Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 205
Saheeh International
And when he goes away, he strives throughout the land to cause corruption therein and destroy crops and animals. And Allah does not like corruption.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২০৪ থেকে ২০৭ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতের কয়েকটি শানে নুযূল পাওয়া যায় তবে সবই দুর্বল।
এখানে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও মু’মিনদেরকে মুনাফিকদের ব্যাপারে অবগত করছেন যে, কিছু মুনাফিক রয়েছে যারা এমন মধুময়, সুন্দর সাবলিল ভাষায় নরম কণ্ঠে কথা বলবে ফলে তাদের কথা তোমাকে আশ্চর্যান্বিত করবে। এর উদ্দেশ্য দুনিয়া অর্জন, আখিরাত নয়। কথায় কথায় তারা আল্লাহ তা‘আলার নামে শপথ করে বলবে, আল্লাহ তা‘আলার শপথ! আল্লাহ তা‘আলা আমাদের অন্তরের কথা জানেন, অবশ্যই আমরা মু’মিন, আপনাকে ভালবাসি, আমি এরূপ এরূপ .... ইত্যাদি। (আয়সারুত তাফাসীর ১ম খণ্ড, পৃঃ ১৫৩)
(وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ)
‘সে হচ্ছে ভীষণ ঝগড়াটে ব্যক্তি’রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলার নিকট সবচেয়ে বেশি ক্রোধভাজন ঐ ব্যক্তি যে বেশি ঝগড়াটে।
কিন্তু যখন তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে চলে যায় তখন জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করে, মানুষের শস্য নষ্ট করে ও জীব-জন্তু হত্যা করে।
আল্লাহ তা‘আলা এসব ফাসাদকারীদের ভালবাসেন না। যখন এ ফাসাদকারী মুনাফিকদেরকে বলা হয় তোমরা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর, তাঁর শাস্তিকে ভয় কর, জমিনে ফাসাদ কর না। তারা এরূপ নসিহত গ্রহণ করে না বরং অহঙ্কার ও জাহিলয়াতের গোঁড়ামি ও পাপ কাজে অটল থাকে। এদের জন্য জাহান্নাম।
(وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّشْرِيْ نَفْسَهُ.... )
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস, ইকরিমা, সাঈদ বিন মুসাইয়েব ও আবূ উসমান আন নাহদীসহ প্রমুখ বর্ণনা করেন, আয়াতটি সুহাইব বিন সিনান আর-রুমীর ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। তিনি মক্কায় ইসলাম গ্রহণ করার পর যখন হিজরত করার ইচ্ছা করলেন তখন মানুষেরা বাধা দিল যাতে সে সম্পদ নিতে না পারে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে মুশরিকরা তাকে ইসলাম ছাড়তে বাধ্য করল। তারা বলল, সে যদি সম্পদ রেখে হিজরত করতে চায় তাহলে করুক। তিনি তাই করলেন; তখন এ আয়াত নাযিল হয়।
অন্য বর্ণনায় পাওয়া যায়, সুহাইব যখন মক্কা থেকে হিজরত করার ইচ্ছা করলেন, কুরাইশরা বলল, হে সুহাইব! তুমি আমাদের নিকট এসেছিলে এমন অবস্থায় যে, তোমার কোন সম্পদ ছিল না এখন তুমি সম্পদ নিয়ে চলে যেতে চাও। আল্লাহ তা‘আলার শপথ তুমি তা করতে পারবে না। সুহাইব বললেন, আমি তাদেরকে বললাম, আমি যদি তোমাদেরকে সম্পদ ফিরিয়ে দেই তাহলে আমাকে ছেড়ে দেবে? তারা বলল, হ্যাঁ। তখন আমি তাদের কাছে সমস্ত সম্পদ দিয়ে দেই। মদীনায় আগমন করার পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছলে, তিনি বললেন: সুহাইব সফলকাম হয়েছে, সুহাইব সফলকাম হয়েছে। (হাদীসটি হাসান, হাকিম ৩/৩৯৮)
অধিকাংশ মুফাসসিরগণ বলেন: এ আয়াতটি প্রত্যেক ঐ সকল মুজাহিদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যারা আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় জিহাদ করে।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اِنَّ اللہَ اشْتَرٰی مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ اَنْفُسَھُمْ وَاَمْوَالَھُمْ بِاَنَّ لَھُمُ الْجَنَّةَﺚ یُقَاتِلُوْنَ فِیْ سَبِیْلِ اللہِ فَیَقْتُلُوْنَ وَیُقْتَلُوْنَﺤ وَعْدًا عَلَیْھِ حَقًّا فِی التَّوْرٰٿةِ وَالْاِنْجِیْلِ وَالْقُرْاٰنِﺚ وَمَنْ اَوْفٰی بِعَھْدِھ۪ مِنَ اللہِ فَاسْتَبْشِرُوْا بِبَیْعِکُمُ الَّذِیْ بَایَعْتُمْ بِھ۪ﺚ وَذٰلِکَ ھُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ)
“নিশ্চয়ই আল্লাহ মু’মিনদের নিকট হতে তাদের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করে নিয়েছেন, এর বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, নিধন করে ও নিহত হয়।
তাওরাত, ইন্জীল ও কুরআনে এ সম্পর্কে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্র“তি রয়েছে। নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কে আছে? তোমরা যে সওদা করেছ সে সওদার জন্য আনন্দিত হও এবং সেটাই তো মহাসাফল্য।” (সূরা তাওবাহ ৯:১১১)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুনাফিকদের মনোমুগ্ধকর কথা থেকে সাবধান থাকতে হবে।
২. যারা জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করে তারা মানুষের মধ্যে খারাপ জাতি।
৩. কথায় কথায় আল্লাহ তা‘আলার নামে শপথ করা মু’মিনদের কাজ নয়।
৪. জিহাদের প্রতি উৎসাহ ও প্রেরণা দেয়া হয়েছে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings