Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 238
Saheeh International
Maintain with care the [obligatory] prayers and [in particular] the middle prayer and stand before Allah, devoutly obedient.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৩৮ ও ২৩৯ নং আয়াতের তাফসীর:
তালাক ও সংশ্লিষ্ট বিধান সম্পর্কে আলোচনা করার পর এখানে সালাতের সংরক্ষণ ও তার প্রতি গুরুত্বারোপের আলোচনা করা হয়েছে।
শানে নুযূল:
জায়েদ বিন সাবেত (রাঃ) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দ্বিপ্রহরে যোহরের সালাত আদায় করতেন। যা তুলনামূলক সাহাবীদের জন্য অধিক কষ্টদায়ক ছিল। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। এর পূর্বেও দু’টি সালাত রয়েছে, পরেও দু’টি সালাত রয়েছে। (আবূ দাঊদ হা: আসরের সলাতের সময় অধ্যায়, সহীহ)
حَافِظُوْا ‘তোমরা সংরক্ষণ কর’এর অর্থ হল: যন্তসহকারে সালাতের রুকন, আরকান ও আহকাম অর্থাৎ বিধিবিধানসহ যথাসময়ে অর্থাৎ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করা।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন্ আমল সবচেয়ে উত্তম? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন:
الصَّلَاةُ لِوَقْتِهَا، وَبِرُّ الوَالِدَيْنِ، ثُمَّ الجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللّٰهِ
যথাযথ সময়ে সালাত আদায় করা, পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করা ও আল্লাহ তা‘আলার পথে জিহাদ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৭৫৩৪, সহীহ মুসলিম হা: ১৩৭)
তিরমিযীর বর্ণনায় রয়েছে: প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করা। (তিরমিযী হা: ১৭০, সহীহ)
(وَالصَّلٰوةِ الْوُسْطٰی)
‘মধ্যবর্তী সালাত’হল আসরের সালাত। যদিও এ ব্যাপারে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়, তবে সঠিক কথা হল এটাই।
যেমন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
الصَّلَاةُ الْوُسْطَي صَلَاةُ الْعَصْرِ
মধ্যবর্তী সালাত হল সালাতুল আসর। (তিরমিযী হা: ১৭৪৩, সহীহ)
(وَقُوْمُوْا لِلهِ قٰنِتِيْنَ)
শানে নুযূল:
জায়েদ বিন আরকাম (রহঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে আমরা সালাতে একজন অন্য জনের সাথে কথা বলতাম। সালাতে আমাদের কেউ তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির সাথে কথা বলত, ফলে এ আয়াতাংশ অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী হা: ১২০০, সহীহ মুসলিম হা: ৫৩৯)
তারপরের আয়াতে সালাতুল খাওফ বা ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় সালাত আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হচ্ছে। ঐ অবস্থায় দাঁড়িয়ে, হাঁটতে হাঁটতে বা বাহনের ওপর আরোহণ করে যেভাবে সম্ভব সালাত আদায় করে নেবে। সূরা নিসার ১০২ নং আয়াতে এর বিস্তারিত বিবরণ আসবে ইনশাআল্লাহ।
আর যদি ভয়ের অবস্থা চলে যায় তাহলে যেভাবে সাধারণ নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেভাবে সালাত আদায় করবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সালাতকে হিফাযত করা বিশেষ করে আসরের সালাত।
২. সালাতের মাঝে কথা বলা নিষেধ।
৩. ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়ও সালাত আদায় করতে হবে।
৪. মু’মিনরা সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করে, কখনো আল্লাহ তা‘আলার স্মরণ থেকে গাফেল হয় না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings