Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 166
Saheeh International
[And they should consider that] when those who have been followed disassociate themselves from those who followed [them], and they [all] see the punishment, and cut off from them are the ties [of relationship],
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
দুনিয়া এবং আখিরাতে মুশরিকদের অবস্থা
অত্র আয়াতসমূহে মহান আল্লাহ মুশরিকদের ইহলৌকিক ও পরলৌকিক অবস্থা বর্ণনা দিচ্ছেন। তারা মহান আল্লাহ্র অংশীদার স্থাপন করে এবং অন্যদেরকে তার সাদৃশ্য স্থির করে। অতঃপর তাদের সাথে এমন আন্তরিক ভালোবাসা স্থাপন করে যেমন ভালোবাসা মহান আল্লাহ্র সাথে হওয়া উচিত। কারণ তিনি প্রকৃত উপাস্য এবং তিনি অংশীদার হতে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র। সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে, ‘আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আমি জিজ্ঞেস করিঃ يا رسول الله، أي الذنب أعظم؟ قال: "أن تجعل لله ندًا وهو خلَقَك"
হে মহান আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! সবচেয়ে বড় পাপ কি? তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহ্র সাথে শিরক করা, অথচ সৃষ্টি তিনি একা করেছেন। (হাদীসটি সহীহ। সহীহুল বুখারী ৮/১৩/৪৪৭৭, সহীহ মুসলিম ১/৯০/১৪১, জামি‘ তিরমিযী ৫/৩১৪/৩১৮২, সুনান নাসাঈ-৭/১০৩/৪০২৪, মুসনাদে আহমাদ ১/৩৮০, ৩৩১, ফাতহুল বারী ৮/৩)
وَ لَوْ یَرَى الَّذِیْنَ ظَلَمُوْۤا اِذْ یَرَوْنَ الْعَذَابَ١ۙ اَنَّ الْقُوَّةَ لِلّٰهِ جَمِیْعًا ‘যদি এ যালিমরা শাস্তি দেখার পর যেমন বুঝবে তা যদি এখনই বুঝতো যে, সমস্ত শক্তি মহান আল্লাহ্রই জন্য, অতঃপর মহান আল্লাহ অত্র আয়াতাংশের মাধ্যমে ঐসব লোককে শাস্তির সংবাদ দিচ্ছেন যারা শিরকের মাধ্যমে তাদের আত্মার ওপর অত্যাচার করছে। যদি তারা শাস্তি অবলোকন করতো তাহলে তাদের অবশ্যই বিশ্বাস হতো যে, মহাক্ষমতাবান তো একমাত্র মহান আল্লাহই। সমস্ত জিনিস তাঁর অধীনস্ত এবং তাঁরই আজ্ঞাধীন। وَّاَنَّ اللّٰهَ شَدِیْدُ الْعَذَابِ ‘মহান আল্লাহ শাস্তি দানে অত্যন্ত কঠোর। অর্থাৎ তাঁর শাস্তিও খুব কঠিন।’ যেমন অন্য জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ فَيَوْمَئِذٍ لا يُعَذِّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌ وَلا يُوثِقُ وَثَاقَهُ أَحَدٌ
‘সেই দিন তাঁর শাস্তির মতো কেউ শাস্তি দিতে পারবে না এবং তাঁর পাকড়াও এর মতো কেউ পাকড়াও করতে পারবে না।’ (৮৯ নং সূরা আল ফজর, আয়াত ২৫-২৬)
দ্বিতীয় ভাবার্থ এটাও হতে পারে যে, যদি ঐ দৃশ্য সম্বন্ধে তাদের জ্ঞান থাকতো তাহলে কখনো তারা শিরক ও কুফরকে আঁকড়ে থাকতো না।
অতঃপর মহান আল্লাহ সংবাদ দিচ্ছেন যে, তারা দুনিয়ায় যাদেরকে নিজেদের নেতা মনে করেছিলো, কিয়ামতের দিন ঐ নেতারা তাদের থেকে পৃথক হয়ে যাবে। ফলে মহান আল্লাহ বলেনঃ
﴿اِذْ تَبَرَّاَ الَّذِیْنَ اتُّبِعُوْا مِنَ الَّذِیْنَ اتَّبَعُوْا وَرَاَوُا الْعَذَابَ وَتَقَطَّعَتْ بِهِمُ الْاَسْبَابُ﴾
‘যাদের অনুসরণ করা হতো তারা অনুসরণকারীদের সাথে তাদের কোন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করবে, তারা শাস্তি দেখবে আর তাদের মধ্যেকার যাবতীয় সম্পর্ক- সম্বন্ধ ছিন্ন হয়ে যাবে।’ অর্থাৎ ফিরিশতাগণ তাদের থেকে পৃথক হয়ে যাবে যারা দাবী করতো যে, তারা পার্থিব জীবনে তাদের ‘ইবাদত করতো। অতএব ফেরেশতাগণ বলবেঃ ﴿تَبَرَّاْنَاۤ اِلَیْكَ مَا كَانُوْۤا اِیَّانَا یَعْبُدُوْنَ﴾
‘আপনার সমীপে আমরা দায়িত্ব হতে অব্যাহতি চাচ্ছি। এরা আমাদের ‘ইবাদত করতো না।’ (২৮ নং সূরা কাসাস, আয়াত নং ৬৩)
ফিরিশতাগণ আরো বলবেঃ
﴿سُبْحٰنَكَ اَنْتَ وَلِیُّنَا مِنْ دُوْنِهِمْ١ۚ بَلْ كَانُوْا یَعْبُدُوْنَ الْجِنَّ١ۚ اَكْثَرُهُمْ بِهِمْ مُّؤْمِنُوْنَ﴾
‘আপনি পবিত্র, মহান! আমাদের সম্পর্ক আপনারই সাথে, তাদের সাথে নয়, তারা তো পূজা করতো জ্বিনদের এবং তাদের অধিকাংশই ছিলো তাদের প্রতি বিশ্বাসী।’ (৩৪ নং সূরা সাবা, আয়াত নং ৪১)
অর্থাৎ তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এদের প্রতি অসন্তুষ্ট। এরা আমাদের উপাসনা করতো না। হে মহান আল্লাহ! আপনি পবিত্র এবং আপনিই আমাদের অভিভাবক। বরং এরা জ্বিনদের উপাসনা করতো। এদের অধিকাংশই তাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী ছিলো।’
অনুরূপভাবেই জ্বিনরাও তাদের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করবে এবং পরিস্কারভাবে তাদের শত্রুহয়ে যাবে এবং তাদের ‘ইবাদতকে অস্বীকার করবে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ
﴿وَ مَنْ اَضَلُّ مِمَّنْ یَّدْعُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَنْ لَّا یَسْتَجِیْبُ لَهٗۤ اِلٰى یَوْمِ الْقِیٰمَةِ وَ هُمْ عَنْ دُعَآىِٕهِمْ غٰفِلُوْنَ۵ وَ اِذَا حُشِرَ النَّاسُ كَانُوْا لَهُمْ اَعْدَآءً وَّ كَانُوْا بِعِبَادَتِهِمْ كٰفِرِیْنَ﴾
‘সেই ব্যক্তি অপেক্ষা বিভ্রান্ত কে যে মহান আল্লাহ্র পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যা কিয়ামতের দিন পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দিবে না? আর সেগুলো তাদের প্রার্থনা সম্বন্ধে অবহিত নয়। যখন কিয়ামত দিবসে মানুষকে একত্রিত করা হবে তখন ঐগুলো হবে তাদের শত্রু, ঐগুলো তাদের ‘ইবাদত অস্বীকার করবে।’ (৪৬ নং সূরা আহকাফ, আয়াত নং ৫-৬)
কুর’আন মাজীদের মধ্যে অন্য জায়গায় রয়েছেঃ
﴿وَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اٰلِهَةً لِّیَكُوْنُوْا لَهُمْ عِزًّاۙ۸۱ كَلَّا١ؕ سَیَكْفُرُوْنَ بِعِبَادَتِهِمْ وَ یَكُوْنُوْنَ عَلَیْهِمْ ضِدًّا﴾
‘তারা মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে মা‘বূদ রূপে গ্রহণ করে এজন্য যে, যাতে তারা তাদের সহায় হয়। কখনোই নয়; তারা তাদের ‘ইবাদত অস্বীকার করবে এবং তাদের বিরোধী হয়ে যাবে।’ (১৯ নং সূরা মারইয়াম, আয়াত নং ৮১-৮২)
ইবরাহীম (আঃ) কাফেরদের প্রতি যে উক্তি করেছিলেন কুর’আন মাজীদে তা এভাবে বর্ণনা করা হয়েছেঃ
﴿اِنَّمَا اتَّخَذْتُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا١ۙ مَّوَدَّةَ بَیْنِكُمْ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا١ۚ ثُمَّ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یَكْفُرُ بَعْضُكُمْ بِبَعْضٍ وَّ یَلْعَنُ بَعْضُكُمْ بَعْضًا١٘ وَّ مَاْوٰىكُمُ النَّارُ وَ مَا لَكُمْ مِّنْ نّٰصِرِیْنَ﴾
‘তোমরা মহান আল্লাহ্র পরিবর্তে মূর্তিগুলোকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছো পার্থিব জীবনে তোমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বের খাতিরে। কিন্ত কিয়ামত দিবসে তোমরা একে অপরকে অস্বীকার করবে এবং পরস্পরকে অভিসম্পাত দিবে। তোমাদের আবাস হবে জাহান্নাম এবং তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না।’ (২৯ নং সূরা ‘আনকাবূত, আয়াত নং ২৫)
এভাবেই অন্য জায়গায় রয়েছেঃ
﴿وَ لَوْ تَرٰۤى اِذِ الظّٰلِمُوْنَ مَوْقُوْفُوْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْ١ۖۚ یَرْجِعُ بَعْضُهُمْ اِلٰى بَعْضِ اِ۟لْقَوْلَ١ۚ یَقُوْلُ الَّذِیْنَ اسْتُضْعِفُوْا لِلَّذِیْنَ اسْتَكْبَرُوْا لَوْ لَاۤ اَنْتُمْ لَكُنَّا مُؤْمِنِیْنَ۳۱ قَالَ الَّذِیْنَ اسْتَكْبَرُوْا لِلَّذِیْنَ اسْتُضْعِفُوْۤا اَنَحْنُ صَدَدْنٰكُمْ عَنِ الْهُدٰى بَعْدَ اِذْ جَآءَكُمْ بَلْ كُنْتُمْ مُّجْرِمِیْنَ۳۲ وَ قَالَ الَّذِیْنَ اسْتُضْعِفُوْا لِلَّذِیْنَ اسْتَكْبَرُوْا بَلْ مَكْرُ الَّیْلِ وَ النَّهَارِ اِذْ تَاْمُرُوْنَنَاۤ اَنْ نَّكْفُرَ بِاللّٰهِ وَ نَجْعَلَ لَهٗۤ اَنْدَادًا١ؕ وَ اَسَرُّوا النَّدَامَةَ لَمَّا رَاَوُا الْعَذَابَ١ؕ وَجَعَلْنَا الْاَغْلٰلَ فِیْۤ اَعْنَاقِ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا١ؕ هَلْ یُجْزَوْنَ اِلَّا مَا كَانُوْا یَعْمَلُوْنَ﴾
‘হায়! তুমি যদি দেখতে! যালিমদেরকে যখন তাদের রবের সামনে দণ্ডায়মান করা হবে তখন তারা পরস্পর বাদ প্রতিবাদ করতে থাকবে। যাদেরকে দুর্বল মনে করা হতো তারা ক্ষমতাদর্পীদেরকে বলবেঃ তোমরা না থাকলে আমরা অবশ্যই মু’মিন হতাম। যারা ক্ষমতাদর্পী ছিলো তারা যাদেরকে দুর্বল মনে করা হতো তাদেরকে বলবেঃ তোমাদের নিকট সৎ পথের দিশা আসার পর আমরা কি তোমাদেরকে এটা হতে নিবৃত্ত করেছিলাম?বস্তুতঃ তোমরাই তো ছিলে অপরাধী। যাদেরকে দুর্বল মনে করা হতো তারা ক্ষমতাদর্পীদেরকে বলবেঃ প্রকৃতপক্ষে তোমরাই তো দিন-রাত চক্রান্তে লিপ্ত ছিলে, আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলে যেন আমরা মহান আল্লাহকে অমান্য করি এবং তাঁর শরীক স্থাপন করি। যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন তারা অনুতাপ গোপন রাখবে এবং কাফেরদের গলদেশে শৃঙ্খল পরিয়ে দিবো। তারা যা করতো তারই প্রতিফল তাদেরকে দেয়া হবে।’ (৩৪ নং সূরা সাবা, আয়াত নং ৩১-৩৩) অন্য স্থানে মহান আরো বলেনঃ
﴿وَ قَالَ الشَّیْطٰنُ لَمَّا قُضِیَ الْاَمْرُ اِنَّ اللّٰهَ وَعَدَكُمْ وَعْدَ الْحَقِّ وَ وَعَدْتُّكُمْ فَاَخْلَفْتُكُمْ١ؕ وَ مَا كَانَ لِیَ عَلَیْكُمْ مِّنْ سُلْطٰنٍ اِلَّاۤ اَنْ دَعَوْتُكُمْ فَاسْتَجَبْتُمْ لِیْ١ۚ فَلَا تَلُوْمُوْنِیْ وَ لُوْمُوْۤا اَنْفُسَكُمْ١ؕ مَاۤ اَنَا بِمُصْرِخِكُمْ وَ مَاۤ اَنْتُمْ بِمُصْرِخِیَّ١ؕ اِنِّیْ كَفَرْتُ بِمَاۤ اَشْرَكْتُمُوْنِ مِنْ قَبْلُ١ؕ اِنَّ الظّٰلِمِیْنَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ﴾
‘যখন সব কিছুর মীমাংসা হয়ে যাবে তখন শায়তান বলবেঃ মহান আল্লাহ তোমাদেরকে দিয়েছিলেন সত্য প্রতিশ্রুতি, আমিও তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করিনি; আমার তো তোমাদের ওপর কোন আধিপত্য ছিলো না, আমি শুধু তোমাদেরকে আহ্বান করেছিলাম এবং তোমরা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলে; সুতরাং তোমরা আমার প্রতি দোষারোপ করো না, তোমরা তোমাদের প্রতিই দোষারোপ করো; আমি তোমাদের উদ্ধারে সাহায্য করতে সক্ষম নই এবং তোমরাও আমার উদ্ধারে সাহায্য করতে সক্ষম নও; তোমরা যে পূর্বে আমাকে মহান আল্লাহ্র শরীক করেছিলে তাঁর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই; যালিমদের জন্য তো বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছেই।’ (১৪ নং সূরা ইবরাহীম, আয়াত নং ২২)
এরপর মহান আল্লাহ বলেন যে, ﴿وَ رَاَوُا الْعَذَابَ وَ تَقَطَّعَتْ بِهِمُ الْاَسْبَابُ﴾ তারা শাস্তি দেখে নিবে এবং সমস্ত সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, পালানোরও কোন জায়গা থাকবে না এবং মুক্তিরও কোন পথ চোখে পড়বে না। বন্ধুত্ব কেটে যাবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন হবে।
অতঃপর মহান প্রতিমা পূজারী কাফিরদের অবস্থা তুলে ধরে বলেনঃ
﴿وَ قَالَ الَّذِیْنَ اتَّبَعُوْا لَوْ اَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَتَبَرَّاَ مِنْهُمْ كَمَا تَبَرَّءُوْا مِنَّا﴾ ‘অনুসরণকারীরা বলবে, যদি কোনো প্রকারে আমাদের ফিরে যাবার সুযোগ ঘটতো, তাহলে আমরাও তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতাম যেমনিভাবে তারা সম্পর্ক ছিন্ন করলো।’
অর্থাৎ বিনা প্রমাণে যারা তাদের পরিচালকদের পথে চলতো, তাদের প্রতি বিশ্বাস রাখতো এবং তাদের আনুগত্য স্বীকার করতো, পূজা করতো, তারা যখন তাদের পরিচালক ও নেতাদেরকে দেখবে যে, তারা তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে, তখন তারা অত্যন্ত দুঃখ ও নৈরাশ্যর সাথে বলবেঃ ﴿ لَوْ اَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَتَبَرَّاَ مِنْهُمْ كَمَا تَبَرَّءُوْا مِنَّا﴾
‘যদি আমরা পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে আমরাও তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করতাম যেমন তারা আমাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে’। আর আমরা তাদের প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ করতাম না, তাদের কথা মানতাম না এবং তাদেরকে মহান আল্লাহ্র অংশীদার সাব্যস্ত করতাম না। বরং খাঁটি অন্তরে এক মহান আল্লাহ্র ‘ইবাদত করতাম। অথচ সত্যিই যদি ফিরিয়ে দেয়া হয় তবুও তারা পূর্বে যা করেছিলো তাই করবে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ﴿وَ لَوْ رُدُّوْا لَعَادُوْا لِمَا نُهُوْا عَنْهُ﴾
‘যদি তাদেরকে সাবেক পার্থিব জীবনে ফিরে যেতে দেয়া হয়, তবুও যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিলো তারা তাই করবে।’ (৬ নং সূরা আন‘আম, আয়াত নং ২৮)
এ জন্যই বলা হয়েছেঃ ﴿وَ لَوْ رُدُّوْا لَعَادُوْا لِمَا نُهُوْا عَنْهُ﴾ ‘আমি তাদের কৃতকর্মগুলো বিবেচনা করবো, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবো।’ (২৫ নং সূরা ফুরকান, আয়াত নং ২৩) অর্থাৎ তাদের ভালো কাজ যা কিছু ছিলো সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেনঃ
﴿مَثَلُ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا بِرَبِّهِمْ اَعْمَالُهُمْ كَرَمَادِ اِ۟شْتَدَّتْ بِهِ الرِّیْحُ فِیْ یَوْمٍ عَاصِفٍ﴾
‘যারা তাদের রাব্বকে অস্বীকার করে তাদের উপমা হলো, তাদের কাজসমূহ ছাই সাদৃশ্য যা ঝড়ের দিনে বাতাস প্রচণ্ড বেগে উড়িয়ে নিয়ে যায়।’ (১৪ নং সূরা ইবরাহীম, আয়াত নং ১৮) অন্য স্থানে মহান আল্লাহ বলেনঃ ﴿وَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْۤا اَعْمَالُهُمْ كَسَرَابٍۭ بِقِیْعَةٍ یَّحْسَبُهُ الظَّمْاٰنُ مَآءً﴾
‘যারা কুফরী করে, তাদের ‘আমলসমূহ মরুভূমির মরীচিকা সাদৃশ্য; পিপাসার্ত যাকে পানি মনে করে থাকে।’ (২৪ নং সূরা নূর, আয়াত নং ৩৯)
তারপরে মহান আল্লাহ বলেন যে, وماهم بخارجين من النار ‘তারা জাহান্নামের অগ্নি হতে উদ্ধার পাবে না।’ বরং সেখানে তারা চিরকাল অবস্থান করবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings