অস্থিগুলি ডানে-বামে ছড়িয়ে ছিলো এবং পচে যাওয়ার ফলে ঐগুলির শুভ্রতা চক্চক্ করছিলো। বাতাসে ঐগুলো একত্রিত হয়ে যায়। পরে এগুলি নিজ নিজ জায়গায় যুক্ত হয়ে যায় এবং পূর্ণ কাঠামোরূপে দাঁড়িয়ে যায়। সেগুলোতে মোটেই গোশত ছিলো না। মহান আল্লাহ্ সেগুলোর ওপর গোশত, শিরা ইত্যাদি পড়িয়ে দেন। অতঃপর ফিরিশতা পাঠিয়ে দেন। তিনি তার নাসারন্ধ্রে ফুঁক দেন। মহান আল্লাহ্র হুকুমে তৎক্ষনাৎ গাধাটি জীবিত হয়ে উঠে এবং শব্দ করতে থাকে। (তাফসীর তাবারী ৫/৪৬৮) উযায়ের (আঃ) দর্শন করতে থাকেন এবং মহান আল্লাহ্র ঐসব কারিগরি তার চোখের সামনেই সংঘটিত হয়। ঐসব কিছু দেখার পর তিনি বলেনঃ ‘আমার তো এটা বিশ্বাস ছিলোই যে মহান আল্লাহ্ সবকিছুর ওপর পূর্ণ ক্ষমতাবান। কিন্তু আজ আমি তা স্বচক্ষে দর্শন করলাম। সুতরাং আমি আমার যুগের সমস্ত লোক অপেক্ষা বেশি জ্ঞান ও বিশ্বাসের অধিকারী। কেউ কেউ আ‘লামু শব্দকে ই‘লামও পড়েছেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ বলেনঃ তুমি জেনে রেখো যে মহান আল্লাহ্ প্রত্যেক জিনিসের ওপরেই ক্ষমতাবান।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings