Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 173
Saheeh International
He has only forbidden to you dead animals, blood, the flesh of swine, and that which has been dedicated to other than Allah . But whoever is forced [by necessity], neither desiring [it] nor transgressing [its limit], there is no sin upon him. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৭২ ও ১৭৩ নং আয়াতের তাফসীর:
১৬৮ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা সমগ্র মানব জাতিকে হালাল খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অত্র আয়াতেও বিশেষভাবে মু’মিনদেরকে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন। তারপর এসব নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার নির্দেশ দিচ্ছেন।
১৭৩ নং আয়াতে হালাল খাওয়ার নির্দেশের সাথে সাথে বর্জনীয় হারামগুলোর বর্ণনাও আল্লাহ তা‘আলা দিয়েছেন। এ আয়াতের তাফসীরস্বরূপ সূরা মায়িদার ৩ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের-মাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু; তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা ছাড়া, আর যা মূর্তি পূজার বেদীর ওপর বলি দেয়া হয় তা এবং তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা- এসব পাপ কাজ। আজ কাফিররা তোমাদের দীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম। তবে কেউ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”(সূরা মায়িদাহ ৫:৩)
الْمَیْتَةَ ‘মৃত’মৃত দ্বারা সেসব জন্তুকে বুঝানো হয়েছে যা শরীয়তসম্মতভাবে জবেহ করা হয়নি যদিও তা হালাল প্রাণী হয়, তবে মাছ মৃত হলেও তা হালাল। (আবূ দাঊদ হা: ৮৩, সহীহ)
الدَّمَ ‘রক্ত’রক্ত দ্বারা ঐ রক্ত হারাম বুঝানো হয়েছে যা জবেহ করার সময় প্রবাহিত হয়।
(وَلَحْمَ الْخِنْزِيرِ)
‘শুকরের গোশত’শুকরের গোশত, তা থেকে উপকার নেয়াসহ তার সব কিছু হারাম।
(وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللّٰهِ بِهِ)
‘যা আল্লাহ ব্যতীত অপরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত’অর্থাৎ যেসব প্রাণী আল্লাহ তা‘আলার নাম ছাড়া অন্যের নামে জবেহ করা হয়। চাই মূর্তি হোক, ওয়ালী-আওলিয়া হোক।
যে ব্যক্তি নিরুপায় অথচ অন্যায়কারী কিংবা সীমালংঘনকারী নয় তার কোন পাপ হবে না। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَمَنِ اضْطُرَّ فِیْ مَخْمَصَةٍ غَیْرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثْمٍﺫ فَاِنَّ اللہَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ)
“তবে কেউ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৩) অর্থাৎ হারাম প্রাণী বা খাদ্য ছাড়া কোন কিছু না পেলে প্রাণ রক্ষার্থে ততটুকু বৈধ যতটুকু হলে জীবন বাঁচানো যাবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. হালাল রিযিক খাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।
২. আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা ওয়াজিব।
৩. বর্ণিত হারাম প্রাণী ও খাদ্য খেতে কেউ বাধ্য হলে প্রাণ রক্ষার্থে খাওয়া জায়েয।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings