Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 139
Saheeh International
Say, [O Muhammad], "Do you argue with us about Allah while He is our Lord and your Lord? For us are our deeds, and for you are your deeds. And we are sincere [in deed and intention] to Him."
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
অত্র আয়াতগুলোতে মহান আল্লাহ স্বীয় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মুশরিকদের ঝগড়া বিদূরিত করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। মহান আল্লাহ তাঁর নবীকে বলছেনঃ ‘হে নবী! তুমি মুশরিকদেরকে বলোঃ ‘হে মুশরিকের দল! তোমরা আমাদের সাথে মহান আল্লাহ্র একাত্মবাদ, অকৃত্রিমতা, আনুগত্য ইত্যাদির ব্যাপারে বিবাদ করছো কেন? তিনি শুধু আমাদেরই প্রতিপালক নন, বরং তোমাদেরও প্রতিপালক। তিনি তো আমাদের ও তোমাদের ওপর পূর্ণ ক্ষমতাবান এবং তিনি আমাদের সবারই ব্যবস্থাপক। আমাদের কাজের প্রতিদান আমাদেরকে দেয়া হবে। আমরা তোমাদের প্রতি এবং তোমাদের র্শিকের প্রতি অসন্তুষ্ট।’ কুর’আন মাজীদে অন্য জায়গায় রয়েছেঃ
﴿وَ اِنْ كَذَّبُوْكَ فَقُلْ لِّیْ عَمَلِیْ وَ لَكُمْ عَمَلُكُمْ١ۚ اَنْتُمْ بَرِیْٓـُٔوْنَ مِمَّاۤ اَعْمَلُ وَ اَنَا بَرِیْٓءٌ مِّمَّا تَعْمَلُوْنَ﴾
আর এতদসত্ত্বেও যদি তারা তোমাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করতে থাকে তাহলে তুমি বলে দাওঃ আমার কর্মফল আমি পাবো, আর তোমাদের কর্মফল তোমরা পাবে। তোমরা তো আমার কৃতকর্মের জন্য দায়ী নও, আর আমিও তোমাদের কর্মের জন্য দায়ী নই। (১০ নং সূরা ইউনুস, আয়াত নং ৪১)
কুর’আনুল কারীমের অন্য এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ
‘অনন্তর যদি তারা তোমার সাথে কলহ করে তাহলে তুমি বলোঃ আমি ও আমার অনুসারীগণ মহান আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে আত্মসমর্পণ করেছি।’ (৩ নং সূরা আল ‘ইমরান, আয়াত নং ২০)
ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর গোত্রের লোককে এ কথাই বলেছিলেনঃ
﴿وَ حَآجَّه قَوْمُه قَالَ اَتُحَآجُّوْٓنِّیْ فِی اللّٰهِ﴾
‘আর তার জাতির লোকেরা তার সাথে ঝগড়া করতে থাকলে সে তাদেরকে বললোঃ তোমরা কি মহান আল্লাহ্র ব্যাপারে আমার সাথে ঝগড়া করছো?’ (৬ নং সূরা আন‘আম, আয়াত নং ৮০)
অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ﴿اَلَمْ تَرَ اِلَى الَّذِیْ حَآجَّ اِبْرٰهٖمَ فِیْ رَبِّهٖۤ﴾
‘তুমি তার প্রতি লক্ষ্য করোনি যে ইবরাহীমের সাথে তাঁর রাব্ব সম্বন্ধে বিতর্ক করেছিলো?’ (২ নং সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ২৫৮)
সুতরাং এখানে ঐ বিবাদীদেরকে বলা হচ্ছেঃ ‘আমাদের কাজ আমাদের জন্য এবং তোমাদের কাজ তোমাদের জন্য। আমরা তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে তোমাদের হতে পৃথক হয়ে গেলাম। আমরা একাগ্রচিত্তে মহান আল্লাহ্র ‘ইবাদতে লিপ্ত হয়ে পড়লাম।’ অতঃপর ঐ সব লোকের দাবী খণ্ডন করা হচ্ছে যে, ইবরাহীম (আঃ) ইয়াহুদীও ছিলেন না এবং খ্রিষ্টানও ছিলেন না। অতএব হে ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানের দল! তোমরা এসব কথা বানিয়ে বলছো কেন? বলা হচ্ছে যে, তোমাদের জ্ঞান কি মহান আল্লাহ্র চেয়েও অধিক হয়ে গেলো? মহান আল্লাহ তো পরিস্কারভাবে ঘোষণা করেনঃ
﴿مَا كَانَ اِبْرٰهِیْمُ یَهُوْدِیًّا وَّ لَا نَصْرَانِیًّا وَّ لٰكِنْ كَانَ حَنِیْفًا مُّسْلِمًا وَ مَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِیْنَ﴾
‘ইবরাহীম ইয়াহুদী ছিলো না এবং খ্রিষ্টানও ছিলো না, বরং সুদৃঢ় মুসলিম ছিলো এবং সে মুশরিকদের অর্থাৎ অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো না।’ (৩ নং সূরা আল ‘ইমরান, আয়াত নং ৬৭)
পরবর্তী আয়াতে মহান আল্লাহ বলেনঃ ﴿وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ كَتَمَ شَهَادَةً عِنْدَه مِنَ اللّٰهِ﴾
‘আর মহান আল্লাহ্র নিকট হতে প্রাপ্ত সাক্ষ্য যে ব্যক্তি গোপন করেছে সে অপেক্ষা কে বেশি অত্যাচারী?’ (২ নং সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ১৪০)
মহান আল্লাহ্র সাক্ষ্যকে গোপন করে তাদের বড় অত্যাচার ছিলো এই যে, তাদের নিকট মহান আল্লাহ যে কিতাব অবতীর্ণ করেছিলেন তা তারা পড়েছিলো এবং জানতে পেরেছিলো যে, ইসলামই প্রকৃত ধর্ম ও মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সত্য রাসূল। এটা জেনেও তারা তা গোপন করেছিলো। ইবরাহীম (আঃ), ইসমা‘ঈল (আঃ), ইসহাক (আঃ), ইয়া‘কূব (আঃ) প্রমুখ সবাই ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান ধর্ম হতে সম্পূর্ণরূপে পৃথক ছিলেন। কিন্তু তারা তা স্বীকার করেনি। শুধু তাই নয়, বরং এ কথাকেই তারা গোপন করেছিলো। অতঃপর মহান আল্লাহ বলেন যে, তাদের কাজ তাঁর নিকট গোপন নেই। তাঁর ‘ইল্ম’ সব জিনিসকেই ঘিরে রয়েছে। তিনি প্রত্যেক ভালো ও মন্দ কাজের পূর্ণ প্রতিদান প্রদান করবেন।
এই ধমক দেয়ার পর মহান আল্লাহ বলেন যে, ঐ সব মহামানব তো তাঁর নিকট পৌঁছে গেছে। এখন যদি তোমরা তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করো তাহলে তোমরা তাঁদের বংশধর হওয়া সত্ত্বেও মহান আল্লাহ্র নিকট তোমাদের কোনই সম্মান নেই। আর তোমাদের অসৎ কাজের বোঝাও তাদেরকে বইতে হবে না। তোমরা যখন এক নবীকে অস্বীকার করছো, তখন যেন সমস্ত নবীকেই অস্বীকার করছো। বিশেষ করে তোমরা শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে বাস করেও তাঁকে অস্বীকার করছো। যিনি হচ্ছেন সমস্ত নবীর নেতা। যাঁকে সমস্ত দানব ও মানবের নিকট নবী করে পাঠানো হয়েছে। সুতরাং তাঁর রিসালাতকে মেনে নেয়া প্রত্যেকের ওপর বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। তাঁর ওপর ও অন্যান্য সমস্ত নবীর ওপরও মহান আল্লাহ্র দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings