Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 253
Saheeh International
Those messengers - some of them We caused to exceed others. Among them were those to whom Allah spoke, and He raised some of them in degree. And We gave Jesus, the Son of Mary, clear proofs, and We supported him with the Pure Spirit. If Allah had willed, those [generations] succeeding them would not have fought each other after the clear proofs had come to them. But they differed, and some of them believed and some of them disbelieved. And if Allah had willed, they would not have fought each other, but Allah does what He intends.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
এখানে বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, রাসূলগণের মধ্যেও শ্রেণীভেদ রয়েছে। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ আমি কোন নবীকে কোন নবীর উপর মর্যাদা দান করেছি এবং দাউদকে (আঃ) যাবুর’ প্রদান করেছি। এখানেও ওরই বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন যে, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ স্বয়ং আল্লাহর সাথে কথা বলারও মর্যাদা লাভ করেছেন। যেমন হযরত মূসা (আঃ), হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবং হযরত আদম (আঃ)।
সহীহ ইবনে হিব্বানের মধ্যে একটি হাদীস রয়েছে যার মধ্যে মি'রাজের বর্ণনার সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ (সঃ) কোন্ আকাশে কোন্ নবীকে (আঃ) পেয়েছিলেন তারও বর্ণনা রয়েছে। নবীদের (আঃ) মর্যাদা কম-বেশী হওয়ার এটাও একটা দলীল।
একটি হাদীসে রয়েছে যে, একজন মুসলমান ও একজন ইয়াহূদীর মধ্যে কিছু বচসা হয়। ইয়াহুদী বলেঃ ‘সেই আল্লাহর শপথ যিনি হযরত মূসাকে (আঃ) সারা জগতের উপর মর্যাদা দান করেছেন। মুসলমানটি একথা সহ্য করতে না পেরে তাকে এক চড় মারেন এবং বলেনঃ “ওরে খবীস! মুহাম্মদ (সঃ) হতেও তিনি শ্রেষ্ঠ:’ ইয়াহূদী সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে মুসলমানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তিনি বলেনঃ “তোমরা আমাকে। নবীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করো না। কিয়ামতের দিন সবাই অজ্ঞান হয়ে যাবে। সর্বপ্রথম আমার জ্ঞান ফিরবে। আমি দেখবো যে, হযরত মূসা (আঃ) আল্লাহর আরশের পায়া ধরে রয়েছেন। আমার জানা নেই যে, আমার পূর্বে তারই জ্ঞান ফিরেছে না তিনি আসলে অজ্ঞানই হননি এবং তুর পাহাড়ের অজ্ঞানতার বিনিময়ে আজ আল্লাহ তাকে অজ্ঞানতা হতে বাঁচিয়ে নিয়েছেন। সুতরাং তোমরা আমাকে নবীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করো না।' এই হাদীসটি কুরআন শরীফের এই আয়াতটির বিপরীত বলে মনে হচ্ছে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই দু'য়ের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা কিছু নেই।
সম্ভবতঃ নবীদের উপর তার যে শ্রেষ্ঠত্ব এটা জানার পূর্বে তিনি এই নির্দেশ দিয়ে থাকবেন। কিন্তু এই উক্তিটি চিন্তাধীনে রয়েছে। দ্বিতীয় উত্তর এই যে, তিনি শুধু বিস্ময় প্রকাশ হিসেবেই একথা বলেছিলেন। তৃতীয় উত্তর এই যে, এরূপ ঝগড়ার সময় একজনকে অন্যজনের উপর মর্যাদা দেয়া হলে অন্যের মর্যাদা কমিয়ে দেয়া হয়, এজন্যেই তিনি এটা বলতে নিষেধ করেছিলেন। চতুর্থ উত্তর এই যে, তিনি যেন বলেছেনঃ “তোমরা মর্যাদা প্রদান করো না অর্থাৎ শুধুমাত্র নিজেদের খেয়াল খুশী ও গোঁড়ামির বশবর্তী হয়ে তোমরা তোমাদের নবীকে (সঃ) অন্যান্য নবীর (আঃ) উপর মর্যাদা প্রদান করো না।' পঞ্চম উত্তর এই যে, তার এই কথার ভাবার্থ হচ্ছেঃ ‘সম্মান ও মর্যাদা প্রদানের ফায়সালা তোমাদের অধিকারে নেই। বরং এ ফায়সালা হবে মহান আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে। সহীহ মুসলিম শরীফের মধ্যেও হাদীসটি রয়েছে; কিন্তু তাতে পরের বাক্যটি নেই। তিনি যাকে মর্যাদা দান করবেন তোমাদেরকে তা মেনে নিতে হবে। তোমাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে আল্লাহ তা'আলার নির্দেশকে মেনে নেয়া ও তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।
এরপর আল্লাহ পাক বলেন- ঈসা (আঃ)-কে তিনি এমন স্পষ্ট দলীলসমূহ। প্রদান করেছেন যেগুলো দ্বারা বানী ইসরাঈলের উপর স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে যে, তাঁর রিসালাত সম্পূর্ণরূপে সত্য। আর সাথে সাথে এটাও স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ঈসা (আঃ) অন্যান্য বান্দাদের মত আল্লাহর একজন শক্তিহীন ও অসহায় বান্দা ছাড়া আর কিছুই নন। আর তিনি পবিত্ৰাত্মা অর্থাৎ হযরত জিব্রাঈল (আঃ) দ্বারা তাঁকে সাহায্য করেছেন। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, পরবর্তীদের মতবিরোধও তাঁর ইচ্ছারই নমুনা। তার মাহাত্ম্য এই যে, তিনি যা ইচ্ছে করেন তাই করে থাকেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings